পর্তুগালে দেউলিয়া হওয়ার পথে বাংলাদেশী ব্যবসায়ীরা
শাহ মো:তানভীর
সত্যবাণী
পর্তুগাল : বৈশ্বিক করোনা মহামারির প্রভাবে ইউরোপের দেশ পর্তুগালে দেউলিয়া হওয়ার পথে প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা । দেশটিতে প্রায় ২৫ হাজার বাংলাদেশি অভিবাসীর ৬০ ভাগই পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায় জড়িত। কিন্তু করোনার প্রভাবে বর্তমানে অনেকটাই পর্যটকশূন্য পর্তুগাল।উল্লেখ্য করোনায় বিপর্যস্ত পর্তুগালের পর্যটন খাতে এসব বাংলাদেশীরও লাখ লাখ ইউরো বিনিয়োগ রয়েছে। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে বড় লোকসানের মুখে পড়েছেন তারা। বর্তমানে অনেক দোকান ভাড়াসহ অন্যান্য খরচ চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। বাধ্য হয়ে অনেকেই ব্যবসা গুটিয়ে ফেলছেন।
পর্তুগালে প্রতি বছর প্রায় ২০ মিলিয়ন পর্যটক যান। এসব পর্যটককে ঘিরে নানা ধরনের ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসারিত হয়েছে সেখানে। পর্তুগালের রাজধানী লিসবন, পর্তো, ফারো শহরের মতো বড় শহরগুলোতে বাংলাদেশীদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এ শিল্পে লাখ লাখ ইউরো বিনিয়োগ করেছেন সেখানকার বাংলাদেশীরা। করোনার প্রভাবে কার্যত বাণিজ্যশূন্য হয়ে পড়েছে দেশটি।বাংলাদেশ কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব ও পর্তুগাল বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রানা তাসলিম উদ্দিন সমকালকে বলেন, ‘দীর্ঘ জরুরি অবস্থা ও লকডাউনে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা বিপুল খতির মুখোমুখি হয়েছেন। পর্তুগালে প্রায় পাচশতাধিক সুভেনির শপ রয়েছে ।বর্তমানে প্রায় পর্যটন শূন্য পর্তুগাল ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সুভেনির শপের মালিকরা ।
পর্তুগালের বন্দর নগরী পর্তোর বাংলাদেশ কমিউনিটির সভাপতি শাহ আলম কাজল বলেন পর্তুগালে আমরা যারা বাংলাদেশী ব্যবসায়ীরা রয়েছি তারা অনেক খতির মুখে আছি । পর্তুগালের করোনা পরিস্তিতি কিছুটা ভালো হলে ও পর্যটক না আসায় ব্যবসায় মন্দাভাব এখনো কাটিয়ে উঠতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা।লোকসান গুনতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের ।
পর্তুগালের রাজধানী লিসবনের বাংলাদেশী ব্যবসায়ী রুপন আহমেদ জানান পর্যটক নেই বলে ব্যবসা-বাণিজ্য নেই। গত বছর থেকে ব্যবসার অবস্থা খুবই খারাপ। বেচাবিক্রি একদম নেই। পর্তুগালে আমরা বাংলাদেশী ব্যবসায়ীরা নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তনের পাশাপাশি আমাদে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে শতশত বাংলাদেশীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছিল কিন্তু করোনার অনেকে চাকরি হারিয়ে বেকার রয়েছেন। আমাদের অনেকের ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধের মুখে ।