গোয়াইনঘাটে গরু চোরের সর্দার কামরুল সহযোগীসহ গ্রেফতার

চঞ্চল মাহমুদ ফুলর
সত্যবাণী

সিলেট থেকেঃ সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার কুখ্যাত গরু চোর সর্দার কামরুল অপর গরু চোর গ্যাং লিডার কালা মিয়াসহ গ্রেফতার হয়েছে।গোয়াইনঘাট থেকে সংবাদদাতা মিনহাজ উদ্দিন জানান, শুক্রবার দিবাগত রাত ১টায় সতী গ্রাম থেকে লেঙ্গুড়া ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান ও গ্রামবাসীর সহযোগিতায় কুখ্যাত এই দুই চোরকে গ্রেফতারে সক্ষম হয় থানা পুলিশ। এ উপজেলা ছাড়াও পার্শ্ববর্তী জৈন্তাপুর, কোম্পানীগঞ্জ, কানাইঘাটসহ সিলেট জেলাব্যাপী গরু চোরদের অন্যতম নেতা এই কামরুল।ধৃত কামরুল গোয়াইনঘাটের লেঙ্গুড়া ইউনিয়নের সতী গ্রামের ইছরাক আলী উরফে কালা মিয়ার ছেলে। তার সহযোগী কুখ্যাত গরু চোর গ্যাং লিডার কালা মিয়া উরফে দেলোয়ার হোসেন একই গ্রামের ফখরুল ইসলাম উরফে আব্দুল হক উরফে আবুল হোসেনের ছেলে।
কামরুলের বিরুদ্ধে গোয়াইনঘাট থানায় প্রায় ১১টি মামলা রয়েছে। কালা মিয়া উরফে দেলোয়ার হোসেন ৮টি মামলার আসামী।

গোয়াইনঘাটজুড়ে আতঙ্কের এক নাম কামরুল ও কালা মিয়া। কুখ্যাত এই দুই গরু চোরের একচ্ছত্র আধিপত্য ছিল আন্ডার ওয়ার্ল্ডে। ঘরে ঘরে কৃষক ও মধ্যবিত্ত পরিবারে গরু, মহিষ চুরির ঘটনা নিত্যকার হয়ে দাঁড়ায়। এরা প্রতি রাতে গোয়াইনঘাটসহ আশপাশের উপজেলায় গিয়েও তাদের গ্যাং লিডারদের দিয়ে কৃষক পরিবারের গরু মহিষ চুরি করে নিয়ে আসে। মুক্তিপণের টাকা নিয়ে পরে গরু ফিরিয়ে দেয়। একাধিক মামলার পলাতক আসামী হওয়া স্বত্বেও কামরুল ও কালা মিয়া প্রকাশ্যে দিবালোকে দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে ঘুরাফেরা করে থাকে। গ্রেফতার এড়াতে নিজস্ব সোর্স তৈরী করে গ্রামের প্রবেশ পথ ও থানা এলাকায় নিয়োজিত রাখে। চোরাই যাওয়া গরুর মুক্তিপণ আদায়ে গোপনে লেনদেন করে। এসব অপরাধে নিজেদের গ্রামেরই কতিপয় দুষ্টচক্র প্রশ্রয় দিয়ে থাকে। যে কারণে গ্রামের শান্তিপ্রিয় লোকজন নিরবে তাদের অপকর্ম সহ্য করে যাচ্ছেন।
কয়েক মাস আগে থানার ওসি কে.এম নজরুলের হাতে আত্মসমর্পণ করে কামরুল অন্ধকার জগৎ থেকে ফিরে আসতে সহযোগিতা চায়। ওসি তাকে আইনী সহায়তার আশ^াস দিয়ে গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠান। কিন্তু চতুর কামরুল ওসিকে দেয়া প্রতিশ্রুতি রাখেনি। জামিনে মুক্ত হয়ে ফের জড়িয়ে পড়ে গরু চুরিতে। থানার ওসি কুখ্যাত গরু চোর কামরুল তার সহযোগী কালা মিয়াসহ গরু চোর গ্যাংদের গ্রেফতারে একাধিক অভিযান পরিচালনা করছে। কিন্তু দুর্ধর্ষ কামরুল প্রতিটি অভিযান থেকে নিজেকে রক্ষা করে বীরদর্পে তার অপরাধ অব্যাহত রেখেছে। শেষ পর্যন্ত জনপ্রতিনিধি ও এলাকাবাসী আপ্রাণ চেষ্টায় ওরা পুলিশের জালে আটকা পড়ে।

You might also like