ন্যাপের ৬৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ

নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী

ঢাকাঃ ২৭ জুলাই ২০২৪ বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) এর ৬৭ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। ১৯৫৭ সালের ২৫ ও ২৬ জুলাই দুই দিনব্যাপী পুরনো ঢাকার সদরঘাটের কাছে রূপমহল সিনেমা হলে তৎকালীন পাকিস্তান সর্ববৃহৎ গণতান্ত্রিক কর্মী সম্মেলনের মধ্য দিয়ে ২৭ জুলাই জন্ম নেয় সারা পাকিস্তান ভিত্তিক সর্বপ্রথম সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী, গণতান্ত্রিক ও অসাম্প্রদায়িক দল ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ)।

ন্যাপ গঠনে নেতৃবৃন্দের মধ্যে ছিলেন মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী, অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ, পীর হাবিবুর রহমান, মহিউদ্দিন আহমেদ, হাজী মোহাম্মদ দানেশ, সৈয়দ আলতাফ হোসেন, মোহাম্মদ তোয়াহা, পূর্ণেন্দু দস্তিদার, আহমদুল কবির, দেওয়ান মাহবুব আলী, আতাউর রহমান, সেলিনা বানু, সৈয়দ আশরাফ হোসেন, আব্দুল মতিন প্রমুখ । পশ্চিম পাকিস্তান থেকে ছিলেন সীমান্ত গান্ধী আব্দুল গফফার খান, মিয়া ইফতেখার উদ্দিন, জিএম সৈয়দ, মাহমুদুল হক ওসমানী, গাউস বক্স বেজেনজো, আব্দুল মজিদ সিন্ধি প্রমুখ।

ন্যাপ প্রতিষ্ঠার এক বছরের মধ্যে তৎকালীন পাকিস্তানের ১২ আনার বেশি জায়গায় সংগঠনের ব্যক্তি ছড়িয়ে পড়ে। দেশের প্রগতিবাদী লেখক, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক, কৃষক-শ্রমিক, সৎ ও আদর্শবান দেশপ্রেমিক মানুষ এই সংগঠনের পতাকা তলে সমবেত হয়ে ন্যাপকে বৃহত্তম রাজনৈতিক দলে রূপ দেয়।১৯৬৭ সালে রাজনৈতিক মতবিরোধের কারণে ন্যাপ দ্বিধাবিভক্ত হয়ে যায়। তখন সারা পাকিস্তান ন্যাপের সভাপতি হন খান আব্দুল ওয়ালি খান এবং পূর্ব পাকিস্তান ন্যাপের সভাপতি হন অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ।সাম্রাজ্যবাদ, স্বৈরাচার, সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী আন্দোলন, বৈষম্য ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে সব আন্দোলনে ন্যাশনাল পার্টি ন্যাপ অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। মুক্তিযুদ্ধে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ন্যাপের অবদান ইতিহাসের স্মরণীয় হয়ে আছে।৬৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) এর হবিগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট স্বদেশ রঞ্জন বিশ্বাস ও সাধারণ সম্পাদক এস এম ফরহাদ আহমেদ চৌধুরী দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, প্রকৃত গণতন্ত্রের চর্চা, দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন ও সাধারণ মানুষের জীবন যাত্রার সংকট নিরসনে আন্দোলন গড়ে তোলার আহবান জানান।

You might also like