করোনা ভাইরাস: ভারতে অক্সফোর্ডের পর দেশীয় কোভ্যাক্সিন টিকার অনুমোদন
আন্তজার্তিক ডেস্ক
সত্যবাণী
ভারত: ভারতের বিজ্ঞান গবেষণা সংস্থা এবং ভারত বায়োটেকের যৌথ উদ্যোগে উদ্ভাবিত করোনাভাইরাসের টিকা কোভ্যাকসিন অনুমোদনের সুপারিশ করেছে দেশটির ওষুধ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের বিশেষজ্ঞ কমিটি। এর আগে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার উদ্ভাবিত টিকার অনুমোদনের সুপারিশ করে ওই কমিটি।ভারতীয় বার্তা সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে শনিবার কোভ্যাকসিনের অনুমোদন দেয় বিশেষজ্ঞ কমিটি। ওষুধ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ চূড়ান্ত অনুমোদন দিলে এসব টিকা প্রয়োগ শুরু হবে।
করোনাভাইরাসের টিকা গণহারে প্রদান শুরুর আগে এই কর্মসূচির মহড়া চালিয়েছে ভারত। শনিবারের এই মহড়ায় ২৫ স্বাস্থ্যকর্মী ডামি টিকা গ্রহণ করেন। গনহারে টিকাদানের সময় যেগুলোকে কেন্দ্র হিসেবে সেসব স্থানে এসব কর্মী টিকা গ্রহণ করেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন বলেছেন, কোনও ধরনের বিঘ্ন ছাড়াই আসন্ন টিকাদান কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার আত্মবিশ্বাস তৈরিতে ভূমিকা রাখবে এই মহড়া। নতুন বছরের প্রথম দিনেই অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনা টিকার অনুমোদন দেয় ভারতের বিশেষজ্ঞ কমিটি। এর পরদিনই দেওয়া হলো নিজেদের উদ্ভাবিত টিকার অনুমোদন। এখন ড্রাগ কন্ট্রোলারের অনুমোদন পেলেই টিকাদান কর্মসূচির প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে।তখন কবে থেকে ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হবে তা কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়ে দেবে।আশা করা হচ্ছে আসন্ন সপ্তাহেই চূড়ান্ত অনুমোদন পাওয়া যাবে।আশা করা হচ্ছে ভারতের ওষুধ নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ একটি সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে এসব টিকাকে ছাড়পত্র দেওয়ার কথা ঘোষণা দিতে পারেন। রবিবার স্থানীয় সময় সকাল ১১টায় একটি সংবাদ সম্মেলন আহ্বান করেছে কর্তৃপক্ষটি।
অক্সফোর্ডের টিকাটি ভারতে উৎপাদন করছে সিরাম ইন্সটিটিউট। এটি ছাড়াও ভারতের নিজস্ব টিকা কোভ্যাকসিন এবং ফাইজারের টিকাও জরুরি অনুমোদনের জন্য আবেদন করা হয়েছিল।ভারতীয় গবেষকেরা বলছেন, কোভ্যাকসিন টিকার কার্যকারিতার তথ্য সামগ্রিকভাবে ভালো ফলাফল দিয়েছে। টিকাটির তৃতীয় ধাপে ২৫ হাজার আটশ’ অংশগ্রহণকারীর ওপর পরীক্ষা চালানো হচ্ছে। গত নভেম্বরে শুরু হওয়া এই পরীক্ষায় ইতোমধ্যে ২২ হাজার অংশগ্রহণকারীর ওপর টিকা প্রয়োগ করা হয়েছে। প্রথম দুই ধাপের পরীক্ষায় ভালো কার্যকারিতা দেখা গেছে বলে জানা গেছে। আগামী মার্চ নাগাদ অন্তর্বর্তী চূড়ান্ত ফলাফল পাওয়ার আশা করছেন গবেষকেরা। গবেষকেরা জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে কোভ্যাকসিনের এক কোটি ডোজ উৎপাদন করে রাখা আছে।