সাংবাদিকবিহীন সংসদ অধিবেশন
নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী
জাতীয় সংসদ ভবন থেকেঃ জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশন শুরু হয়েছে আজ বুধবার। করোনাভাইরাসের কারণে স্বল্প পরিসরে এই অধিবেশন সাংবাদিকদের কাভার করার সুযোগ দেয়া হয়নি। তাদেরক সংসদ টিভি দেখে অধিবেশন কাভার করতে বলা হয়েছে। বাংলাদেশের সংসদীয় ইতিহাসে এমন ঘটনা আর আগে কখনও ঘটেনি বলে জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও সংসদের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।এ বিষয়ে জানতে চাইলে জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও বাংলাদেশ পার্লামেন্ট জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি শাহজাহান সরদার বলেন, ‘আমি সম্ভবত ১৯৮০ সাল থেকে সংসদ অধিবেশন কাভার করেছি। কিন্তু সাংবাদিকবিহীন এমন সংসদ আগে কখনও দেখিনি। আশা করি পরিবেশ পরিস্থিতি শিগগিরই ভালো হবে। আর সাংবাদিকরা সংসদে যাওয়ার সুযোগ পাবেন।’
জনকণ্ঠের বিশেষ প্রতিনিধি ও বাংলাদেশ পার্লামেন্ট জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট উত্তম চক্রবর্তী বলেন, ‘৩০ বছর হয়ে গেল আমি সংসদ অধিবেশন কাভার করি। বাংলাদেশের সংসদীয় ইতিহাস সাংবাদিক ছাড়া কখনোই অধিবেশন হয়নি। সাংবাদিক ও সংসদের একটি অংশ হচ্ছে সাংবাদিক। বাজেট অধিবেশনের মতো গুরুত্বপূর্ণ এই অধিবেশনে কী হচ্ছে তা সারাদেশের মানুষের কাছে তুলে ধরেন সাংবাদিকরা। তাই সাংবাদিক ও সংসদ অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। কিন্তু বর্তমান প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে বাধ্য হয়ে এটি করা হয়েছে।তিনি আরও বলেন, ‘এই সংক্রমণের দায় কেউ নেবে না। এই সংক্রমণ সংসদ সদস্যদের মাধ্যমে হতে পারে আবার সাংবাদিকদের মাধ্যমেও হতে পারে, আবার সংসদে কর্মরতদের মাধ্যমে হতে পারে। এই সব চিন্তাভাবনা থেকেই সাংবাদিকদের সংসদ অধিবেশন কাভার না করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছিল। আর ডিজিটাল বাংলাদেশ বলেই এটা সম্ভব হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ না হলে সীমিত পরিসরে হলেও সাংবাদিকদের জন্য ব্যবস্থা করা হতো।সংসদের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘আমি প্রায় ২৯ বছর ধরে সংসদে চাকরি করি। কিন্তু সাংবাদিকবিহীন কোনো অধিবেশন হতে দেখিনি।’
কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে করোনাকালের বাজেট অধিবেশন শুরু হয়েছে। বুধবার (১০ জুন) বিকেল ৫টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের এই বাজেট ও অষ্টম অধিবেশন শুরু হয়।সংসদে উপস্থিত সবাইকে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করে সংসদ ভবন ছাড়াও অধিবেশন কক্ষে ঢুকতে হয়। এছাড়া নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রাখতে নির্ধারিত এমপিদের সংসদে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। এজন্য যারা আজ যাওয়ার জন্য তালিকাভুক্ত শুধু তারাই অধিবেশনে যোগ দিয়েছেন। এ সময় সবাই মাস্ক পরেছিলেন। সবার তাপমাত্রা মাপা হয়েছে। অসুস্থ ও বয়স্ক এমপিরাও সংসদে যাননি।