স্পেন বাংলাদেশের সঙ্গে ‘আরো গভীর সহযোগিতা’ চায় : রাষ্ট্রদূত

নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী

ঢাকাঃ বাংলাদেশে স্পেনের রাষ্ট্রদূত ফ্রান্সিসকো ডি আস-এস বেন-তেজ সালাস বলেছেন, বাংলাদেশ ও স্পেন ৫০ বছরের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক পর্যালোচনার প্রেক্ষিতে মাদ্রিদ ‘আরো গভীরভাবে সহযোগিতা’ এগিয়ে নিতে প্রস্তুত।তিনি বলেন, এটি আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের (বাংলাদেশের সঙ্গে) উদযাপনের দিন, ৫০ বছরে আমরা এলডিসি-লং ডিসটেন্স কন্ট্রাক্ট থেকে বেরিয়ে এসেছি এবং আমরা আরও গভীর সহযোগিতায় যেতে প্রস্তুুত।
রাষ্ট্রদূত গত সন্ধ্যায় রাজধানীতে বাংলাদেশ-স্পেন দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতায় একথা বলেন। পশ্চিম ইউরোপীয় দেশ স্পেন ১৯৭২ সালের ১২ মে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে স্বীকৃতি দেয়।রাষ্ট্রদূত বলেন, পঞ্চাশ বছর আগে বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধের ঠিক পরপরই অত্যন্ত কঠিন পরিস্থিতিতে তাঁর দেশ ও জনগণকে ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন। স্পেন মাত্র ৫০ বছরে বাংলাদেশের ‘অপ্রতিদ্বন্দ্বী ও অতুলনীয় মিরাকল’-এর স্বীকৃতি দেয় ও প্রশংসা করে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়ন, অগ্রগতি এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বহু ক্ষেত্রে উচ্চ সফলতার দাবি রাখে।

তিনি বলেন, এই ৫০ বছরে বাংলাদেশ ও স্পেনের মধ্যে গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের জন্য দুই দেশের জনগণের নিরন্তর আকাক্সক্ষার ভিত্তিতে চমৎকার গভীর বন্ধুত্বের সম্পর্ক রয়েছে।রাষ্ট্রদূত অবশ্য বলেন, বাংলাদেশ ও স্পেনের মধ্যে অনেক অনাবিষ্কৃত ক্ষেত্র এবং সম্পদ এখনও অব্যবহৃত রয়েছে।তিনি বলেন, এটা আমাদের অভিন্ন চ্যালেঞ্জ। তাই আমি বাংলাদেশ-স্পেন যৌথ এক্সপ্লোরিং দল পদক্ষেপের জন্য প্রস্তুত হওয়ার প্রস্তাব দিচ্ছি। এ ক্ষেত্রে সুফল পাওয়ার সম্ভাবনা অপরিসীম।বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে আশু উত্তরণের বিষয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ সম্মানের সঙ্গে উত্তরণ হবে। অনুষ্ঠানে রেলমন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সুজন, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী এম মাহবুব আলী এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করর্পোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসসহ অন্য গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত স্পেনিশ রাজা বাংলাদেশ-স্পেন সম্পর্কে ক্ষেত্রে উল্লেযোগ্য অবদানের জন্য বাংলাদেশ ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের বিশিষ্ট ব্যক্তি এনভয় গ্রুপের চেয়ারম্যান কুতুববুদ্দীন আহমেদকে ‘অফিসার্স ক্রস অব দ্য রয়েল অর্ডার অব দ্য সিভিল মেরিট’ প্রদান করেন।

You might also like