‘ধর্মের নামে যারা সন্ত্রাস ও সহিংসতাকে বৈধতা দেয় তারাই গান্ধী ও বঙ্গবন্ধুর হত্যার জন্য দায়ী’

নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী

ঢাকাঃ বিকেল ৩টায় মহাত্মা গান্ধীর ১৫২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ‘একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি’ কর্তৃক আয়োজিত আন্তর্জাতিক ওয়েবিনারের বিষয় ছিল: ‘মহাত্মা গান্ধী ও বঙ্গবন্ধুর মানবতা ও বিশ্বশান্তির দর্শন’।নির্মূল কমিটির সভাপতি লেখক সাংবাদিক শাহরিয়ার কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই আলোচনা সভায় বক্তব্য প্রদান করেন মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী দক্ষিণ এশীয় গণসম্মিলনের সভাপতি বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ভাষাসংগ্রামী ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের পৌত্রী মানবাধিকার নেত্রী আরমা দত্ত এমপি, ভারতের সাংবাদিক মানস ঘোষ, নির্মূল কমিটির সহসভাপতি শিক্ষাবিদ শহীদজায়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী, সর্বইউরোপীয় নির্মূল কমিটির সভাপতি মানবাধিকার নেতা তরুণ কান্তি চৌধুরী, নির্মূল কমিটির নরওয়ে শাখার সভাপতি লেখক খোরশেদ আহমেদ, নির্মূল কমিটির ফিনল্যাণ্ড শাখার সভাপতি গবেষক ড. মুজিবর দফতরি, নোয়াখালী গান্ধী আশ্রমের সম্পাদক সমাজকর্মী মনু গুপ্ত, নির্মূল কমিটির বহুভাষিক সাময়িকী ‘জাগরণ’-এর হিন্দি বিভাগীয় সম্পাদক ভারতের সমাজকর্মী তাপস দাস, নির্মূল কমিটির অস্ট্রেলিয়া শাখার সভাপতি ডা. একরাম চৌধুরী, নির্মূল কমিটির মানিকগঞ্জ শাখার সভাপতি এডভোকেট দীপক ঘোষ এবং নির্মূল কমিটির সাধারণ সম্পাদক মানবাধিকার নেতা কাজী মুকুল।

সভাপতির ভাষণে নির্মূল কমিটির সভাপতি লেখক সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির ভারত ও বাংলাদেশের জাতির পিতা মহাত্মা গান্ধী ও বঙ্গবন্ধুর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে বলেন, ‘অবিভক্ত ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের নেতা, অহিংস-অসহযোগ আন্দোলনের জনক, ভারতের জাতির পিতা মহাত্মা গান্ধীর জন্মদিন ২ অক্টোবরকে ২০০৭ সালে জাতিসংঘ ঘোষণা করেছে ‘আন্তর্জাতিক অহিংস দিবস’ হিসেবে। মহাত্মা গান্ধীর শান্তিপূর্ণ অসহযোগ আন্দোলন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং শান্তি ও মানবতার আন্দোলনের নেতৃবৃন্দকে বিশেষভাবে অনুপ্রাণিত করেছে। বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার ঘোষণা প্রদানের প্রাক্কালে মহাত্মা গান্ধীর অহিংস অসহযোগ আন্দোলনকে নতুন মাত্রা প্রদান করেছিলেন, যা বাংলাদেশে পাকিস্তানের ২৪ বছরের ঔপনিবেশিক শাসনযন্ত্র স¤পূর্ণ অচল করে দিয়েছিল। দক্ষিণ এশিয়ার এই দুই মহান নেতা বিশ্বে শান্তি ও মানবতার বার্তা প্রচারে অসামান্য অবদান রেখেছেন।’

