সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আহসান হাবীব কোহিনূর আর নেই
নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী
বিনোদনঃ সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আহসান হাবীব কোহিনূর আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।রোববার (২০ জুলাই) দিবাগত রাত সোয়া তিনটার দিকে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর নিজ বাসায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।সোমবার সকালে খবরটি নিশ্চিত করেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দিন ইউসুফ। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট দেন, ‘চলে গেলেন আজীবনের বন্ধু আহসান হাবীব কোহিনূর। এই আকস্মিক মৃত্যুতে আমি বাকরুদ্ধ। এ শোক কাটবে না বহুকাল।’
নাসির উদ্দিন ইউসুফ আরও জানান, বাংলাদেশের গ্রুপ থিয়েটার আন্দোলনের প্রারম্ভিককালের অন্যতম পথিকৃৎ। চট্টগ্রামের থিয়েটার ৭৩ নাট্যদলের অন্যতম কান্ডারী কোহিনূর। ‘তরুণ ও বহমান ক্ষত’ নাটক রচনার মধ্য দিয়ে সেইকালে বাংলাদেশের নাট্যচর্চায় ভিন্নমাত্রা যোগ করেন। নিভৃতচারী এই মানুষটির সাহিত্য ও সংগীতের পাণ্ডিত্যে আমরা মুগ্ধ ছিলাম। বিশেষ করে শাস্ত্রীয় সংগীত ও যন্ত্র সংগীতের চর্চায় তার শেষ জীবন অতিবাহিত করছিলেন।কোহিনূরের কর্মজীবন সম্পর্কে আরও বলেন, বাংলাদেশ টেলিভিশনে তার প্রযোজিত রুচিশীল অনুষ্ঠানসমূহ নান্দনিক উৎকর্ষে উন্নীত। বন্ধুত্বের পাশাপাশি আমরা দীর্ঘ একদশক টেলিভিশনে সহকর্মী ছিলাম। নিঃস্বার্থভাবে ভলোবাসতে জানতেন কোহিনূর।
এ দিকে নাট্যব্যক্তিত্ব ম হামিদ ফেইসবুকে লেখেন, ১৯৮০ সালে একসাথে আমরা যোগ দিয়েছিলাম বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রযোজক হিসেবে। তারপর একসাথে কত দিন পথ চলা। টেলিভিশনে অনুষ্ঠান নির্মাণের বাইরে ও বহুগুণের অধিকারী ছিলেন আহসান হাবীব। ফটোগ্রাফির হাত ছিল চমৎকার। বাঁশি বাজাতে পারতেন, তবলা বাজাতেন, বেহালা বাজাতেন, সুন্দর ছবি আঁকতেন। আড্ডায় হয়ে উঠতেন মধ্যমণি। লেখালেখি করতেন। টেলিভিশন অনুষ্ঠান প্রযোজনার ওপর দুটি বই লিখেছেন। অবসর জীবনে শিক্ষকতা করেছেন। আমাদের এই বন্ধু-স্বজন আহসান হাবীব চলে গেলেন পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে। তার পরিবারের সদস্যদের প্রতি এবং বন্ধুদের প্রতি জানাই গভীর সমবেদনা। তার পারলৌকিক শান্তি কামনা করি।কর্মজীবনে কোহিনূর বিটিভির প্রযোজক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া অনুষ্ঠান প্রযোজক হিসেবে কাজ করেছেন চ্যানেল আই-এ।