বরাদ্দ না পাওয়ায় সিসিকের দূর্যোগ মোকাবেলার উদ্যোগ এগুচ্ছে না
সত্যবাণী
সিলেট অফিসঃ ভূমিকম্পসহ যেকোন দূর্যোগ মোকাবেলায় সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রস্তুতি রয়েছে। তবে ঘন বসতিপূর্ণ সিলেট নগরে বড় ধরণে ভূমিকম্প হলে উদ্ধার কাজ ও প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানে যন্ত্রপাতির সংকট রয়েছে বলে জানিয়েছেন সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।
৫ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সকালে সিসিকের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী এসব কথা জানান।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, সিলেটে ইদানিং ঘন ঘন ভূমিকম্প অনুভূত হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে সিসিক দূর্যোগ মোকাবেলায় প্রস্তুতির অংশ হিসেবে নগরে ৪টি খেলার মাঠ বা খালি স্থান তৈরীর পরিকল্পনা গ্রহণ করে। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার ৩০% নিজস্ব অর্থ সংকুলানের শর্তে ২টি মাঠ প্রস্তুতের অনুমোদন দিলেও এখনো অর্থ বরাদ্দ না দেয়ায় প্রকল্প বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না।
সিসিক মেয়র বলেন, সিলেট নগরের ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তর দিন দিন নীচে নেমে যাচ্ছে। প্রতিদিন নগরবাসীর ৮ কোটি লিটার পানির চাহিদা পূরণে ২টি সার্ফেস ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টের পাশাপাশি গভীর উৎপাদক নলকূপের উপর নির্ভর করতে হচ্ছে। যদিও ভূ-গর্ভস্থ পানি উত্তোলনের ফলে ভূমিকম্প ঝুঁকি বাড়ে বলে বিশেষজ্ঞদের মত রয়েছে। সেজন্য চেঙ্গেরখাল নদীর পানি সংগ্রহ করে ৫০ এমএলডি উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন একটি সার্ফেস ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট তৈরীর পরিকল্পনা হাতে নেয় সিসিক। কিন্তু দীর্ঘদিন হলেও সরকারের অর্থ বরাদ্দ না পাওয়া সেটিও নির্মাণের কাজ থমকে আছে।
মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, বর্ধিত সিটি কর্পোরেশন এলাকাসহ সিসিকের উন্নয়নে ৪৫০০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প সরকারের কাছে প্রস্তাব করা হলে সে প্রকল্প ১২০০ কোটি টাকায় নামিয়ে অনুমোদন হয়েছে। কিন্তু এখনো অর্থ বরাদ্দ পাওয়া যায়নি।
সিলেট মহানগরে ২৩টি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ভাঙ্গার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিসিক মেয়র বলেন, উচ্চ আদালতের মামলাজনিত কারণে সিসিকের মালিকানাধীন ঝুকিপূর্ণ তালিকার সিটি সুপার মার্কেটই ভাঙ্গা যায়নি। একইভাবে বেশিরভাগ ভবন মালিক ও ব্যবসায়ীদের করা উচ্চ আদালতে মামলা এবং মালিকদের ভবনের সক্ষমতা বাড়ানো আবেদনের প্রেক্ষিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাচ্ছে না।
সংবাদ সম্মেলনে সিসিকের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আলী আকবরসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও শাখার কর্মকর্তাবৃন্দ, সিলেট প্রেসক্লাব, সিলেট জেলা প্রেসক্লাব, ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশন-ইমজা, সিলেট বিভাগীয় ফটো জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশন, সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের সদস্য ও সিলেটের কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক, অনলাইন গণমাধ্যমের সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।