রমজানে সরকারি অফিসের সময়সূচি ৯টা-সাড়ে ৩টা নির্ধারণ

নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী

ঢাকাঃ পবিত্র রমজানে সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে অফিস চলবে সকাল ৯টা থেকে বেলা সাড়ে ৩টা পর্যন্ত। আর জোহরের নামাজের জন্য বেলা সোয়া একটা থেকে দেড়টা পর্যন্ত বিরতি থাকবে।আজ সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।পরে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন ।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, পবিত্র রমজান মাসে ব্যাংকসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং জরুরি সেবা সংশ্লিষ্ট অফিস চলবে নিজেদের বিধি অনুযায়ী।প্রতিবছরই রমজান মাসের জন্য অফিস সময় পুননির্ধারণ করা হয়।সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মাহবুব হোসেন বলেন, রমজানে বাজারে অস্বাভাবিক পরিস্থিতি হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ।তিনি বলেন, তবে, এটি আজকের মন্ত্রিসভার আলোচ্য বিষয় ছিল না। তার আগেই ডিসিদের এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ‘আমাদের তরফ থেকে নির্দেশ থাকবে যদি বাজারে অস্বাভাবিক কোনো পরিস্থিতি হয় তাহলে সেখানে যেন আইন প্রয়োগ করা হয়। এটি প্রত্যেক জেলা প্রশাসকদের বলা আছে।মাহবুব হোসেন বলেন, বৈঠকে বাংলাদেশ ও ভূটানের মধ্যে ট্রাফিক ইন ট্রানজিট সংক্রান্ত একটি চুক্তি সইয়ের জন্য খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এই চুক্তি সই হলে পণ্য আমদানি-রপ্তানিতে বাংলাদেশের বন্দর ব্যবহার করতে পারবে ভূটান।মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বগুড়ায় নতুন একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এর নাম হবে ‘বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়’। এটি হলে দেশে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হবে ৫৪টি।

এ বিষয়ে তিনি বলেন, মন্ত্রিসভায় বগুড়ায় বিশ্ববিদ্যালয় করার জন্য ২০১৯ সালে আইনের খসড়া নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেটি যখন আইন মন্ত্রণালয়ে আইনি যাচাইয়ের (ভেটিং) জন্য পাঠানো হয় তখন দেখা যায় ২০০১ সালে আওয়ামী লীগ সরকার যখন ক্ষমতায় ছিল তখনই বগুড়ায় একটি বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ার জন্য আইন পাস হয়েছিল। তাতে বলা ছিল সরকার গেজেট দিয়ে যেদিন থেকে এটি কার্যকর করবে সেদিন থেকে তা কার্যকর হবে। আওয়ামী লীগের ওই মেয়াদের শেষ সময়ে এটি করা হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তী সময় এটির গেজেট কেউ করেনি। এই স্থানে একই নামে দুটি আইনের যৌক্তিকতা নেই। এ জন্য ২০০১ সালে পাস করা আইনটিই বলবৎ থাকবে।এ জন্য ২০১৯ সালে আইনের যে খসড়া নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল, সেটি রহিত করা হয়েছে।এ ছাড়া আজকের মন্ত্রিসভার বৈঠকে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অথরিটি করার জন্য একটি আইনের খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। মূলত বিদ্যমান সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিটকেই কর্তৃপক্ষে রূপান্তর করা হচ্ছে।

You might also like