হবিগঞ্জের মোহাম্মদ আলী হত্যার একযুগ পর একজনের মৃত্যুদণ্ড
সিলেট অফিস
সত্যবাণী
হবিগঞ্জে চাঞ্চল্যকর মোহাম্মদ আলী হত্যা মামলায় ১ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ৩ আসামীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সাথে প্রত্যেক আসামীকে জরিমানা করা হয়েছে ৫ লাখ টাকা করে।
হবিগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা জানান, ৯ জুলাই মঙ্গলবার বিকেলে হবিগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ১ম আদালতের বিচারক মো. আজিজুল হক এ রায় ঘোষণা করেন।
রায় ঘোষণার সময় আসামীরা পলাতক থাকলেও খালাস পাওয়া একজন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। নিহত মোহাম্মদ আলী হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বাগআছড়া গ্রামের হাজী আলতাব আলীর পুত্র।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তি বাহুবল উপজেলার গুহারোয়া গ্রামের মতিন সর্দারের পুত্র সাইদুর রহমান ছায়েদ। যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্তরা হলো, একই উপজেলার বশিনা গ্রামের মৃত আনছব উল্লার পুত্র মো. মর্তুজ আলী, মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল থানার শ্যামলী আবাসিক এলাকার মৃত আব্দুল কাদিরের পুত্র খোকন মিয়া ও বাহুবল উপজেলার কিরবাসই এলাকার কাজী চনু মিয়ার পুত্র কাজী এমরান মিয়া। এছাড়াও কোন অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আব্দুর রউফ নামে এক ব্যক্তিকে খালাস দেয়া হয়েছে। আর ইতোমধ্যে মৃত্যুবরণকরায় অব্যাহতি দেয়া হয়েছে মাহবুবুল আলম ও আব্দুল্লাহ মিয়া নামে ২ ব্যক্তিকে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবি এডভোকেট পারভীন আক্তার জানান, ২০০৮ সালের ১৩ জুলাই মোহাম্মদ আলী নামে ওই ব্যক্তি হবিগঞ্জ শহরের ব্যাংক থেকে ১০ লাখ টাকা উত্তোলন করে বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে কদমতলী নামক স্থানে তার গতিরোধ করে একদল দুর্বৃত্ত। এ সময় কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে টাকা লুট করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তের দল।
পরে মোহাম্মদ আলীকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে এ ঘটনায় নিহতের পিতা হাজী আলতাব আলী বাদী হয়ে ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলায় সাক্ষীদের স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষে দীর্ঘ ১৬ বছর পর রায় ঘোষণা করেন আদালত। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবি এডভোকেট পারভীন আক্তার রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন।