ভারী বৃষ্টিতে সিলেটের বাসা-বাড়িতে হাঁটুপানি
চঞ্চল মাহমুদ ফুলর
সত্যবাণী
সিলেট থেকেঃ রোববার মধ্যরাত থেকে শুরু হয়েছে ভারী বৃষ্টি। ভারী বৃষ্টির ফলে নগরির বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। রোববার দিবাগত রাত থেকে সোমবার সকাল ১০টা পর্যন্ত টানা কয়েক ঘন্টা ভারী বৃষ্টিতে কোথাও গোড়ালি, কোথাও হাঁটু পর্যন্ত পানি উঠেছে।নগরির চন্ডিপুল-পুলেরমুখের বঙ্গবীর রোড, চৌহাট্টা-নয়াসড়ক, রাজারগলি, পায়রা, বাদামবাগিচা, খাসদবিরসহ বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এসব এলাকার প্রধান প্রধান সড়ক পানিতে তলিয়ে যায়। এছাড়া অনেক বাসাবাড়ি ও দোকানপাটেও পানি ঢুকে। নগরির বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা নিয়ে একাধিক ভুক্তভোগী বলেন, অল্প বৃষ্টিতে রাস্তায় হাঁটুপানি হয়ে যায়।জলাবদ্ধতায় সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েন নগরের নিচু এলাকার মানুষ। বিভিন্ন বাসার নিচতলা পানিতে প্লাবিত হওয়ায় প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বাসিন্দারা খাটের ওপর তুলে রাখেন। অনেক বাসার মেঝেতে থাকা জিনিসপত্র ভিজে নষ্ট হচ্ছে।
নগরের ১ নম্বর ওয়ার্ডের পায়রা এলাকার বাসিন্দা ও স্থানীয় একটি অনলাইন পোর্টালের ফটো সাংবাদিক মো. আজমল আলী জানান, মধ্যরাত থেকে ভারী বৃষ্টি হওয়ায় নগরের ১নং ওয়ার্ডের মিরেরময়দান, পায়রা, রাজারগলি এলাকায় হাঁটু পর্যন্ত পানি জমে। অনেক বাসাবাড়ি ও দোকানে পানি ওঠে। এতে স্থানীয় লোকজনকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই পায়রা এলাকায় ব্যাপক জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। অথচ এর কোনো সমাধান সিটি কর্পোরেশন করছে না।দক্ষিণ সুরমার রোমান আহমদ বলেন, সারাবছর ড্রেনের কাজ চলছে। কোনো কুল-কিনারা নেই। বৃষ্টি হলেই বঙ্গবীর সড়ক দিয়ে যাতায়াত করা কঠিন হয়ে পড়ে। গোড়ালি থেকে হাঁটুপানি হয়ে যায়। গাড়ি নিয়ে যাওয়া আসা করতে হলে ভোগান্তির শেষ নেই।কাওছার মিয়া নামে আরেকজন বলেন, নগরের অধিকাংশ ড্রেনের কাজ অর্ধসম্পন্ন। কাজ চলছে ধীরগতিতে। তাই বৃষ্টি হলেই পানি নামতে সমস্যা হচ্ছে। এছাড়া অনেক নালা-নর্দমা ও ছড়া ভরাট হয়ে গেছে। পানি সহজে নামতে পারে না।