ইষ্টবোর্নে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন: শীঘ্রই স্থায়ী শহিদ মিনার প্রতিষ্ঠার আশাবাদ

নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী 

লন্ডন: প্রতি বছরের মতন এবারও ইষ্টবোর্নের বাংলাদেশী সম্প্রদায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন ও উদযাপনের নেতৃত্ব দিয়েছে । গত ২৭ ফেব্রুয়ারী ইস্টবোর্নের ওল্ড টাউনের কমিউনিটি ওয়াইজে ইউনাইটেড নেশনস অ্যাসোসিয়েশন ইস্টবোর্নের চেয়ার ইয়ান এলজি এবং ভাইস চেয়ার মজমিল হুসেন এ উপলক্ষে এক  অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। অনুষ্ঠানে শীঘ্রই ইষ্টবোর্নে একটি স্থায়ী শহীদ মিনার হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।

বাঙালির রক্তে অর্জিত ভাষা দিবসটি এখন সারা বিশ্বে পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে। ভাষা সৈনিকরা বাংলা ভাষা, সংস্কৃতি এবং ভাষাগত বৈচিত্র্যের পার্থক্য রক্ষা করার জন্য তাদের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন যা অন্যদের প্রতি সহনশীল হওয়ারংই শিক্ষা দেয়। ১৯৫২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাঙালি ছাত্রদের উপর এই নৃশংসতা অনেক দূরের ঘটনা বলে মনে হলেও, ভাষা আন্দোলন এখন কিন্তু এমন একটি মাইলফলক যা ১৯৯৯ সাল থেকে জাতিসংঘ কর্তৃক স্বীকৃত দিবস আন্তর্জাতিক ভাবে পালিত হচ্ছে।

অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিরা তাদের বক্তব্যে বলেন, প্রতিটি সম্প্রদায়ের মধ্যে ভাষা বন্ধন তৈরি ও বহুসংস্কৃতির মধ্যে সরাসরি সংযোগ স্থাপন করে। বক্তারা একে অপরের ভাষা সম্পর্কে সচেতনতা এবং টেকসই সমাজের জন্য সাংস্কৃতিক ও ভাষাগত বৈচিত্র্যের গুরুত্বের কথা বলেন।  তাদের মতো এর ফলে ভুল বোঝাবুঝি কমিয়ে আরও সহজে এবং কার্যকরভাবে পারস্পরিক যোগাযোগ সহজ হবে।    বক্তারা বলেন, আমাদের ছোট শিশুদের তাদের নিজস্ব ভাষা শিখতে উৎসাহিত করার পাশাপাশি আমরা যে দেশে বাস করি সেই দেশের ভাষা শেখারও তাহিদ দিতে হবে। এতে তাদের আত্মবিশ্বাস সমৃদ্ধ হবে।

নিজেদের এলাকায় একটি শহীদ মিনার প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চলছে উল্লেখ করে অনুষ্ঠান আয়োজকরা বলেন, মহামারীর কারণে বহু প্রতীক্ষিত শহীদ মিনার বিলম্বিত হচ্ছে তবে আমরা কাউন্সিলে পরিকল্পনা জমা দেওয়ার কাছাকাছি চলে এসেছি। আমাদের আশা যে পরিকল্পনার অনুমতি দেওয়া হলে শহীদ মিনারটি ইস্টবোর্নে একটি বিশিষ্ট স্থানে জায়গা করে নিবে। এটি ভাষার গুরুত্বের একটি অনুস্মারক হবে।

অনুষ্ঠানের প্রধান আয়োজক মজমিল হোসেন বলেন, “লকডাউনের সময় আমি প্রার্থনা করেছিলাম যে এই দিনটি যেন শীঘ্রই আমাদের মধ্যে আসে। আজ ইস্টবোর্নে এই বহুভাষিক অনুষ্টান আয়োজনের মাধ্যমে ভাষার গুরুত্ব স্বীকৃত হলো”। ইষ্টবোর্নে একটি স্থায়ী শহীদ মিনার প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম এগিয়ে যাচ্ছে জানিয়ে সত্যবাণীকে তিনি বলেন, “স্বপ্নের এই শহীদ মিনার প্রতিষ্ঠার কার্যক্রমে আমরা সকলের সহযোগীতা চাই”।

You might also like