ঘণ্টায় ঘণ্টায় চলছে লোডশেডিং  অমানবিক দুর্ভোগে সিলেটের জনজীবন

চঞ্চল মাহমুদ ফুলর
সত্যবাণী

সিলেট থেকেঃ বিদ্যুৎ উৎপাদনে রেকর্ডের মধ্যেও সিলেটজুড়ে বেড়েছে লোডশেডিং। ঘণ্টায় ঘণ্টায় চলছে লোডশেডিং। অসহ্য গরমে অতীষ্ঠ জনজীবন। দিনে-রাতে সব সময়ই বিদ্যুৎ যাচ্ছে আর আসছে। প্রতিদিন ১০ থেকে ১২ ঘণ্টারও বেশি সময় লোডশেডিং হচ্ছে সিলেটে। এ অবস্থায় ফুঁসে উঠেছেন সিলেটের মানুষ। গত ১৬ এপ্রিল রোববার রাতে নগরিতে বিক্ষোভ করেন সাধারণ মানুষ।নগরবাসী বলছেন, তীব্র গরমে এমনিতেই দিশেহারা মানুষ। এরমধ্যে দিনের অর্ধেক সময় বিদ্যুৎ থাকেনা। একবার বিদ্যুৎ গেলে দেড় ঘণ্টা-দুই ঘন্টার আগে আসে না। বিদ্যুৎ উৎপাদনে রেকর্ডের মধ্যেও সিলেটজুড়ে লোডশেডিং বাড়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন সিলেটবাসী।বিপাকে আছেন ব্যবসায়িরাও। ঈদের মৌসুমে এমন ঘন ঘন লোডশেডিং ব্যবসার ক্ষতি করছে বলে জানান তারা।বিদ্যুৎ সরবরাহ ও লোডশেডিং বন্ধের মাধ্যমে জনসাধারণের দুর্ভোগ লাঘবে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদকে ফোন দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন এমপি। ফোনে তিনি চাহিদামাফিক বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করে লোডশেডিং বন্ধে সহযোগিতা চান।

জবাবে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী জানান, প্রচন্ড তাপদাহে বিদ্যুতের ব্যবহার বৃদ্ধি ও কয়েকটি কেন্দ্রে উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় সারাদেশে চাহিদামতো বিদ্যুৎ সরবরাহ সম্ভব হচ্ছে না। ত্রুটি সারিয়ে বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোকে পুরোদমে উৎপাদনে নেয়ার কাজ চলছে। কয়েকদিনের মধ্যেই চলমান বিদ্যুৎ সংকট কেটে যাবে।বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল কাদির গণমাধ্যমকে বলেন, দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনে রেকর্ড হলেও এই গরমে চাহিদাও বেড়ে গেছে কয়েকগুন। সিলেট বিভাগে এখন বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে ৬২০ মেগাওয়াট। আর আমরা পাচ্ছি ৫১৫ মেগাওয়াট। সিলেটে এখন ১০৫ মেগাওয়াটের মত ঘাটতি রয়েছে। তাই লোডশেডিং হচ্ছে।আব্দুল কাদির বলেন, আগামীকাল ১৯ এপ্রিল থেকে অফিস-আদালত বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হতে পারে। বিদ্যুৎ ব্যবহারে সবাইকে সাশ্রয়ী হতে হবে। বিদ্যুৎ অপচয় রোধ করতে হবে। এমনটা হলে সমস্যা দ্রুতই সমাধান হবে।

You might also like