সিলেট বিভাগের হতদরিদ্র ৩০৮০ পরিবারকে খাদ্যসামগ্রী দিচ্ছে সেনাবাহিনী

চঞ্চল মাহমুদ ফুলর
সত্যবাণী

সিলেট থেকেঃ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৭ পদাতিক ডিভিশনের পক্ষ থেকে পবিত্র রমজান মাস এবং আসন্ন ঈদ-উল ফিতর উপলক্ষে বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলের সাধারণ মানুষের মাঝে খাদ্যসামগ্রি বিতরণ করা হচ্ছে। প্রতি বছরই সেনাবাহিনী জনহিতকর কাজের অংশ হিসেবে সাধারণ মানুষের পাশে নিয়মিত দাঁড়ায়।১৮ এপ্রিল মঙ্গলবার সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এসএম শফিউদ্দিন আহমেদ, এসবিপি (বার), ওএসপি, এনডিইউ, পিএসসি, পিএইচডি’র দিকনির্দেশনায় এবং ১৭ পদাতিক ডিভিশন কমান্ডের ব্যবস্থাপনায় সিলেট বিভাগের ৪টি জেলার বিভিন্ন উপজেলায় এই বিতরণ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।

সমরে আমরা, শান্তিতে আমরা, সর্বত্র আমরা দেশের তরে’ এই মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে জেনারেল অফিসার কমান্ডিং, ১৭ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার, সিলেট এরিয়া মেজর জেনারেল চৌধুরী মোহাম্মদ আজিজুল হক হাজারী ওএসপি (বার), এসজিপি, এনডিসি, পিএসসি, এমফিল-এর প্রত্যক্ষ নির্দেশনায় ১৭ পদাতিক ডিভিশন সর্বদা সিলেটবাসীর কল্যাণে ও যেকোন প্রয়োজনে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে কাজ করে যাচ্ছে। ২০২২ সালে সিলেট অঞ্চলে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় একইভাবে সেনাবাহিনীর ১৭ পদাতিক ডিভিশনের ভূমিকা ছিল অনস্বীকার্য। এই খাদ্য বিতরণ কর্মসূচি সাধারণ মানুষের মাঝে অভূতপূর্ব সাড়া জাগিয়েছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষজন সেনাবাহিনী কর্তৃক নিজ উদ্যোগে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারায় আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে।ডিভিশনের সেনাসদস্যগণ মঙ্গলবার সিলেট জেলার গোয়াইনঘাট, কানাইঘাট, গোলাপগঞ্জ, বিশ্বনাথ ও কোম্পানীগঞ্জ, মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া ও জুড়ী, সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক এবং হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর ও লাখাই উপজেলায় সর্বমোট ৩০৮০টি পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রি বিতরণ করেন।সেনাবাহিনীর এহেন মহৎ উদ্যোগের উদ্দেশ্য- ‘যাতে দুঃস্থ কিছু মানুষ সবার মত ঈদ আনন্দ উদযাপনের সুযোগ পায়।’ উল্লেখ্য, সেনাসদস্যগণ নিজেদের জন্য বরাদ্দকৃত শুকনো রশদের অংশবিশেষ যেমন চাল, আটা, ডাল, তেল, চিনি, লবন, চিনিগুড়া চাল, সেমাই, চা এবং গুড়ো দুধ ইত্যাদি খাদ্য সহায়তা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য স্বতঃস্ফুর্তভাবে প্রদান করেছেন।বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বৃহত্তর সিলেটবাসীর কল্যাণে তাদের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখে সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি বৃদ্ধির পাশাপাশি কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এ ধরণের মানবিক সহায়তা কার্যক্রম চলমান রাখবে। সেনাবাহিনীর এহেন দেশসেবা ও জনকল্যাণমূলক কার্যক্রমে জনমনে আস্থা ও স্বতঃস্ফুর্ততার প্রতিফলন ঘটেছে বলে প্রতীয়মান হয়।

You might also like