ছাত্রদলের উপর শিবিরের ককটেল নিক্ষেপঃ বন্দরবাজারে চতুর্মূখী সংঘর্ষ
সত্যবাণী
সিলেট অফিসঃ অবরোধের দ্বিতীয় দিন ও যুবদলের হরতালের দিন ১ নভেম্বর বুধবার দুপুরে সিলেট নগরির বন্দরবাজার এলাকায় প্রায় ঘণ্টাব্যাপী পুলিশসহ ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসবেক লীগ এবং ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের মাঝে চতুর্মুখী সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় ৬ জন আটক ও অন্তত ১৫ জন আহতের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষকালে ১টি প্রাইভেটকার ও ২টি মোটরসাইকেলে ভাঙচুর চালায় ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। দু’টি মোটরসাইকেলের একটিতে তারা অগ্নিসংযোগও করে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, বুধবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে জেল রোড থেকে ছাত্রদলের ২৫/৩০ জন নেতাকর্মী একটি মিছিল নিয়ে বের হয়ে মহাজনপট্টির গলির মুখে গিয়ে ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায় এবং একটি প্রাইভেটকার ভাঙচুর করে। এ সময় তারা বন্দরবাজারের করিমউল্লাহ মার্কেটের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা পুলিশ সদস্যদের দিকে ইট-পাটকেলও নিক্ষেপ করে। তাদের উস্কানীতে পুলিশ ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে। ঠিক এই সময় হকার্স মার্কেটের দিক থেকে জামায়াত-শিবির একটি ঝটিকা মিছিল নিয়ে বের হয়ে ছাত্রলীগ ভেবে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের দিকে ককটেল ছুঁড়ে মারে। প্রথমে ছাত্রদল ও শিবির নেতাকর্মীদের মাঝে ভুল বোঝাবুঝি হলেও পরে তারা আবার এক হয়ে যান।
এদিকে, একই সময়ে বন্দরবাজারস্থ মধুবন সুপার মার্কেটের সামনে থেকে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা মোটরসাইকেল শোডাউন নিয়ে করিমউল্লাহ মার্কেটের সামনে আসলে ছাত্রদল-শিবির নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের দু’টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর এবং এর মধ্যে একটিতে অগ্নিসংযোগ করা হয়। পরে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নগর শাখার সাধারণ সম্পাদক দেবাংশু দাস মিঠুর নেতৃত্বে একটি মিছিল করিমউল্লাহ মার্কেটের সামনে আসলে ব্যাপক সংঘর্ষ হয় এবং এ সময় ছাত্রদল-শিবির পিছু হটতে বাধ্য হয়। এতে দু’পক্ষের অন্তত ১৫জন আহত হন।
সংঘর্ষের সময় সন্দেহজনকভাবে পুলিশ ৬জনকে আটক করে। আটকের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ (এসএমপি)’র উপ-কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ (পিপিএম)। তিনি বলেন, সন্দেহজনকভাবে ৬ জনকে আটক করা হয়েছে। যাচাই-বাছাই চলছে। বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির সঙ্গে তারা জড়িত থাকলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।