বস্তিবাসীর সংখ্যা সিলেটে বেশি

চঞ্চল মাহমুদ ফুলর
সত্যবাণী

সিলেট থেকেঃ দেশের অন্য বিভাগের তুলনায় সিলেটে সবচেয়ে বেশি মানুষ বস্তিতে বসবাস করেন। সাবলেটে বসবাসকারীর সংখ্যাও অন্য বিভাগের চেয়ে সিলেটে বেশি। আশ্চর্য্যজনক এই তথ্য দিয়েছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো। ২০২১ সালে ‘মনিটরিং দ্য সিচুয়েশন অব ভাইটাল স্ট্যাটিস্টিকস অব বাংলাদেশ (এসভিআরএস)’ শীর্ষক জরিপের ফলাফলে পরিসংখ্যান ব্যুরো এই তথ্য জানায়। যা সিলেটের মানুষকে কিছুটা হলেও আশ্চর্য্যান্বিত করেছে।সিলেট বিভাগকে সারাদেশের মানুষ দ্বিতীয় লন্ডন হিসেবেই জানেন। সেই বিভাগে বস্তিবাসী ও সাবলেটে বসবাসকারীদের এই পরিসংখ্যান রীতিমতো অবাক করেছে সাধারণ মানুষকে।জরিপে দেখা গেছে, ২ দশমিক ৪ শতাংশ খানা (পরিবার) সাবলেট ভিত্তিতে বাসা ভাড়া নেয় এবং দশমিক ৫ শতাংশ খানা নিজেদের বাসার অংশবিশেষ সাবলেট দিয়ে ঘর ভাগাভাগি করে বসবাস করে। সিটি করপোরেশন এলাকায় সাবলেটের প্রবণতা বেশি দেখা যায়। সেখানে ৪ দশমিক ৮ শতাংশ খানা সাবলেট চুক্তির মাধ্যমে ভাড়া বাড়িতে বাস করে এবং ১ দশমিক ৭ শতাংশ খানা সাবলেট ভিত্তিতে তাদের বাসস্থান ভাগ করে নেয়।

বিভাগীয় পর্যায়ের হিসাবে সাবলেট ব্যবস্থা সবচেয়ে বেশি প্রচলিত সিলেট বিভাগে। সেখানে ৩ দশমিক ৭ শতাংশ খানা সাবলেট ভিত্তিতে বসবাস করে। এর পরের অবস্থানে রয়েছে ঢাকা বিভাগ। এ বিভাগে ৩ দশমিক ৪ শতাংশ খানা সাবলেট হিসেবে বসবাস করে। সাবলেট ব্যবস্থা সাধারণত শহুরে সংস্কৃতি হলেও পল্লী অঞ্চলেও এ ব্যবস্থা দেখা গেছে। সেখানে এ ব্যবস্থায় বসবাস করে ১ দশমিক ৯ শতাংশ খানা।জরিপে উঠে এসেছে, বিশ্বব্যাপী শহরাঞ্চলে বসবাসকারী প্রতি ৪ জনের মধ্যে ১ জন এমন বাসস্থানে বসবাস করে, যা তার স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা, সমৃদ্ধি ও সুযোগের জন্য ক্ষতিকর। অনানুষ্ঠানিক বসতি ও বস্তিঘরের একটি সাধারণ সীমাবদ্ধতা হলো সেখানে মৌলিক পরিষেবাগুলোর প্রাপ্যতার তীব্র সংকট বিরাজমান। বিশ্বব্যাপী ২৪০ কোটি (২.৪ বিলিয়ন) মানুষ উন্নততর স্যানিটেশন সেবা থেকে বঞ্চিত এবং ২০০ কোটি (২ বিলিয়ন) মানুষ পানির সংকটে ভোগে।এসডিজির লক্ষ্যমাত্রায় উল্লেখ করা হয়েছে, ২০৩০ সালের মধ্যে সবার জন্য সম্পূর্ণ নিরাপদ ও সাশ্রয়ী আবাসন এবং মৌলিক পরিষেবাগুলো নিশ্চিত করা হবে এবং বস্তিগুলোর অবস্থার উন্নতি ঘটাতে হবে।জরিপের ফলাফলে দেখা যায়, দেশের শহরাঞ্চলে অবস্থিত খানাসমূহের ৬ দশমিক ৯ শতাংশ বস্তিতে বসবাস করে। এর মধ্যে সিটি করপোরেশন এলাকার ১২ দশমিক ৭ শতাংশ এবং পৌরসভা ও অন্য শহরাঞ্চলে ৩ দশমিক ৩ শতাংশ খানা বস্তিঘরে বসবাস করে।বিভাগীয় পর্যায়ের হিসাবে দেখা যায়, বস্তিভিত্তিক খানার অনুপাত সবচেয়ে বেশি সিলেট বিভাগে। এ বিভাগের ১১ দশমিক ২ শতাংশ খানার সদস্য বস্তিবাসী। এর পরের অবস্থানে রয়েছে ঢাকা বিভাগ। এ বিভাগের ৮ দশমিক ৩ শতাংশ খানা বস্তিতে বসবাস করে এবং চট্টগ্রামে এ হার ৭ দশমিক ৮ শতাংশ।