‘সরকার গ্যাস ও কয়লার উৎপাদন বৃদ্ধিতে সর্বাত্মক কার্যক্রম গ্রহণ করেছে’

নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী

ঢাকাঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে গ্যাস ও কয়লার উৎপাদন বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে সর্বাত্মক কার্যক্রম গ্রহণ করেছে।তিনি বলেন, বর্তমানে দেশে গ্যাসের বর্ধিত চাহিদা মেটাতে এলএনজি আমদানি করে জাতীয় গ্রীডে সরবরাহ করা হচ্ছে এবং স্থলভিত্তিক এলএনজি টার্মিনাল স্থাপনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পাশাপাশি, দেশের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ জ্বালানি চাহিদা পূরণে গ্যাস উত্তোলন, প্রাকৃতিক গ্যাস ও খনিজ কয়লার মজুদ নির্ধারণ, আহরিত জ্বালানি সম্পদ ব্যবহারের নতুন ক্ষেত্র প্রস্তুত এবং সংশ্লিষ্ট অবকাঠামো উন্নয়নে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সংযোজন অব্যাহত রয়েছে। বঙ্গোপসাগরে বিশাল সমুদ্র এলাকায় ব্যাপক ভিত্তিক গ্যাস ও তেল অনুসন্ধান এবং উৎপাদন কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে।’

প্রধানমন্ত্রী সোমবার ‘জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস-২০২১’ উপলক্ষে আজ দেয়া এক বাণীতে এসব বলেন। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ‘জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস-২০২১’ উদ্যাপন করা হচ্ছে জেনে তিনি আনন্দিত বলে জানান।শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৫ সালের ৯ আগস্ট বৃটিশ তেল কোম্পানি ‘শেল অয়েল’ হতে ৫টি গ্যাসক্ষেত্র ক্রয় করে রাষ্ট্রীয় মালিকানায় এনে জ্বালানি নিরাপত্তার গোড়াপত্তন করেন যা স্বাধীন বাংলাদেশে জ্বালানি ক্ষেত্রে ঐতিহাসিক পদক্ষেপ। বঙ্গবন্ধু ১৯৭৫ সালের ১৪ মার্চ দ্যা ইএসএসও আন্ডারটেকিং একুইজিসান অর্ডিনেন্স ১৯৭৫ এর মাধ্যমে জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে যে যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন তারই ধারাবাহিকতায় বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার জ্বালানি তেল মজুদ ক্ষমতা বৃদ্ধি করেছে এবং সরবরাহ ও বিতরণে এনেছে আধুনিকতা।

তিনি বলেন, বর্তমানে জ্বালানি তেলের মজুদ ক্ষমতা ১৩.২৮ লক্ষ মেট্রিক টন যা দিয়ে ৪০-৪৫ দিন দেশের জ্বালানি তেলের চাহিদা মেটানো সম্ভব। মজুদ ক্ষমতা ক্রমান্বয়ে ৬০ দিনে উন্নীত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। বছরে প্রায় ৮০০ কোটি টাকা সাশ্রয়সহ দ্রুত সময়ে গভীর সমুদ্রে মাদার ভেসেল থেকে মুরিং-এর মাধ্যমে প্রধান স্থাপনা ও ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড এ জ্বালানি তেল আনলোডিং এর জন্য প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। দেশের জ্বালানি তেলের পরিশোধন ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ইআরএল (ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড) ইউনিট-২ স্থাপনের প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। জ্বালানি তেল পরিবহনে ঢাকা-চট্টগ্রাম পাইপলাইন এবং বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশীপ পাইপলাইনের নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে।প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন, গ্যাস সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার, নতুন নতুন গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কার এবং গ্যাস ও কয়লাভিত্তিক অর্থনৈতিক অবকাঠামোকে সুসংহত রূপদানের পাশাপাশি পরিবেশবান্ধব ও অন্যান্য বিকল্প জ্বালানি ব্যবহার ও জ্বালানির অপচয় রোধ করে সাশ্রয়ী ব্যবহার নিশ্চিত করার মাধ্যমে জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে এ দিবসটি আমাদের অনুপ্রেরণা যোগাবে। তিনি ‘জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস-২০২১’ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।

You might also like