লন্ডন হাই কমিশন ‘বঙ্গবন্ধু-এডওয়ার্ড হিথ ফ্রেন্ডশিপ অ্যাওয়ার্ড’ চালু করেছে

নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী

লন্ডনঃ বাংলাদেশ হাইকমিশন,লন্ডন গতকাল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৮ জানুয়ারি ১৯৭২ সালে যুক্তরাজ্যে সফরের ৫০তম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে ‘‘ব্রিটেনে বঙ্গবন্ধু : দ্য হিস্টোরিক ৮ জানুয়ারি” শীর্ষক এক বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এতে ব্রিটিশ মন্ত্রী, বিভিন্ন দলের সিনিয়র সংসদ সদস্য, কূটনৈতিক, শিক্ষাবিদ এবং ব্রিটিশ-বাংলাদেশি সম্প্রদায়ের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা বঙ্গবন্ধুর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং এই ঐতিহাসিক সফরের কূটনৈতিক ও ভূ-রাজনৈতিক গুরুত্ব তুলে ধরেন।অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডঃ এ কে আব্দুল মোমেন এবং গেস্ট অব অনার ছিলেন যুক্তরাজ্যের কনজারভেটিভ পার্টির চেয়ারম্যান ও মন্ত্রী অলিভার ডাউডেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন মিনিস্টার অব স্টেট ও ইকোনমিক সেক্রটারি টু ট্রেজারি জন গ্লেন, এমপি।

লেবার পার্টির চেয়ারম্যান অ্যানেলিজ ডডস, হাউস অফ লর্ডসে লিবারেল ডেমোক্র্যাট গ্রুপের নেতা লর্ড নিউবি, অল- পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপ অন বাংলাদেশ-এর ভাইস-চেয়ার বব ব্ল্যাকম্যান, এমপি, এবং হাউস অফ কমন্স ফরেন অ্যাফেয়ার্স সিলেক্ট কমিটির চেয়ার টম টুগেনহাট, এমপি অনুষ্ঠানে কনজারভেটিভ, লেবার এবং লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রতিনিধি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।

কমনওয়েলথ-এর মহাসচিব প্যাট্রিসিয়া স্কটল্যান্ড, যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র দপ্তরের ইন্ডিয়া ও ইন্ডিয়ান ওসেন অধিদপ্তরের পরিচালক বেন মেলর এবং যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার গাইত্রী ইসরার কুমার বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন ব্রিটিশ-বাংলাদেশি কমিউনিটির বিশিষ্ট সদস্য সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুক।পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডঃ এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘‘বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে ১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর প্রথমবারের মতো যুক্তরাজ্য সফর ২০২২ সালেও বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য কূটনৈতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে অপরিসীম ভূ-কৌশলগত এবং কূটনৈতিক তাৎপর্য বহন করছে।”

হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনীম বলেন,‘‘বঙ্গবন্ধুর ৮ জানুয়ারি যুক্তরাজ্য সফরের ৫০তম বার্ষিকী উপলক্ষে এবং বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে মূল্যবোধ ভিত্তিক বন্ধুত্বকে সম্মান জানাতে বাংলাদেশ হাইকমিশন ‘বঙ্গবন্ধু-এডওয়ার্ড হিথ ফ্রেডশিপ অ্যাওয়ার্ড’ চালু করেছে। বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের বন্ধুত্ব আরো গভীর ও সুদৃঢ় করার ক্ষেত্রে যারা অসাধারণ অবদান রাখবেন তাদের এই পুরস্কার দেওয়া হবে।ঐতিহাসিক ৮ জানুয়ারি এবং এর তাৎপর্য তরুণদের মধ্যে আরও প্রচার ও জনপ্রিয় করতে হাইকমিশনার একটি ‘‘৮ জানুয়ারি ফাউন্ডেশন” গঠনেরও ঘোষণা দেন।অনুষ্ঠানের শুরুতে হাইকমিশনার মিশনের কর্মকর্তাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৮ জানুয়ারি সফরের ওপর লন্ডন মিশন কর্তৃক নির্মিত একটি তথ্যচিত্র দেখানো হয়।

You might also like