ভ্যাকসিন বৈশ্বিক সম্পদ হওয়া উচিত : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী

ঢাকাঃ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, কোভিড মহামারি থেকে সফল পুনরুদ্ধারে অবশ্যই বৈশ্বিকভাবে টিকাদান কর্মসূচির বাস্তবায়ন করতে হবে। এ কারণে সবার জন্য টিকা সরবরাহের প্রতি গুরুত্ব দিয়েছে বাংলাদেশ।মঙ্গলবার জাতিসংঘ সদর দফতরে অনুষ্ঠিত শান্তির সংস্কৃতি বিষয়ক জাতিসংঘের উচ্চতর ফোরামে দেওয়া স্বাগত বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।এতে বলা হয়, ভ্যাকসিনের জাতীয়করণকে দুর্ভাগ্যজনক বলে অভিহিত করেন এবং বিশ্বকে এ ধরনের ভ্যাকসিন বৈষম্যের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান মন্ত্রী।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এখন সময় এসেছে উন্নয়ন অংশীদারদের আরও বেশি মানবিক হওয়ার। যাদের ভ্যাকসিন প্রয়োজন, বৈষম্যহীনভাবে তাদের তা প্রদান করার। ভ্যাকসিন হওয়া উচিত বৈশ্বিক সাধারণ সম্পদ।কোভিড থেকে স্থিতিশীল পুনরুদ্ধারে শান্তির পরিবেশ বিনির্মাণের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন ড. আব্দুল মোমেন। তিনি পুনরুদ্ধার প্রচেষ্টায় ‘শান্তির সংস্কৃতি’কে মূলভাগে স্থাপন করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান। এ ছাড়া শান্তি ও উন্নয়নের পারস্পরিক গভীর আন্তঃসম্পর্কের কথা উল্লেখ করে যথাসময়ে এজেন্ডা ২০৩০ এর বাস্তবায়নের প্রতিও আহ্বানও জানান তিনি।এদিকে ‘শান্তির সংস্কৃতিতে সিভিল সোসাইটি সংস্থাসমূহের অংশগ্রহণ’ বিষয়ক ভার্চুয়াল প্যানেল সভার সঞ্চালনা করেন জাতিসংঘের সাবেক আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ও জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত আনোয়ারুল করিম চৌধুরী। জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা এতে প্যানেলিস্ট হিসেবে অংশগ্রহণ করেন।জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের রেজুলেশন ‘ডিক্লারেশন অন দ্য কালচার অব পিস অ্যান্ড প্রোগ্রাম অব অ্যাকশন’ অনুযায়ী প্রতিবছর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতির আহ্বানে শান্তির সংস্কৃতি বিষয়ক জাতিসংঘ উচ্চ পর্যায়ের ফোরাম অনুষ্ঠিত হয়, যার আয়োজন করে বাংলাদেশ। প্রতিবছর বাংলাদেশ আনীত এই রেজুলেশনটিতে বিপুল সংখ্যক দেশ সহ-পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করে এবং এটি সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়।

You might also like