অমর একুশের প্রথম প্রহরে ঢাবি আ্যলামনাই ইন দ্য ইউকের পুষ্পার্ঘ অর্পণ
নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী
লন্ডন: “ওরা আমার মুখের ভাষা কাইড়া নিতে চায়“, এই গানের কথা শুনলেই দুমড়ে মুচড়ে যায় মন। মনে করিয়ে দেয় পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বাঙালীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের কথা। দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান হওয়ার পর প্রথমেই শাসকগোষ্ঠী সংখ্যাগরিষ্ঠ বাঙালীর প্রাণের মাতৃভাষা বাংলাকে উপেক্ষা করে উর্দুকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা করার অপচেষ্টা চালায়। কিন্তু এ দেশের বীর সন্তানেরা বুকের রক্ত দিয়ে শাসকগোষ্ঠীর এই অপচেষ্টাকে রুখে দেয়। ভাষার জন্য জীবন উতসর্গকারী সব বীর শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে একুশের প্রথম প্রহরে পূর্ব লন্ডনের আলতাব আলী পার্কের শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আ্যলামনাই ইন দ্য ইউকের নের্তৃবৃন্দ।
প্রখ্যাত সাংবাদিক প্রয়াত আবদুল গাফ্ফার চৌধূরীর লেখা কালজয়ী গান “আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি আমি কি ভুলিতে পারি। ছেলে হারা শত মায়ের অশ্রু গড়ায়ে ফেব্রুয়ারি/ আমি কি ভুলিতে পারি/ আমার সোনার দেশের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি“ গানটি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ শ্রদ্ধাভরে কন্ঠে ধারণ করে মিছিল সহকারে শহীদ মিনার বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
ঢাবি আ্যলামনাই ইন দ্য ইউকের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি প্রশান্ত দত্ত পুরাকায়স্ত বিইএম নেতৃত্বে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণের এ আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, কোষাধ্যক্ষ সৈয়দ হামিদুল হক, মিজানূর রহমান, মারুফ আহমেদ চৌধুরী, মোহাম্মদ আবদুর রাকিব, রীপা রাকিব মোস্তফা কামাল মিলন প্রমুখ।
উল্লেখ্য, ১৯৪৮ সাল থেকে শুরু হওয়া ভাষা আন্দোলন চূড়ান্ত লাভ করে ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি। সেদিন ঢাকায় পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠীর জারি করা ১৪৪ ধারা ভেঙ্গে মিছিল বের করেন ভাষার জন্য লড়াইরত ছাত্র জনতা। অগ্রণী ভূমিকা পালন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বর্বর পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠার লেলিয়ে দেওয়া পুলিশ মিছিলে গুলি চালালে সালাম, বরকত, রফিক, সফিউর, জব্বারসহ নাম না জানা অনেক বীর সন্তানের রক্তে রঞ্জিত হয় রাজপথ। এরপর ১৯৫৬ সালে বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো ১৯৯৯ সালে ২১ শে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ঘোষণা করে। এখন বাংলাদেশের পাশাপাশি সারা বিশ্বেই অমর এই দিন পালিত হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আ্যলামনাই ইন দ্য ইউকে কৃতজ্ঞচিত্তে অমর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেছে