সিভিএফের বিশেষ দূত আবুল কালাম আজাদ অর্ডার অফ দ্য রাইজিং সান পুরস্কার পেয়েছেন

নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী

ঢাকাঃ জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের (সিভিএফ) প্রেসিডেন্সির বিশেষ দূত মোঃ আবুল কালাম আজাদকে অর্ডার অফ দ্য রাইজিং সান, গোল্ড অ্যান্ড সিলভার স্টার পুরস্কার গ্রহন করার ঘোষণা দিয়েছেন।জাপানের সম্রাট নারুহিতো আগামী ১০ মে জাপানের ইম্পেরিয়াল প্যালেসে এই পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। জাপানের সম্রাট দীর্ঘমেয়াদে বিশেষত মেধাবী সেবার স্বীকৃতিস্বরূপ যোগ্য ব্যক্তিদেরকে দ্য অর্ডার অফ দ্য রাইজিং সান পুরস্কারে ভূষিত করেন।অর্ডার অফ দ্য ক্রিসান্থেমামের বেশিরভাগ ক্ষেত্রে রাজনীতিবিদদের দেয়া হয়। অর্ডার অব রাইজিং সান হচ্ছে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পুরস্কার।

জাপান সরকার জাপান-বাংলাদেশ বন্ধুত্বে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদের আজীবন অবদানের স্বীকৃতি দিচ্ছে।তিনি বাংলাদেশের বিদ্যুৎ সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে বিদ্যুৎ খাাতে মাস্টার প্ল্যান ২০১০ প্রণয়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশে জন্য জাইকার কর্মসূচিতে সহায়তা প্রদান করেন।তিনি ২০১৪ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত জাপানের সেক্রেটারি এমইটিআই -এর সাথে জাপান-বাংলাদেশ পাবলিক প্রাইভেট ইকোনমিক ডায়ালগ (পিপিইডি) এর সহ-সভাপতি ছিলেন।এই সময়ে টোকিও ও ঢাকায় অনুষ্ঠিত একাধিক বৈঠকে বাংলাদেশ ও জাপানের পিপিইডি সরকারি ও বেসরকারি খাতের নেতারা যোগ দেন।তার নেতৃত্বের কারণে, পিপিইডি সরকারী ও বেসরকারী বিনিয়োগ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং জাপান বাংলাদেশকে বিনিয়োগের জন্য উপযুক্ত স্থান হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।মহেশখালী মাতারবাড়ি ইন্টিগ্রেটেড ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভ (এমআইডিআই)-এর জন্য আজাদের নেতৃত্ব ছিল মৌলিক।২০১৮ সালে এমআইডিআই গঠিত হওয়ার পর, এমআইডিআই-এর চেয়ারম্যান হিসেবে বিদ্যুৎ, জ্বালানি, গভীর-সমুদ্র বন্দর এবং অর্থনৈতিক অঞ্চলে জাপানের আরও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। তিনি নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার জাপানিজ ইকোনমিক জোন বাস্তবায়নে ঘনিষ্ঠভাবে নেতৃত্ব দেন।

তিনি যখন স্বেচ্ছাসেবক জাতীয় কমিশনার, প্রধান জাতীয় কমিশনার এবং বাংলাদেশ স্কাউটসের সভাপতি ছিলেন তখন জাপান ও বাংলাদেশ স্কাউটস ২০০১-২০১৮ পর্যন্ত প্রায় দুই দশক ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছেন। আজাদ ২০১৬ সালের জুলাই মাসে হলি আর্টিজান হামলার পর জাপানের সাথে সহযোগিতা বৃদ্ধি ও আস্থা-নির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। তিনি জাপান-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সুষ্ঠু ধারাবাহিকতা রক্ষায় অবদান রেখেছেন।আজাদ বাংলাদেশের বিদ্যুৎ সচিব এবং পরবর্তীতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব, মুখ্য সচিব এবং পরে, প্রধান এসডিজি সমন্বয়কারী হিসেবে তার ভূমিকায় বাংলাদেশের ঐতিহাসিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে অবদান রাখেন।বর্তমানে, ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বায়োডাইভারসিটি বিষয়ক গ্লোবাল কমিশনের কমিশনার এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক নিযুক্ত ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরাম প্রেসিডেন্সির বিশেষ দূত হিসেবে তিনি জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশ সচেতনতার পক্ষে কথা বলছেন।

You might also like