লন্ডনে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর আলোচনা: অসাম্প্রদায়িক সমাজ প্রতিষ্ঠাই নির্মূল কমিটির লক্ষ্য

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
সত্যবাণী

লন্ডন: মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী শক্তির মূল উৎপাটন না হওয়া পর্যন্ত একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির আন্দোলন চলবে বলে মন্তব্য করেছেন সংগঠনের যুক্তরাজ্য শাখার নেতৃবৃন্দ। সোমবার সংগঠনের ৩১তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর আলোচনায় উপরোক্ত মন্তব্য করে বক্তারা বলেন, একাত্তরের শীর্ষ যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায় কার্যকরের পর এখন একটি অসাম্প্রদায়িক সমাজ প্রতিষ্ঠার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে নির্মূল কমিটি।

সংগঠনের যুক্তরাজ্য শাখার সভাপতি, বিশিষ্ট সাংবাদিক সৈয়দ আনাস পাশার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক বাচিক শিল্পী মুনিরা পারভীনের পরিচালনায় পূর্ব লন্ডনের বো বিজনেস সেন্টারে অনুষ্ঠিত প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর এই আলোচনায় বক্তব্য রাখেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও ইউরোপীয়ান শাখার সাধারণ সম্পাদক আনসার আহমেদ উল্লাহ, যুক্তরাজ্য কমিটির সাবেক সভাপতি নুরুদ্দিন আহমদ, সহসভাপতি মতিয়ার চৌধুরী, সহসভাপতি জামাল খান, সহসাধারণ সম্পাদক শাহ মোস্তাফ্জুর রহমান বেলাল ও কোষাধ্যক্ষ এনামুল হক।

সবার শুরুতে জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এ তাঁর পরিবার, জেল হত্যার শিকার জাতীয় চার নেতা, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ৩০ লক্ষ মানুষ ও ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ জননী জাহানারা ইমামের স্মরণে দাড়িয়ে এক মিনিট  নিরবতা পালন করা হয়।

আলোচনায় বক্তারা বলেন, ১৯৯২ সালে শহীদ জননী জাহানারা ইমাম গণ আদালত প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে যে আন্দোলনের সূচনা করেছিলেন, সেই আন্দোলনের মাধ্যমে সঞ্চিত সাহস নিয়েই বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু করতে পেরেছিলেন। এই বিচার শুধু শুরুই নয়, বিচারের রায় শীর্ষ যুদ্ধাপরাধীদের মৃত্যুদণ্ড একে একে কার্যকরের মাধ্যমে নির্মূল কমিটির দীর্ঘ ৩১ বছরের আন্দোলন সফলতার দ্বারপ্রান্তেও নিয়ে গেছেন প্রধানমন্ত্রী।

তারা বলেন, বহু বাধা-বিপত্তি, জেল-জুলুম-হত্যার বন্ধুর পথ অতিক্রম করে গত ৩১ বছরে নির্মূল কমিটির আন্দোলন আজ বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে উপনিত। ২০১০ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠনের পর থেকে এ পর্যন্ত ২১ জন শীর্ষস্থানীয় যুদ্ধাপরাধীর বিচার সম্পন্ন হয়েছে, যা শহীদ জননীর আন্দোলনের প্রাথমিক বিজয় বলেই আমরা মনেকরি। যুদ্ধাপরাধীদের চলমান বিচার বানচালের জন্যে ষড়যন্ত্র ও সন্ত্রাসের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ শক্তির সরকার উৎখাতের অপচেষ্টা হচ্ছে এমন অভিযোগ করে বক্তারা এ বিষয়ে সতর্ক থাকার জন্যে সবার প্রতি আহ্বান জানান।

You might also like