‘রনাঙ্গনে বঙ্গবীর ওসমানীর সফল নেতৃত্বের কারনেই বাংলাদেশ স্বল্প সময়ে স্বাধীন হয়েছিল’
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি ডেস্ক
সত্যবাণী
লন্ডন: বীর মুক্তিযাদ্ধা ও সাবেক এমপি মকসুদ ইবনে আজিজ লামা বলেছেন, যে -১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে রনাঙ্গনে মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক বঙ্গবীর এম এ জি ওসমানীর প্রজ্ঞা, রণকৌশল ও সফল নেতৃত্বের কারনেই বাংলাদেশ মাত্র নয় মাসের যুদ্ধে স্বাধীন হয়েছিল। ওসমানীকে ইতিহাসের পাতা থেকে কেউ মুছতে পারবেনা ।বাঙালী জাতি এ ক্ষণজন্মা লোকটিকে শ্রদ্ধার সাথে আজীবন স্মরণ রাখবে।
গত ৪ঠা সেপ্টেম্বর রবিবার পূর্ব লণ্ডনের মাইক্রো বিজনেস সেন্টারে বঙ্গবীর ওসমানী মেমোরিয়েল ফাউণ্ডেশন ইউকে কর্তৃক আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে তিনি উপরোক্ত কথা বলেন।
সংগঠনের সভাপতি আলহাজ্ব কবির উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সিনিয়র সহ সভাপতি কে এম আবু তাহের চৌধুরীর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত উক্ত সভায় বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন -বিশিষ্ট শিক্ষাবীদ ও কমিউনিটি নেতা ড: হাসনাত এম হোসেন এমবিই, শিক্ষাবীদ ও সমাজসেবী কর্ণেল (অব:) সৈয়দ আলী আহমদ, মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম খান, মুক্তিযোদ্ধা এম এ মান্নান, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহিম ও মুক্তিযোদ্ধা পীরজাদা হোসেইন আহমদ। অন্যান্য কমিউনিটি নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন -কাউন্সিলার ওসমান গনি, কাউন্সিলার ওহিদ আহমদ, উপদেষ্টা ইফতেখার হোসেইন চৌধুরী, সংগঠনের ট্রেজারার ব্যাংকার সৈয়দ সুহেল আহমদ, লেখক ও গবেষক অধ্যাপক ইয়াওর উদ্দিন, মাষ্টার আমীর উদ্দিন আহমদ, অধ্যাপক মাসুদ আহমদ, কবি ও কলামিষ্ট শিহাবুজ্জামান কামাল, জিএসসির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারপারসন আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইছবাহ উদ্দিন, হাজী ফারুক মিয়া, আজম আলী, এম এ গফুর, মশিউর রহমান মশনু, প্রবাসী অধিকার পরিষদের সভাপতি জামান সিদ্দিকী, মুক্তিযোদ্ধা যুব কমাণ্ডের সভাপতি লুৎফুর রহমান, আলহাজ্ব নুর বকশ, মাওলানা রফিক আহমদ, রায়হান উদ্দিন, হাজী কলা মিয়া প্রমুখ। সভায় ওসমানী স্মরণে কবিতা আবৃত্তি করেন -সৈয়দা ইশরাত নাসিম কুইন ও মেহের বকশ।
সভায় বক্তারা বলেন, জেনারেল ওসমানী ছিলেন সৎ, নিষ্টাবান, নিখাদ দেশ প্রেমিক ও সময়ানুবর্তিতার প্রতি অশেষ যত্নবান। তিনি সেনাবাহিনী ও মুক্তি বাহিনীকে একত্র করে সুশৃঙখলভাবে গেরিলা যুদ্ধের মাধ্যমে পাক বাহিনীকে পরাজিত করতে সক্ষম হয়েছিলেন।ওসমানীর সামনে সবাই ছিলেন বিড়ালের মত।তিনি সব সময় যুক্তরাজ্য প্রবাসী বাংলাদেশীদের মুক্তিযুদ্ধে সহযোগিতা ও অবদানকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করতেন।
বক্তারা – জেনারেল ওসমানীকে রাষ্ট্রীয়ভাবে যথাযথভাবে মূল্যায়ন, ওসমানীর নামে মিলিটারী একাডেমী গঠণ ও পাঠ্য পুস্তকে ওসমানীর বীরত্বগাথা জীবনী অন্তরভূক্তকরন করার দাবী জানান।
সভার বঙ্গবীর ওসমানী ও মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদানদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করেন বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন মাওলানা আব্দুল কুদ্দুছ। সভা শেষে শিরনী বিতরন করা হয়।