কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীরা সাংবাদিকদের সঙ্গে করলেন অশোভন আচরণ
সিলেট অফিস
সত্যবাণী
সিলেট: কোটা সংস্কারের দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ১৪ জুলাই রোববার বেলা ২টায় রাষ্ট্রপতি বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে সিলেটের আন্দোলনকারী বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ সময় সাংবাদিকদের পেশাগত কাজে বাঁধা সৃষ্টি ও অশোভন আচরণ করেন কিছু শিক্ষার্থী। তবে পুলিশ ও অন্যান্য শিক্ষার্থীদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
স্মারকলিপি প্রদানকালে ছবি তোলার সময় কয়েকজন শিক্ষার্থী ক্যামেরার সামনে চলে আসলে তাদের সরে যাওয়ার কথা বললে তারা ক্ষিপ্ত হন। এ সময় কয়েকজন কর্মরত সাংবাদিকের দিকে তেড়ে আসেন।
এ বিষয়ে কোটাবিরোধী আন্দোলনের সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক আসাদ উল্লাহ জানান, আমাদের আন্দোলনে একাত্মতা জানানোর জন্য আমরা আজ সিলেটের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আহবান জানাই। সবাই সেই আহবানে সাড়া দিয়ে আন্দোলনে যোগদান করেন। জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির কয়েকজন শিক্ষার্থী বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করে। এ সময় তারা বেশ কয়েকজন সাংবাদিকদের সাথে অশোভন আচরণ করে। আমরা মনে করি আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য এমন কাজ করেছে। এজন্য আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি। ভবিষ্যতে এমন ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না হয় সেদিকে আমরা খেয়াল রাখব।
এরআগে পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে রোববার বেলা ১১টায় শাহজালাল বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে গণপদযাত্রা শুরু করে শিক্ষার্থীরা। পথে তাদের সাথে যোগ দেয় সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, এমসি কলেজসহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
এ সময় শিক্ষার্থীরা বলেন, সংসদে জরুরি অধিবেশন ডেকে সরকারি চাকরির সকল গ্রেডে শুধুমাত্র পিছিয়ে পড়া/অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জন্য ন্যূনতম (সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ) আইন পাশ করতে হবে। এছাড়া দেশের বিভিন্ন জায়গায় আন্দোলনকালে যে মামলা করা হয়েছে তা তুলে নিতে হবে।
সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতির বিরুদ্ধে গত ২ সপ্তাহ ধরে বিক্ষোভ করছেন সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থীরা। গত ৭ জুলাই থেকে ‘বাংলা ব্লকেড’ নামে অবরোধ কর্মসূচি শুরু হয়। শিক্ষার্থীরা শহরের গুরুত্বপূর্ণ মোড়, প্রধান মহাসড়ক এবং রেলপথ অবরোধ করেন।