অবৈধ বিদ্যুৎ ব্যবহারের দায়ে হবিগঞ্জের এক গ্রাহক কারাগারে
সত্যবাণী
সিলেট অফিসঃ হবিগঞ্জে অবৈধ বিদ্যুৎ ব্যবহারের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় মো. মোস্তফা কামাল নামে এক গ্রাহককে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। ৯ নভেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে সিলেট বিদ্যুৎ আদালতের বিচারক মো. আনোয়ারুল হক এ আদেশ দেন।
দন্ডপ্রাপ্ত মোস্তফা কামাল হবিগঞ্জ শহরের মাছুলিয়া এলাকার আকবর আলীর ছেলে। ১২ লাখ ১৪ হাজার টাকা আদায়ের এ মামলায় অপর ২ ভাই জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট মো. সামছুল হক ও তার ভাই মো. কুরবান আলীকে জামিন দিয়েছেন আদালত।
হবিগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা জানান, গত ২৬ অক্টোবর দুপুরে মিটার চেকিং, অবৈধ ও বকেয়া সংযোগ বিচ্ছিন্নের জন্য শহরের মাছুলিয়া এলাকায় অভিযান চালায় হবিগঞ্জ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড। এ সময় তারা ওই এলাকার মো. সামছুল হকের বাড়িতে ব্যবহৃত প্রি-পেইড মিটারে ইনকামিং থেকে সরাসরি মিটার বাইপাস ও কৃত্রিম পদ্ধতি ব্যবহার করে ট্যারিফ বহির্ভূত মিটার দিয়ে অবৈধভাবে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের অটো গ্যারেজের ৫টি ব্যাটারিচালিত রিক্সা চার্জ এবং গভীর নলকূপের মাধ্যমে বাণিজ্যিকভাবে দৈনিক প্রায় ৩ হাজার লিটার খাবার পানি উত্তোলন ও বোতলজাতকরণ কার্যক্রম দেখতে পান।
২২ সালের জানুয়ারি মাসে ওই প্রি-পেইড মিটার স্থাপনের পর থেকে অনুমোদিত লোড ১৫ কিলোওয়াট হিসেবে গত ২২ মাসে ১২ লাখ ৪০ হাজার ১২৪ টাকার বিদ্যুৎ ব্যবহার হওয়ার কথা থাকলেও রিচার্জ করা হয়েছে মাত্র ৯০ হাজার ৬৫০ টাকা! একই স্থাপনায় আরো ২টি মিটারে বকেয়া রয়েছে ৬৫ হাজার ৪শ’ টাকা। অবৈধভাবে বিদ্যুৎ ব্যবহার করায় সংযোগটি তাৎক্ষণিক বিচ্ছিন্ন করতে গেলে সামছুল হক ও তাঁর ভাইয়েরা সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও সরকারি রাজস্ব আদায় কাজে বাঁধা প্রদান, অকথ্য ভাষায় গালাগালিসহ দেশীয় লাঠিসোটা নিয়ে দায়িত্বরত কর্মকর্তা-কর্মচারিদের হত্যার হুমকি ও ভয়ভীতি দেখায় বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়। একপর্যায়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন না করেই তারা ফিরে আসেন।
মামলায় আরো উল্লেখ করা হয়, বিউবো’র বিধি মোতাবেক সামছুল আলম ও তাঁর ভাইদের কাছে ১২ লাখ ১৪ হাজার ৮৭৪ টাকা আদায়যোগ্য।
হবিগঞ্জ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সহকারী প্রকৌশলী ও মামলার বাদী সুমন কুমার প্রামাণিক ঘটনার সত্যতা তুলে ধরেন।