সিলেটের প্রস্তুতি ক্যাম্পে সন্তুষ্ট হাথুরুসিংহে
চঞ্চল মাহমুদ ফুলর
সত্যবাণী
সিলেট থেকেঃ সিলেটের পিচ ও কন্ডিশনে সন্তুষ্ট হয়েছেন জাতীয় দলের হেড কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। তার দাবি, পিচ ও কন্ডিশন তারা যেমনটা চেয়েছিলেন, ঠিক তেমনটাই ছিল। আগামী মাসে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। যেটি অনুষ্ঠিত হবে ইংল্যান্ডের চেমসফোর্ডে। তাই সেখানকার উইকেট ও কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে সিলেটে ক্যাম্প করেছে জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা। ৩ দিনের এই ক্যাম্পটি শেষ হলো শনিবার। আমাদের ক্রীড়া প্রতিবেদক জানান, ২৯ এপ্রিল শনিবার সংবাদ সম্মেলনে মুখোমুখি হয়েছিলেন বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ চন্দ্রিকা হাথুরুসিংহে। এ সময় তিনি বলেন, ‘আমরা কন্ডিশন নিয়ে খুবই সন্তুষ্ট। আমরা যেমন চেয়েছিলাম, তেমন পিচ কন্ডিশন তৈরি করতে তারা (কিউরেটর ও মাঠকর্মীরা) কঠোর পরিশ্রম করেছেন। আমাদের খুব ভালো প্রস্তুতি হয়েছে। আপনি দেখতে পারেন ছেলেদের এনার্জি। ইন্টেনসিটি খুব ভালো ছিল, আমি এটাতে খুশি।
দ্বিতীয় মেয়াদে কোচিং করাতে আসা হাথুরুসিংহে বাংলাদেশের ব্যাটিং অর্ডারকে ভালোভাবেই জানেন। ওপেনিংয়ে রীতিমতো ধুঁকতে দেখা যায় বাংলাদেশী ব্যাটারদের। ওপেনারদের ভালো করার টোটকা দিয়ে রাখলেন হাথুরুসিংহে। সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ কোচ বলেন, ‘ওপেনার হলে ১০ ওভার ব্যাট করতে হবে, কীভাবে শুরু করতে হবে এবং ফিল্ডিং রেস্ট্রিকশনের (৩০ গজের মধ্যে ফিল্ডার রাখার বাধ্যবাধকতা) সর্বোচ্চ ব্যবহার কীভাবে করতে হবে সেটাও ভাবতে হবে। মাঝে ব্যাট করলে পরিস্থিতি অন্যরকম থাকবে। কখনো ৪ জন বা ৫ জন আউট হওয়ার পর আসতে হবে (ব্যাটিংয়ে)।সিলেটের অনুশীলন ক্যাম্পে প্রধান কোচের কাজ কী ছিল? এমন প্রশ্নের জবাবে হাথুরুসিংহে জানান, তিনি আসলে বিশেষ কিছু করাননি। হাথুরু বলেন, ‘আমি কারও সঙ্গেই বাড়তি কিছু করিনি। আমি শুধু মাঝে দাঁড়িয়ে এটি নিশ্চিত করছিলাম যে, সেশনটা যেন ভালোভাবে শেষ হয় এবং ইন্টেন্সিটি না কমে। নির্দিষ্ট কাউকে নিয়ে চিন্তিত নই আমি। পুরো দল নিয়েই ভাবছি। সে (তামিম) খুব ভালো ব্যাটিং করছে। এই ক্যাম্পে যেভাবে ব্যাটিং করেছে, আমি খুব খুশি।৯ মে থেকে শুরু হতে যাওয়া আয়ারল্যান্ড সিরিজটি ওয়ানডে সুপার লিগের অংশ। ঘরের মাঠে আইরিশদের বিপক্ষে বাংলাদেশ যেমন আক্রমণাতœক ছিল, ইংল্যান্ডের মাটিতে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষেও ইতিবাচক ও আগ্রাসী ক্রিকেট খেলবে বাংলাদেশ দল।হাথুরুসিংহে বললেন, ‘সব সময় আগ্রাসী ক্রিকেট খেলার মানসিকতা থাকবে আমাদের। এর মানে এই না যে, বল মেরে স্টেডিয়ামের বাইরে পাঠাতে হবে।আগ্রাসী ক্রিকেট মানে হলো, যাই করি না কেন, ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে করতে হবে।পাশাপাশি সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রেও আগ্রাসী থাকা, সেটা হোক দল বাছাই কিংবা ফিল্ড প্লেসিং কিংবা কী ধরনের বোলিং করা হবে। আমরা ছেলেদেরকে এই স্বাধীনতা দিতে যাই, যেন তারা মাঠে গিয়ে নিজেদের মেলে ধরতে পারে।’