ছাতকে নতুন আক্রন্ত ১২ ধারন বাজারে স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন করে দোকানপাট খোলা-বাড়ছে ঝুঁকি
শামীম আহমদ তালুকদার
সত্যবাণী
সুনামগঞ্জ থেকেঃ সুনামগঞ্জের ছাতকে করোনা ভাইরাসে নতুন কওে আরো ১২ জন আক্রান্ত হয়েছেন।মঙ্গলবার রাতে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পিসিআর ল্যাব থেকে প্রাপ্ত রিপোর্টে ১২ জনের করোনা পজেটিভ সনাক্ত হয়।এ নিয়ে ছাতকে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২৩৪ জন।নতুন আক্রান্তদের মধ্যে উপজেলা পরিষদ এলাকার ১ জন, মন্ডলীভোগ মেডিকেল রোড এলাকার ২ জন,পৌরসভা এলাকার ১ জন,নোয়ারাই সিসিএফ এলাকার ১ জন,উত্তরা ব্যাংক শাখায় কর্মরত ১ জন, জাউয়া এলাকায় ৪ জন ও কৈতক এলাকায় ২ জন বলে জানা গেছে।
উপজেলায় করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ অনুযায়ী ছাতক পৌরসভা, নোয়ারাই, কালারুকা,গোবিন্দগঞ্জ ও জাউয়াবাজার ইউনিয়নকে রেড জোন ঘোষনা করা হয়।গত মঙ্গলবার ঘোষনা কার্যকর হয়।
করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা আশংকাজনকভাবে বৃদ্ধি পেলেও গোবিন্দগঞ্জ সৈদেরগাঁও ইউনিয়নের ধারন বাজারে ব্যবসায়ী ও সাধারন মানুষ স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্বের বিষয়টি মানছেননা। উপজেলা প্রশাসন কতৃক বিকেল ৪ টার মধ্যে ঔষধের দোকান ছাড়া সকল দোকান-পাট বন্ধের নিদর্শেনা থাকলেও ধারন বাজারের কিছু ব্যবসায়ী নির্দেশনা মানছেন না অভিযোগ উঠেছে। গত সপ্তাহে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে নির্ধারিত সময়ের অতিরিক্ত সময় দোকান খোলা রাখা ও মাস্ক না থাকায় ধারন বাজারে একাধিক দোকানে জরিমানা আদায় করা হলেও স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘনের অপরাধ থামছেনা। ঝুঁকি নিয়ে দোকান খোলা রাখার কথা বলেও কিছু ব্যবসায়ীরা অতিরিক্ত মুল্য আদায় করছেন এ অভিযোগও রয়েছে।
সরজমিনে বুধবার দেখা যায়, বাজারে আসা লোকজনের মধ্যে শতকরা ৮০ভাগ মানুষই ব্যবহার মাস্ক করছেন না। মানছেন না সামাজিক দূরত্ব। সব শ্রেণী-পেশার ছোট-বড় সকল ব্যবসায়ীদেরও একই অবস্থা মাস্ক ব্যবহার বা স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না তারা। অনেকের সাথে মাস্ক থাকলেও তা পকেটে কিংবা হাতে ঝুলিয়ে রাখতে দেখা গেছে। পুলিশ দেখলে মাস্ক ব্যবহার করে, আবার চলে গেলে খুলে ফেলা হচ্ছে।বাজারে প্রায় বেশ কয়েকটি নিত্যপণ্যের দোকান রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা রাখা হচ্ছে।পানের কেবিন ও চায়ের হোটেলে চলছে মধ্যরাত পর্যন্ত আডডা। একে-অন্যের হাত ধরে গলা-গলি করে রাস্তায় চলাচল করছে কিছু বখাটে শ্রেনীর যুবক। সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সুত্রে জানা গেছে, ২৪ জুন ২০২০ ইং ছাতকে মোট টেষ্টকৃত নমুনা সংখ্যা ১৪৬১, প্রাপ্ত রিপোর্ট সংখ্যা ১৪০৪, করোনা পজেটিভ সংখ্যা ২৩১, এ পর্যন্ত আরোগ্য লাভ করেছেন ৪৩ জন, মৃত্যু ৩ জন ও আইসোলেশনে রয়েছেন ১৮৫ জন।
স্বাস্থ্যবিধি না মেনে অবাধে চলাফেরা, দোকানপাট খোলা রাখায় করোনা ভাইরাসে ব্যাপক সংক্রমন ঝুঁকিতে রয়েছেন এলাকাবাসী।এ বিষয়ে ছাতক উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.রাজীব চক্রবর্তী নতুন ১২ জন আক্রান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।ছাতক উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী কর্মকর্তা মো. গোলাম কবির এর সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে দুজনেই ব্যস্ত থাকায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।