শাহরিয়ার কবির আরও বলেন, ‘মহাত্মা গান্ধী ও বঙ্গবন্ধু দুজনই ধর্ম-বর্ণ-জাতি-ভাষা-অঞ্চল নির্বিশেষে সকল মানুষের কল্যাণের জন্য বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠার উপর গুরুত্ব দিয়েছেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এখনও ধর্মের নামে কিংবা কোনও মতবাদের নামে ভিন্নমত, ভিন্নধর্ম ও ভিন্নজীবনধারায় বিশ্বাসী মানুষদের নির্যাতন করা হচ্ছে, হত্যা করা হচ্ছে, যার সাম্প্রতিক উদাহরণ হচ্ছে আফগানিস্তান। সভ্যতার উষালগ্ন থেকে আমরা লক্ষ্য করছি পৃথিবীতে যত বিরোধ, সংঘাত ও যুদ্ধ হয়েছে তার প্রধান কারণ ধর্ম, জাতিগত বা গোত্রগত আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করা। সভ্যতার ধারাবাহিকতায় বহু মহাপুরুষ মানবপ্রজাতিকে হিংসা, সংঘাত ও বৈষম্য থেকে মুক্ত করার জন্য বিভিন্নভাবে অবদান রেখেছেন। মহাত্মা গান্ধী ও বঙ্গবন্ধুর সভ্যতার সেই ধারাবাহিকতার অন্তর্গত। ধর্মান্ধ, সাম্প্রদায়িক মানবতার শত্রুরা যারা ধর্মের নামে রাজনীতি করে এবং যাবতীয় অপরাধকে বৈধতা দেয় তারা দক্ষিণ এশিয়ার এই দুই মহান নেতাকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে। তারা ভেবেছিল ব্যক্তি গান্ধী বা মুজিবকে হত্যা করলে তাঁদের মানবপ্রেমের দর্শনের আলো নিভে যাবে, সাম্প্রদায়িকতা, মৌলবাদ ও ধর্মান্ধতা জয়ী হবে। কিছু সময়ের জন্য অন্ধকারের অপশক্তি কিছু অঞ্চলে তাদের আধিপত্য বিস্তার করতে পারে বটে, তবে অন্তিমে সত্য ও মানবতারই জয় হয়। ইতিহাসের এই সত্যই মানব সভ্যতার চালিকা শক্তি।’

ভারতের সাংবাদিক মানস ঘোষ বলেন, ‘উপমহাদেশের এই দুই উজ্জ্বল এবং অসামান্য ব্যক্তিত্বের চরিত্র এবং কাজের মধ্যে উল্লেখযোগ্য মিল এবং খুব কম বৈষম্য রয়েছে। উভয়েই তাঁদের জনগণকে গভীরভাবে ভালবাসতেন, যার কারণে তাঁদের জীবনের সাথে মূল্য দিতে হয়েছিল অত্যন্ত দুঃখজনক পরিস্থিতিতে, যা ইতিহাসে খুব সমান্তরাল। তাঁদের আদর্শ এবং নীতিগুলি তাঁদের মানুষের চারপাশে এতটাই সমান এবং আপোষহীন ছিল যে, উভয়ই সহজ লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছিলেন এবং অবশেষে শিকার হয়েছিলেন প্রতিক্রিয়াশীলদের ষড়যন্ত্রের কাছে।’

মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী দক্ষিণ এশীয় গণসম্মিলনের সভাপতি বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, ‘গোটা ভারতবর্ষে যে সকল রাজনীতিক সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে ছিলেন তাদের অন্যতম দুজন ছিলেন প্রাক-ভারত বিভাগ সময়ের তরুণ ছাত্রনেতা শেখ মুজিব এবং মহাত্মা গান্ধী। সাম্প্রদায়িকতার বিরোধিতার জন্যই ১৯৪৮ সালে গান্ধীজিকে প্রাণ দিতে হয়েছিল অন্যদিকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকেও হত্যা করা হয়েছিল তার লালিত আদর্শসমূহের কারণেÑ যার অন্যতম ছিল অসাম্প্রদায়িকতা ও ধর্মনিরপেক্ষতা। বঙ্গবন্ধু যেমন বিশ্বের নিপীড়িত নির্যাতিত মানুষের পক্ষে সোচ্চার ছিলেন, গান্ধীজিও তার ব্যতিক্রম ছিলেন না। গান্ধীজি বলতেনÑ পৃথিবীতে প্রতিটি মানুষের পেট ভরার জন্য যথেষ্ট সম্পদ রয়েছে, তবে মানুষের লোভ পূরণের জন্য নয়। একইভাবে বঙ্গবন্ধুও তার জাতিসংঘ, জোট নিরপেক্ষ এবং কমনওয়েলথ সম্মেলনে দেয়া ভাষণে আন্তর্জাতিক মানবতার দিক তুলে ধরতেন। এজন্য তাকে ‘বিশ্ববন্ধু’ হিসেবেও বিবেচনা করা হতো। উভয় নেতাই বিশ্বময় অস্ত্র প্রতিযোগিতাÑ বিশেষ করে পারমাণবিক অস্ত্র প্রতিযোগিতা রোধে উচ্চকণ্ঠ ছিলেন।’

মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ভাষাসংগ্রামী ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের পৌত্রী মানবাধিকার নেত্রী আরমা দত্ত এমপি বলেন, ‘আমরা মহাত্মা গান্ধীকে জানি শান্তির দূত, যিনি হিন্দু-মুসলমান-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান সকলে মিলে এক সুন্দর নিবাস গড়ে তুলে সমাজে শান্তি, সম্প্রীতি, সৌহার্দ্য প্রতিষ্ঠার যোদ্ধা হিসেবে নিজ জীবন দিয়ে গেছেন। নিজ জীবনে শান্তির দূত হিসেবে অহিংস নীতি চর্চা করে তিনি প্রমাণ করেছেন যে, বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য নিজ জীবনকে একটা বিশাল আন্দোলনে নিয়ে আসা যায়। তাই বর্তমানে বিশ্বব্যাপী শান্তি প্রতিষ্ঠায় মহাত্মা গান্ধীর নীতি প্রতিষ্ঠা জরুরি প্রয়োজন।’

নির্মূল কমিটির সহসভাপতি শিক্ষাবিদ শহীদজায়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী বলেন, ‘ভারতের জনগণ গান্ধীজির কাছে আর আমরা বঙ্গবন্ধুর কাছে চিরকালের জন্যে ঋণী। গান্ধী ও সুভাষ চন্দ্র বোসের দেশ স্বাধীন করার দুটি বিপরীতমুখী ধারাকে বঙ্গবন্ধু এক অপূর্ব পন্থায় নিজের মধ্যে একসূত্রে গেঁথে নিয়েছিলেন। ৭ মার্চ রেসকোর্সের জনসমুদ্র থেকে বঙ্গবন্ধু ঘোষণা করেন ‘এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম, জয় বাংলা।’ আবার মুক্তির আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘প্রত্যেক ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলো। তোমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবেলা করতে হবে।’ অহিংস অসহযোগ আন্দোলন এবং সশস্ত্র বিপ্লবÑ এই দুটোই ছিল তার চেতনায়। ইয়াহিয়ার নির্দেশ উপেক্ষা করে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশ বাংলার মানুষ অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছে। বিশ্ব অবাক হয়ে দেখেছে ৭ মার্চ থেকে ২৫ মার্চ বাংলাদেশ স্বাধীন দেশের মত বঙ্গবন্ধুর সব নির্দেশ মেনে চলছে। বঙ্গবন্ধুর এই জাদুকরি শক্তির বাইরে বাঙালি যেতে পারেনি। তাই বঙ্গবন্ধুকে সামনে রেখেই মুক্তিযুদ্ধে বাঙালির বিজয় হয়েছে।’

সর্বইউরোপীয় নির্মূল কমিটির সভাপতি মানবাধিকার নেতা তরুণ কান্তি চৌধুরী বলেন, ‘১৯৪৭ সালে ভারতবর্ষে ব্রিটিশ শাসনের অবসানের পূর্বে মহাত্মা গান্ধীর সত্যাগ্রহ আন্দোলন অসহযোগ ও আইন অমান্য আন্দোলনের রূপ ধারণ করেছিল। বঙ্গবন্ধুও অসহযোগ ও আইন অমান্য আন্দোলন করেছিলেন পাকিস্তানি শাসকের বিরুদ্ধে। ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের মাধ্যমে পাকিস্তানি স্বৈরাচারী শাসককে অচল করে দিয়েছিলেন।’নির্মূল কমিটির নরওয়ে শাখার সভাপতি লেখক খোরশেদ আহমেদ বলেন, ‘মহাত্মা গান্ধী ও বঙ্গবন্ধু ছিলেন জাতীয়তাবাদীর পাশাপাশি আন্তর্জাতিকতাবাদী। তাঁদের রাজনৈতিক দর্শন বিশ্বব্যাপী মানুষকে অনুপ্রাণিত করে। মহাত্মা গান্ধী ও বঙ্গবন্ধুর ধর্মনিরপেক্ষ মানবতার দর্শন বাংলাদেশে ১৯৭২ সালের সংবিধানে প্রস্ফূটিত। তাই রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বদেশে এবং বিদেশে ‘ধর্মনিরপেক্ষ মানবতার দর্শন’-এর সফল চর্চার উপর মহাত্মা গান্ধীর ১৫২তম জন্মবার্ষিকী পালনের স্বার্থকতা নির্ভর করে।’

নির্মূল কমিটির ফিনল্যাণ্ড শাখার সভাপতি গবেষক ড. মুজিবর দফতরি বলেন, ‘মহাত্মা গান্ধী ও বঙ্গবন্ধু উভয়েই তাঁদের জীবনের বড় একটি অংশ জনস্বার্থে নিয়োজিত করেছেন। উভয়েই রাজনীতিতে মানুষের কণ্ঠস্বর হয়ে নিজের জনগণকে পরাধীনতার শৃঙ্খলমুক্ত করেছেন। তাঁরা ছিলেন বিশ্বজনীন অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির প্রাণ পুরুষ। রাজনীতিতে তাঁরা পূর্ব-পশ্চিমের আদর্শের সমন্বয় করেছেন।’নোয়াখালী গান্ধী আশ্রমের সম্পাদক সমাজকর্মী মনু গুপ্ত বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর প্রত্যক্ষ নিদের্শে ১৯৭৫ সালে গান্ধী আশ্রম ট্রাস্টের অর্ডিনেন্সটি তৈরি হয়। দুর্ভাগ্য তিনি তা সম্পন্ন করে যেতে পারেননি। কিন্তু আমরা ‘গান্ধী আশ্রম ট্রাস্ট’ আজও সশ্রদ্ধচিত্তে বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করি। বাপুজী বিশ্বব্যাপি সন্ত্রাস ও সহিংসতার জন্য হিংসাকে দায়ী করেছিলেন। হিংসা শুধুই ধ্বংস করে, অহিংসা শুধুই গঠন করে, গড়তে জানে। বঙ্গবন্ধু যেমন বলেছিলেন, আমার শক্তি হচ্ছে মানুষকে ভালবাসা আর আমার জীবনে বড় দুর্বলতা হচ্ছে মানুষকে বেশি বেশি ভালবাসা। এই কারণেই আমি মনে করি বাপুজীর দর্শন এবং কর্ম যেহেতু বঙ্গবন্ধুর জীবনে বিভিন্নভাবে পরিপ্রেক্ষিত হয়ে এসেছে, সেহেতু গান্ধী আশ্রম ট্রাস্ট আঙিনায় স্থাপিত বাপুজীর ভাস্কর্যের সাথে বঙ্গবন্ধুর একটি ভাস্কর্য যদি স্থাপিত হয় তাহলে ভবিষ্যত প্রজন্ম দেখতে পাবে যে দুই মানবতাবাদী নেতা একইভাবে, একইস্থানে বন্ধুত্বের চিরকালীন নিদর্শন  সম্বন্বিত হয়ে দাঁড়িয়ে আছে এবং আহ্বান জানাচ্ছে আমাদের যেÑ হিংসা, বৈরিতা বা সাম্প্রদায়িকতা নয় বরং হাত বাড়ালেই বন্ধু হয়।’

নির্মূল কমিটির বহুভাষিক সাময়িকী ‘জাগরণ’-এর হিন্দি বিভাগীয় সম্পাদক ভারতের সমাজকর্মী তাপস দাস বলেন, ‘ভারতীয় উপমহাদেশে গান্ধীজি যে সংগ্রাম শুরু করেছিলেন তার পূর্ণতা লাভ করে শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে। তারা শুধু মাত্র সাম্যের কথা বলেননি বরং উপমহাদেশের সকল মানুষের সাম্যের জন্য মাঠপর্যায়ে সর্বদা মানুষের পাশে থেকেছেন। দক্ষিণ এশিয়ায় এই দুই জাতির পিতার মতো জনসমর্থন কেউ লাভ করেনি।’নির্মূল কমিটির অস্ট্রেলিয়া শাখার সভাপতি ডা. একরাম চৌধুরী বলেন, ‘মহাত্মা গান্ধীর দর্শন ছিল একাধারে রাজনৈতিক, নৈতিক এবং ধর্মনিরপেক্ষ। বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শনের মূলমন্ত্র ছিল গণমানুষের ভালোবাসা। একদিকে তিনি যেমন গরীব, দুঃখী, দুঃখ দুর্দশার জন্য গভীরভাবে মর্মাহত ছিলেন অন্যদিকে লুটেরা, চোরা কারবারি, দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর মনোভাব ব্যক্ত করেছেন।’নির্মূল কমিটির সাধারণ সম্পাদক মানবাধিকার নেতা কাজী মুকুল বলেন, ‘মহাত্মা গান্ধী ও বঙ্গবন্ধুর ধর্মনিরপেক্ষ আদর্শ ও মানবতার দর্শন যদি আমরা বাংলাদেশ ও ভারতসহ সমগ্র উপমহাদেশের তরুণ প্রজন্মের নিকট তুলে ধরতে পারি, তবে ভবিষ্যতে আমাদের এই অঞ্চল মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার কালো থাবা থেকে রক্ষা পাবে।’

You might also like