সুনামগঞ্জে বাসা মালিকের হামলায় ভাড়াটিয়া আহত, থানায় অভিযোগ

শামীম আহমদ তালুকদার
সত্যবাণী

সুনামগঞ্জ থেকেঃ সুনামগঞ্জ পৌর শহরের ষোলঘর সুরমা আবাসিক এলাকায় বৈদ্যুতিক বাল্ব জ্বালানোকে কেন্দ্র করে বাসার মালিক পক্ষের হাতে তিন ভাড়াটিয়া সদস্য আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।হামলার ঘটনায় সুনামগঞ্জ সদর থানায একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।অভিযোগ সূত্রে জানা যায় গত ৭/৮সেপ্টেম্বর দুইদিন ভাড়াটিয়ার উপর হামলা চালায় মালিক পক্ষ। এসময় হামলায় আহত হন ষোলঘর সুরমা আ/এ বাসিন্দা মৃত আব্দুর রহমানের স্ত্রী আছিয়া বেগম, ছেলে ব্যবসায়ী আব্দুল মজিদ লিটন(৪২),ও আব্দুল কদ্দুস শিপন। আহতদের সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে।

এ ঘটনায় আব্দুল মজিদ বাদী হয়ে ১০ সেপ্টেম্বর রাতে ষোলঘর সুরমা আবাসিক এলাকার বাসিন্দা আব্দুল্লা খানঁ(৫৮),নাজিম খাঁন(৩৮),ও নিঝুম খাঁন (২৪)এবং অজ্ঞাত নামা আরও ৫/৬জনকে বিবাদী করে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।অভিযোগ সূত্রে জানা যায় প্রায় বছর খানিক ধরে আব্দুল মজিদ বিবাদীদের নীচতলায় বাসার ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করে আসছেন। গত ৭ সেপ্টেম্বর মালিকপক্ষ বিবাদী নিঝুম খানের সাথে বিদ্যুতের লাইট জ্বালানোকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে বাসার মালিক আব্দুল্লাহ খাঁন রেগে যান এবং তার দুই ছেলে নিঝুম ও নাজিমকে হুকুম দিয়ে ভাড়াটিয়ার উপর হামলা চালান। এসময় ভাড়াটিয়া আব্দুল মজিদ ও আছিয়া বেগমকে বেদড়ক মারপিট করে তাদের হাত ও পায়ে এলোপাতাড়ি দা*ড়ালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করতে থাকেন।তাদের আঘাতে আব্দুল মজিদের হাত ও রাজিয়া বেগমের পায়ে গুরুতর জখম হয়।তাদের চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে এসে হামলাকারী বাসার মালিকপক্ষের লোকজনের কবল থেকে আহত ভাড়াটিয়াদের উদ্ধার

করে সদর হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়। পরের দিন ৮ সেপ্টেম্বর বিকালে আবারো মালিকপক্ষের লোকজন বিবাদী নিঝুম বাদীর ভাই আব্দুল কদ্দুসের উপর মোটর সাইকেলে যাওয়ার পথে রাস্তা অবরোধ করে দেশীয় অস্ত্র রামদা দিয়ে মাথায় আঘাত করে আহত করে পালিয়ে যায়। আব্দুল কদ্দুসের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় সদর হাসপাতালে নিয়ে থাকে ভর্তি করা হয় বর্তমানে সে সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।এ ঘটনায় মামলার বাদিপক্ষ চরম নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাচ্ছেন বলে জানান।এ ব্যাপারে বাসার মালিক হামলাকারী ও মামলার আসামী মোঃ আব্দুল্লা খানের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে হামলার ঘটনাটি অস্বীকার করেন। এব্যপারে সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো: সহিদুর রহমান জানান অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থ গ্রহন করা হবে।

You might also like