ব্রিটেনে ভয়াবহ ঝড় ইউনিস এর আঘাত

নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী

লন্ডনঃ যুক্তরাজ্যে প্রথমবারের মতো রেড অ্যালার্ট বা ‘জীবন ঝুঁকির জন্য সতর্কতা’ জারি করা হয়েছে। বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর দিয়েছে।যুক্তরাজ্যের উপকূলে শুক্রবার আঘাত হানা শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ইউনিসের কারণে সেখানে প্রথমবারের মতো উচ্চ সতর্কতা জারি করা হয় বলে বার্তা সংস্থা এএফপি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে।গত কয়েক দশকের মধ্যে সবথেকে শক্তিশালী ঝড় আঘাত হেনেছে দেশটিতে। স্থানীয় সময় শুক্রবার সকালবেলা আঘাত হানে ইউনিস নামের ওই ঝড়টি। দেশটির সরকার ঝড়ের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতি মোকাবেলায় সেনাবাহিনীকে প্রস্তুত করেছে।ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, এই ঝড়ে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে দেশটির কয়েক লাখ মানুষ। তাদেরকে নিজ নিজ বাড়িতে অবস্থান করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন স্থানে ট্রেন ও ফেরি চলাচল বন্ধ করা হয়েছে।

হিথ্রো বিমানবন্দরে ৬৫টি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে ঝড়ের কারণে। আয়ারল্যান্ডে ৫৫ হাজার বাড়ির বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে বলেও জানা গেছে। এতে প্রাণহানি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে ইংল্যান্ডের দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চল এবং ওয়েলসে।আবহাওয়াবিদরা বলছেন, ঝড়ের সময় বাতাসের গতি ঘণ্টায় ১০০ মাইল পর্যন্ত হতে পারে। দক্ষিণ ইংল্যান্ডের একটি দ্বীপ আইল অব ওয়াইটের একটি স্থানে বাতাসের গতি ইতোমধ্যে ঘণ্টায় ১২২ মাইল ছিল বলে রেকর্ড করা হয়েছে। উত্তর আয়ারল্যান্ড এবং স্কটল্যান্ডের কোথাও কোথাও তুষারপাতের ব্যাপারেও সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।এদিকে ঘূর্ণিঝড় ইউনিসের কারণে সর্বকালের রেকর্ড ভেঙে প্রচণ্ড গতিতে বাতাস প্রবাহিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সর্তকতা বার্তার কারণে লন্ডনের পথঘাট একদম জনশূন্য হয়ে যায়।পশ্চিম ইউরোপ জুড়ে ব্যাহত হচ্ছে বিমান, ট্রেন ও ফেরি চলাচল। একই স্তরের সতর্কতা দক্ষিণ ইংল্যান্ড এবং সাউথ ওয়েলসেও জারি করা হয়। সেখানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বন্ধ রয়েছে যান চলাচলও।ঝড়ে ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দাদের নিজ নিজ ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের গ্যারেজ থেকে গাড়ি বের না করতে বলা হয়েছে।ইউনিসকে গত তিন দশকে যুক্তরাজ্যে আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী ঝড় বলে মনে করা হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় ডুডলির তাণ্ডবের এক সপ্তাহের মধ্যেই যুক্তরাজ্যে ঘূর্ণিঝড় ইউনিস আঘাত হানল।

You might also like