ভাঙ্গনের কবলে সিলেট-মৌ’বাজার সড়কের বেশীরভাগ অংশ

সিলেট অফিস 
সত্যবাণী
সিলেট-মৌ’বাজার আঞ্চলিক মহাসড়কের সিলেট-ফেঞ্চুগঞ্জ অংশের প্রায় ২৪ কিলোমিটার অংশের প্রায় অর্ধেকটাই গর্ত আর খানা-খন্দে ভরা! এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন দু’টি জেলার হাজার-হাজার যানবাহন চলাচল করে। খানা-খন্দের ঝাকুনি ও দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়েই চলতে হয় যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকদের।
ফেঞ্চুগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা জানান, ফেঞ্চুগঞ্জের কটালপুর থেকে মোগলাবাজার পর্যন্ত সড়কের অবস্থা অনেকটাই বেহাল। খানাখন্দ আর গর্ত উঁচু-নিচু হয়ে বাড়িয়েছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি। সেই সাথে বেড়েছে চালক ও যাত্রীদের বিরক্তি। আনন্দদায়ক বা নিরাপদ ভ্রমণ এ সড়কে বলতে গেলে নেই।
কয়েকজন সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক জানান, কি বলবো ভাই এই সড়কে ট্রিপ মারতে গেলে জানে খান্দে (কাঁদে)। খুব সাবধান না হলেই বিপদ। একটা ট্রিপে যে টাকা পাই তার অনেক অংশ চলে যায় ওয়ার্কশপে!ভাঙ্গা রোডে চলাচল করলে গাড়ির নাটবল্টু ঠিক থাকে না।’
জনৈক পিকআপচালক বলেন, আমরা মালামাল বহন করি তাই গাড়ির ওজন বাড়ে। এই খানাখন্দ সামান্য বেশকম হলে বিপদ। অনেক সময় গর্ত থেকে চাকা বাঁচানো যায় না। চাকা বাঁচাতে ডান পাশে চাপতে হয় এটা বিপদজনক। কিন্তু আমরা নিরুপায়।’
কুলাউড়া-সিলেট রুটের এক বাসযাত্রী বলেন, ভাই বলে লাভ নাই! প্রবাস জীবন শেষ করে সিলেট শহরে পার্টনারশিপে ব্যবসা করছি। প্রতিদিন বড় কষ্টে আসা-যাওয়া করি। এই সড়কে এক চক্কর দিলে ব্যথানিরোধক ট্যাবলেট খাওয়া লাগে। না হলে শরীরের ব্যথায় আর দোকানে যাওয়া হবে না।
একই বাসের যাত্রী একজন চাকুরীজীবি বলেন, মাঝে মাঝে মনে হয়, গাড়িতে না উঠে হেঁটে আসা-যাওয়া করতে পারলে শরীরে আরাম পেতো।
অন্যদিকে দেখা যায়, এই সড়কের বেহাল দশা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ ঝাড়ছেন স্থানীয়রা। এ ব্যাপারে সিলেট সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আমির হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, শিগগিরই সড়কটি মেরামতের চেষ্টা চলছে।

You might also like