রোজিনা ইসলামের মুক্তির দাবি প্রবাসী সাংবাদিকদের
শাহ মো:তানভীর
সত্যবাণী
ইউরোপ: পেশাগত দায়িত্বে গিয়ে প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলামের হেনস্তা-মামলা-কারাবাসের ঘটনা দেশের মতো প্রবাসেও বেশ তোলপাড় পড়েছে।এ নিয়ে ইউরোপে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশি সাংবাদিকরা ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।একই সঙ্গে তারা সাংবাদিক সমাজকে অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেৃ।তাদের মতে, আন্তর্জাতিক পুরস্কার পাওয়া একজন অনুসন্ধানী ও উদ্যমী সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে হেনস্তা ও সাজানো মামলায় জড়ানো গণতন্ত্র ও স্বাধীন গণমাধ্যমের জন্য হুমকি, সরকারকে সাংবাদিক সমাজের মুখোমুখি দাঁড় করোনোর গভীর যড়যন্ত্র।
ইতালি থেকে মনিরুজ্জামান মনির বলেন,রোজিনা এখন শুধুমাত্র সাংবাদিক বা নাম নয়, রোজিনা এখন একটি প্রতিবাদ। রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় আনীত অভিযোগ নিঃশর্তভাবে প্রত্যাহার করতে হবে। তার উপর নির্যাতনকারী সকল সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তি মূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। রোজিনা ইসলামকে হেনস্তা ও গ্রেপ্তার উদ্বেগজনক বলে উল্লেখ করেছে জাতিসংঘ, যা আমাদের জন্য দু:খ এবং লজ্জাজনক।পর্তুগাল অবস্থানরত সিনিয়র সাংবাদিক বেলাল আহমদ বলেন, আজকে গণমাধ্যম বন্দি শালায়। এটা আমাদের জন্য এক লজ্জাজনক অধ্যায়। আমরা আমাদের বাক স্বাধীনতার পাশাপাশি গণমাধ্যমের স্বাধীনতা কে ও হারিয়েছি। যা আমাদের দেশের জন্য মোটেও শুভকর নয়। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে নয়, দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিলে দেশ- জাতি ও সমাজ উপকৃত হবে ।
স্পেন থেকে বকুল খান বলেন, দূর্নীতি এবং অনিয়ম এর বিরুদ্ধে সরকার সবসময় জিরো টলারেন্স নিতি অবলম্বন করছে। সে অনুযায়ী স্বাস্হ্য মন্ত্রনালয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে আটক ,নির্যাতনের শিকার হন রোজিনা ইসলাম। এ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি ,শুধু স্বাধীন সাংবাদিকতা উপর۔۔ আঘাত হেনেছে তাই নয় ,পক্ষান্তরে আশ্রয় ,প্রশ্রয় দেওয়া হয়েছে দুর্নীতি ,লুটপাটের বরপুত্রদের অনতিবিলম্বে রোজিনা ইসলামের নিঃশর্ত মুক্তি দিয়ে ,অনিয়ম ও দুর্নীতি বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান তিনি।
পর্তুগাল থেকে লেখক এবং সাংবাদিক মনির হোসেন বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর অতিক্রম করার পর আমরা কিছু সফলতার সাথে ব্যার্থতা ও পেয়েছি। কিছুদিন আগে প্রকাশ পাওয়া বিশ্ব গণমাধ্যম সূচকে আমরা তলানীতে অবস্হান করছি। এটা আমাদের গণমাধ্যম গুলোর জন্য মোটেও শুভকর নয়।ফিনল্যান্ড থেকে লেখক মজিবুর দফতরি বলেন, সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে গৃহীত সহিংস ও দমনমূলক ব্যবস্থা বাংলাদেশের স্বাধীন সাংবাদিকতার উপর সরাসরি আক্রমণ। একজন সাংবাদিকের ভূমিকা হ’ল জনসাধারণের কাছে স্বচ্ছতা আনার জন্য জনগণের কাছে গোপন রহস্য উদঘাটন করে সত্য প্রকাশ করা। এটি শক্তিশালী মহলগুলিকে ক্ষুব্ধ করতে পারে যারা দুর্নীতি এবং জনসম্পদের অব্যবস্থাপনায় লিপ্ত রয়েছে। সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম কেবল তার পেশাগত দায়িত্ব পালন করেছেন। সাংবাদিকতা কোনও অপরাধ নয়। সরকারকে তার মুক্ত করা উচিত এবং তার বিরুদ্ধে সমস্ত অভিযোগ প্রত্যাহার করা উচিত বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেন ।