শহীদ সন্তান শাহীন রেজা নূরের মৃত্যুতে নির্মূল কমিটি নিউইয়র্ক চ্যাপ্টারের শোক প্রকাশ
স্বীকৃতি বড়ুয়া
সত্যবাণী
নিউইয়র্কঃ মুক্তিযুদ্ধে শহীদ সাংবাদিক সিরাজউদ্দিন হোসেনের সন্তান, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি নিউইয়র্ক চ্যাপ্টারের সভাপতি ফাহিম রেজা নূরের মেজ ভাই, প্রজন্ম ’৭১-এর সাবেক সভাপতি সাংবাদিক শাহীন রেজা নূর-এর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন ‘একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি, নিউইয়র্ক চ্যাপ্টার।জনাব শাহীন রেজা নূর ১২ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার কানাডার ভ্যাংকুভারের একটি হাসপাতালে স্থানীয় সময় রাত ১০টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। তিনি দীর্ঘদিন ক্যান্সারে ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৬ বছর। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী ও ২ পুত্র রেখে গেছেন।
সংগঠনের পক্ষে এক শোক বিবৃতিতে বলা হয়, প্রজন্ম ‘৭১ তার জন্মলগ্ন থেকেই জনাব শাহীন রেজা নূর মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রতিষ্ঠার লক্ষে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করে আসছিলেন। ‘৭৫ সালে পরিকল্পিত ভাবে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর, দেশ যখন উল্টোদিকে ধাবিত হচ্ছিল ঠিক তখনই প্রজন্ম ‘৭১ একটি পোস্টার ছেপেছিল, বুদ্ধিজীবীদের হত্যার ছবি দিয়ে নিচে ক্যাপশন ছিল, “তোমাদের যা বলার ছিল, বলেছে কি তা বাংলাদেশ ?”। ঠিক তারপর থেকেই সমগ্র বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পালে হাওয়া লেগেছিল এবং ঘুরে দাড়াতে শুরু করল মুক্তিযুদ্ধের চেতনা।
আরো উল্লেখ্য,দেশের জন্য আত্মত্যাগী বুদ্ধিজীবীদের সন্তানরা বেশীরভাগই তাদের বাবা-মায়েদের পেশায় প্রতিষ্ঠিত হয়ে কিছুটা হলেও নতুন দেশের জন্য মেধা পূর্ন করার চেষ্টা করেছেন।জনাব শাহীন রেজা নূর স্বাধীনতার পর দৈনিক ইত্তেফাকের কার্যনির্বাহী সম্পাদক হয়েছিলেন, সেই সাথে যুদ্ধাপরাধীদের আইনীভাবে শাস্তি দেবার জন্য বিশাল ভূমিকা রাখেন এবং আদালতে সাক্ষী দেন।আর পাকিস্তান আমলে যখন আল বদর রাজাকাররা শহীদ সাংবাদিক ও বঙ্গবন্ধুর বন্ধু এবং ৬ দফার প্রচার ও জনমত গঠনে নিবেদিত সিরাজুদ্দীন হোসেন কে অপহরন করেন তখন তিনিও একই পদে আশীন ছিলেন, খুনীরা তাই টার্গেট করে বিজয় দিবসের কয়েকদিন আগে উনাকে হত্যা করে। পরবর্তীতে মেজ ছেলে শাহীন রেজা নূর বাবার পদে যেতে পেরেছিলেন বলেই দেশের জন্য ও দশের জন্য কিছু করার চেষ্টা করতে পেরেছিলেন।আমরা সাংবাদিক শাহীন রেজা নূরের অকাল মৃত্যুতে শোকাহত ও মর্মাহত।এই কঠিন সময়ে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি নিউইয়র্ক চ্যাপাটের সভাপতি ফাহিম রেজা নূর সহ পরিবারের সবার প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। সাথে সাথে বাংলাদেশ সরকারের কাছে অনুরোধ করছি শাহীন রেজা নূরের মরদেহ দেশে নিয়ে যেন বুদ্ধিজীবী গোরস্তানে দাফন করা হয় তার যতাযত ব্যবস্থা করার হয়।
শোক বিজ্ঞপ্তিতে স্বাক্ষরদাতা-বীর মুক্তি যোদ্ধা ডঃ নুরুন নবী, সাংবাদিক সৈয়দ মোহাম্মদ উল্লাহ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব বেলাল বেগ, চলচ্চিত্রকার কবির আনোয়ার, কমিউনিটি লিডার মোরশেদ আলম, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সউদ চৌধুরী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শফি চৌধুরী হারুন, বীর মুক্তিযোদ্ধা সুব্রত বিশ্বাস, সাংবাদিক কৌশিক আহমেদ, সাংবাদিক মাহফুজুর রহমান, কণ্ঠযোদ্ধা শহীদ হাসান, কণ্ঠযোদ্ধা রথীন্দ্রনাথ রায়, বীর মুক্তিযোদ্ধা তাজুল ইমাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা খান মিরাজ, অর্থনীতিবিদ ডঃ শফিক ইসলাম, ডাঃ টমাস দুলু রায়, সাংবাদিক শীতাংশু গুহ, সাংবাদিক নিনি ওয়াহেদ, কবি হাসান আল আব্দুল্লাহ, সাংবাদিক ফজলুর রহমান, লেখিকা নাজনিন সিমন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মনির হোসেন, স্বীকৃতি বড়ুয়া, রওশন আরা নিপা, শুভ রায়, আহনাফ আলম, গোপাল স্যানাল, আবুল কালাম সোয়েব, রুপা খানম, ইসমাইল হোসেন স্বপন, সেমন্তী ওয়াহেদ, ওবায়দুল্লাহ মামুন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ওমর ফারুক খসরু, ডানা ইসলাম, তোফাজ্জল লিটন, সাইদুর রহমান লিংকন, সাইমুম সোহেল, তাহেরা তারা, প্রমুখ।