সিলেটে মহড়ার ৬ দিনেও উদ্ধার হয়নি অস্ত্র, মূল অভিযুক্তরা অধরা

চঞ্চল মাহমুদ ফুলর
সত্যবাণী

সিলেট থেকেঃ নগরিতে ৩ দিন ধরে ‘টক অব দ্য টাউন’ ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আফতাব হোসেন খানের আগ্নেয়াস্ত্রের মহড়া। গত ৬ জুন মঙ্গলবার সকালে প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থীর বাসার সামনে গিয়ে তিনি এ মহড়ার সাথে সাথে ওই প্রার্থীকে হুমকি-ধমকি দেন। এ ঘটনায় ৩ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করলেও মূল অভিযুক্ত কাউন্সিলর আফতাব ও অস্ত্রধারী যুবক এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে। ঘটনার প্রায় এক সপ্তাহ হতে চললেও উদ্ধার হয়নি সেই অস্ত্র।তবে মূল অভিযুক্তদের ধরতে এবং অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। যদিও ফের প্রার্থী হওয়া স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আফতাব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক রয়েছেন বেশ সরব। তাঁর নির্বাচনী প্রচারণাসহ বিভিন্ন বিষয়ে নিয়মিত পোস্টও করে যাচ্ছেন তিনি।পুলিশ ও সিলেট আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয় সূত্র জানায়, ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী সায়ীদ মো. আবদুল্লাহ গত শুক্রবার সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দেন। এছাড়া শুক্রবার দিবাগত রাতে বিমানবন্দর থানায় একটি মামলাও দায়ের করেন তিনি। অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, গত মঙ্গলবার সকালে বর্তমান কাউন্সিলর আফতাব হোসেন খানের নেতৃত্বে ১০/১২টি মোটরসাইকেলে ২০/২৫ জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী তার বাসার ফটকের সামনে যান। এ সময় সন্ত্রাসীরা বন্দুক তাক করে তাকে ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যার হুমকি দেন। পাশাপাশি নির্বাচন থেকে সরে না দাঁড়ালে আব্দুল্লাহর ঘরবাড়ি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয়া হয়।

এদিকে, এই অস্ত্র মহড়ার ভিডিও ক্লিপ গত বৃহস্পতিবার ফেসবুকে ভাইরাল হয়। পরে শনিবার ভোররাতে নগরির বনকলাপাড়া ও হাজীপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৩ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, বনকলাপাড়া এলাকার আতিকুর রহমান (৪২), জুবের আহমদ (৩৮) ও হাজীপাড়া এলাকার নুরুজ্জামান (৩৪)। গ্রেফতার ৩ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন এয়ারপোর্ট থানার ওসি মাঈন উদ্দিন সিপন। সিলেট মেট্রোপলিপটন পুলিশ (এসএমপি)’র অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) সুদীপ দাস ১১ জুন রোববার বিকেলে গণমাধ্যমকে বলেন, অন্য আসামিদের গ্রেপ্তার ও অস্ত্র উদ্ধার করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।এদিকে, সিটি নির্বাচনের মাত্র কয়েকদিন আগে সিলেটে এমন আগ্নেয়াস্ত্রের ভয়ংকর মহড়া সাধারণ মানুষকে শঙ্কিত করে তুলেছে। ভোটারদের আশঙ্কা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও নির্বাচন কমিশন কঠোর না হলে এমন পরিবেশ আরও তৈরি হবে। ফলে সংঘাতের পাশাপাশি প্রাণহানিরও আশঙ্কা করছেন সচেতন নগরবাসী।

উল্লেখ্য, শনিবার সকালে সিলেটে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার হাবিবুল আউয়াল। এ সময় আগ্নেয়াস্ত্রের মহড়ার বিষয়টি উঠে আসে। তখন সিইসি জানান, বিষয়টি নিয়ে তিনি ঢাকায় গিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।