সরকার বন্যাদূর্গতদের পাশে রয়েছে:পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান

চঞ্চল মাহমুদ ফুলর
সত্যবাণী

সিলেট থেকেঃ পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, বন্যার পানি কমা শুরু হয়েছে, এখনো পুরাপুরি কমেনি। শারীরিক অসুস্থতার কারণে বন্যার সময় এলাকায় আসতে পারি নাই। সরকার যতটুকু সম্ভব প্রশাসন ও দলীয় লোকদের মাধ্যমে প্রথম থেকেই ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে।শনিবার দুপুরে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলায় বন্যার্ত মানুষের মাঝে পরিকল্পনামন্ত্রী বিতরণ শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি কথাগুলো বলেন।তিনি বলেন, ‘আমার ধারণা খাবার নিয়ে কোন অসুবিধা হয়নি, অসুবিধা হয়েছে থাকার ব্যবস্থা নিয়ে। সব থেকে অবাক করা বিষয় হল, মানুষ এখন ভাত চায় না, আগে বিদ্যুৎ চায়। এখন যুগের অনেক পরিবর্তন হয়েছে। আগে যেভাবে মানুষ বলতো খাবার দাও, এখন বলে বিদ্যুৎ দেন, মোবাইল চার্জ করবো। দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন হয়েছে। এটা মনে রাখা উচিত। সব থেকে বড় কাজ হবে পুনর্বাসন। বন্যাদূর্গত এলাকায় ত্রাণের কাজ চলবে। আরো ত্রাণ আসবে। ধীরে ধীরে বন্যাদূর্গত এলাকার মানুষ বাড়ি যাওয়া শুরু করেছেন। ২/১ দিনের মধ্যেই দেখবেন আশ্রয়কেন্দ্রগুলো খালি হয়ে গেছে।’
তিনি বলেন ‘আপনার মনে রাখা উচিত বন্যাদূর্গত এলাকা প্রধানমন্ত্রী নিজ চোখে দেখে গেছেন। সভা করেছেন সবাইকে নিয়ে, আমরা উনার কাছে আবেদন রেখেছি। আমাদের জেলার জন্য, সুনামগঞ্জের হাওর এলাকার জন্য একটি বিশেষ প্রকল্প দিয়ে রাস্তা-ঘাট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঠিক করার। আমার সহকর্মী স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর কাছে ব্যক্তিগতভাবে আবেদন রেখেছি। প্রকল্প তৈরী করে নিয়ে যাব। দ্রুত সময়ের ভিতরে অনুমোদন হলে পানি কমার সাথে সাথে কাজ শুরু করতে পারবো বলে আশা করি। ইতিমধ্যে যে বা যারা বন্যাদূর্গত এলাকায় ত্রাণ দিয়ে সহযোগিতা করেছেন তাদেরকে ধন্যবাদ।এ সময় জগন্নাথপুর উপজেলা আ’লীগের সভাপতি আকমল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রিজু, উপজেলা নিবার্হী কর্মকতা মো. সাজিদুর রহমান, থানার ওসি মো. মিজানুর রহমান, রাণীগঞ্জ ইউনিয়ন আ’লীগ সভাপতি মো. সুন্দর আলী, সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান শেখ ছদরুল ইসলামসহ প্রশাসনের বিভিন্নস্তরের কর্মকর্তা এবং উপজেলা আ’লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার জনসাধারণ উপস্থিত ছিলেন।

You might also like