কর্মস্থল বন্ধ, ব্রিটেনে কৃষিতে নামছেন চাকরিজীবীরা
নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী
লন্ডনঃ করোনা ভাইরাস মহামারিতে অন্যান্য দেশের মতো যুক্তরাজ্যেও স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে অনেক মানুষকে ঘরবন্দি থাকতে হচ্ছে। অনলাইনে হোম ডেলিভারিতে কেনাকাটা করা বা মাস্ক পরে সামাজিক দূরত্ব মেনে সুপারশপে যাওয়া এসব নাগরিকদের হয়তো চোখে পড়ছে না কীভাবে তাদের এসব খাদ্যপণ্যের জোগান আসছে।দেশে কোভিড ১৯ সংক্রমণের সংখ্যা যখন প্রায় ২ লাখ ছুঁই ছুঁই তখন ব্রিটেনের কৃষি খামার মালিকরা ফসল কাটতে পূর্ব ইউরোপের অভিবাসী শ্রমিকদের বসন্তের ছুটি বাতিল করেছে।
যদিও অনেক ব্রিটিশ নাগরিক এখানে সেখানে ফুরফুরে মেজাজে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এ অবস্থায় দেশটির সরকার স্থানীয়দের মাঠে নামানোর নীতি গ্রহণ করেছে।সম্প্রতি পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক ও ব্রিটিশ সরকারের এক কর্মকর্তা বলেন, অভিবাসী শ্রমিকদের এক তৃতীয়াংশের মতো কৃষিখাতে কাজ করবে। জুনের ফসল ঠিকমতো ঘরে তুলতে সরকার ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা লাখ লাখ শ্রমিককে এ কাজে যোগ দিতে উৎসাহিত করবে বলে জানান তিনি।তার মতে, করোনার অর্থনৈতিক বিপর্যয় মোকাবিলা করতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মতো পুরো জাতিকে এক হয়ে লড়াই করতে হবে। এমন আহ্বানের পর বিভিন্ন শ্রেণি, পেশার নারী পুরুষকে ফসলের মাঠে দেখা যাচ্ছে। লেটুস পাতা তোলা থেকে শুরু করে, সেগুলোর প্যাকিং, ওয়্যারহাউজে পাঠানোর মতো কাজ করছেন অনেকেই।
যাদের মধ্যে আছে নির্মাণ প্রকৌশলী, রাধুঁনী, রেস্তোরাঁর ওয়েটার হিসেবে কাজ করা কর্মীরাও। যাদের আগের কর্মস্থল করোনা বিস্তারের সাথে সাথে বন্ধ হয়ে গেছে অনির্দিষ্টকালের জন্য।কাজ হারিয়ে তারা এখন নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ হিসেবে কৃষিকাজে ফিরছেন।তবে খামার মালিকরা বলছেন, ম্যাকডোনাল্ডসসহ তাদের অনেক প্রাতিষ্ঠানিক ক্রেতা হাতছাড়া হয়ে গেছে। তারা লোকসানের মুখে পড়েছেন। তারপরও সময়মত ফসল কাটতে তাদের শ্রমিক প্রয়োজন, যার ঘাটতি পূরণ করতে হবে নতুনদের দিয়ে, যারা আগে কৃষিকাজে জড়িত ছিলেন না। ভিন্ন পেশা থেকে কৃষিতে আসা নতুনদের কেউ কেউ সাধারণ মানুষের জন্য খাবার উৎপাদনে যুক্ত হয়ে খুব গর্বিত ও সম্মানিত বোধ করছেন।