শীতের সবজির সরবরাহ বাড়লেও দাম চড়া
নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী
ঢাকাঃ শীত জেঁকে বসার আগেই রাজধানীর বাজারগুলোতে শোভা পাচ্ছে মৌসুমি সবজি। হাতের নাগালে পেয়েও চড়া দামের কারণে এসব সবজি কিনতে পারছেন না অনেকেই। এর কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা উৎপাদন বৃদ্ধি না হওয়াকে দায়ী করছেন।শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) সাপ্তাহিক ছুটির দিনে রাজধানীর খিলগাঁও, শাহজাহানপুর, কমলাপুর, রামপুরা, কারওয়ান বাজারে এসব চিত্র দেখা যায়।শীতের সবজির ফুলকপি ও বাঁধাকপি আসলেও দাম তুলনামূলক বেশি। ছোট আকারের একেকটি কপি ৩৫-৪০ টাকা পিস, ছোট আকারের লাউ ৪০-৫০ টাকার মধ্যে, মাঝারি আকারের লাউ প্রতি পিস ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
প্রতিকেজি শিম ৮০ টাকা, বেগুন মান ভেদে ৫০-৮০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, পেঁপে ৩৫-৪০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৮০-১০০ টাকা, টমেটো ১৪০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, দেশি গাজর ১২০ টাকা, চায়না গাজর ১৫০ টাকা, পটল ৪০-৫০ টাকা, চিচিঙ্গা, ঢেঁড়স, শসা, ঝিঙা, কচুর মুখি, মুলা, ধুন্দল, বিক্রি হচ্ছে ৪০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।এছাড়া লেবুর হালি ১০ থেকে ৩০ টাকা, ধনে পাতার কেজি ৪০ টাকা, কলার হালি ৩০ টাকা, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা।বাজারগুলোতে লাল শাক ২০ টাকা আঁটি, লাউ শাক ৪০ টাকা, মুলা শাক ২০ টাকা, পালং শাক ২০ থেকে ২০ টাকা, কলমি শাক ১৫ টাকা, পুঁই শাক ৫০ টাকা আঁটি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।সবজি ক্রেতা আসিফ মিয়া বলেন, সবজির দাম কমার কোনো লক্ষণ দেখছি না। আগে শীতকালে মুলার হালি ১৫ থেকে ২০ টাকায় কিনতাম। এখন কেজি কিনতে হয় ৪০ টাকা। অথচ শীতকালে লাউ, শিম, ফুলকপি, বাঁধাকপি দাম কম থাকার কথা ছিল।সবজি বিক্রেতা আরিফুল বলেন, বাজারে সব ধরনের সবজি আছে। শীতকালীন সবজিতে বাজার ভরে গেছে। কিন্তু চাহিদার তুলনায় পর্যাপ্ত সবজি না আসায় দাম বাড়ছে।
বাজারে প্রতি ডজন সাদা ফার্মের ডিম ১৪৫ টাকা, লাল ফার্মের ডিম ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া হাঁসের ডিম ডজন প্রতি ২২০ টাকা, দেশি মুরগির ডিম ডজন প্রতি ২৪০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি ১৮০ টাকা, সোনালি মুরগি ৩০০ টাকা, দেশি মুরগি ৫২০ টাকা থেকে ৫৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে।গরুর মাংস কেজি প্রতি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, মাথার মাংস ৪৫০ টাকা, ছাগলের মাংস কেজি প্রতি ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।বাজারে কেজি প্রতি দেশি পেঁয়াজ ১২০ টাকা, আলু ৭০ টাকা, মান ভেদে নতুন আলু ১০০-১১০ টাকা, ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ ১০০-১২০ টাকা, রসুন ২২০ টাকা এবং আদা ২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এসব বাজারে পাঁচ কেজি সয়াবিন তেল ৮১৮ টাকা, দেশি মসুর ডালের কেজি ১৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
চাষের শিং মাছের কেজি (আকারভেদে) ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকা, রুইয়ের দাম কেজিতে বেড়ে (আকারভেদে) ছয় কেজি ওজনের রুই মাছ ৪০০ টাকা, এক কেজি ওজনের রুই মাছ ২৮০ টাকা, দেশি মাগুর ৮০০ থেকে ১১০০ টাকা, মৃগেল ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, পাঙাশ ২১০ থেকে ২৩০ টাকা, চিংড়ি ৮০০ থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকায়, বোয়াল ৫০০ থেকে ৯০০ টাকা, কাতল ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা, পোয়া ৪৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, পাবদা ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০ টাকা, কই ২২০ থেকে ২৪০ টাকা, মলা ৬০০ টাকা, বাতাসি টেংরা ১ হাজার ৩০০ টাকা, টেংরা ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, কাচকি ৫০০ টাকা, পাঁচমিশালি ২২০ টাকা, রূপচাঁদা ১ হাজার ২০০ টাকা, বাইম ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকা, দেশি কই ১ হাজার ২০০ টাকা, শোল ৬০০ থেকে ৯০০ টাকা, আইড় ৬৫০ থেকে ৮০০ টাকা, বেলে ৯০০ টাকা এবং কাইক্ক্যা ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।নতুন পাইজাম ও আটাশ চাল বাজারে আসতে শুরু করেছে। তবে পর্যাপ্ত পরিমাণে না আসায় বাজারে তেমন প্রভাব পড়েনি, আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে চাল।