ছাতকে বকুল চৌধুরীসহ দু’জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের
শামীম আহমদ তালুকদার
সত্যবাণী
সুনামগঞ্জ থেকেঃ সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার গেবিন্দগঞ্জ আব্দুল হক স্মৃতি ডিগ্রী কলেজ এর অধ্যক্ষ মোঃ সুজাত আলী রফিক এর বিরুদ্ধে ফেইসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার করায় মাননীয়, সাইবার ট্রাইব্যুনাল সিলেট, সাইবার পিটিশন মামলা নং- ৭২/২০২৩ ইং দায়ের করা হয়েছে। এতে উপজেলার গোবিন্দনগর গ্রামের মৃত. আজিজুর রহমান এর ছেলে, উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অলিউর রহমান চৌধুরী বকুল, রামপুর ( নরুল্লাপুর) গ্রামের আরজ আলীর ছেলে হাবিবুর রহমান বাবলুসহ দুজনকে আসামী করা হয়।
মামলা সুত্রে জানা যায়, মোঃ সুজাত আলী রফিক দীর্ঘ ২৮ বছর যাবৎ গোবিন্দগঞ্জ আব্দুল হক স্মৃতি ডিগ্রী কলেজে শিক্ষকতা করে আসছেন। ২০১২ সালে উক্ত কলেজে প্রিন্সিপাল হিসাবে দায়িত্ব প্রাপ্ত হওয়ার পর হতে অত্যান্ত সুনামের সহিত দায়িত্ব পালন করে আসছেন। দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক ও সংগঠনের দায়িত্বশীল পদে অধিষ্ঠিত থেকে সমাজ উন্নয়ন কর্মকান্ডে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। উক্ত প্রতিষ্ঠানে মোঃ সুজাত আলী রফিক দায়িত্ব পালনকালীন সময়ে লেখাপড়ার সুষ্ট পরিবেশ, কলেজ ক্যাম্পাসে সুষ্টু শিক্ষার পরিবেশ রক্ষা সহ ইভটিজিং এর মত সামাজিক ব্যাধি দূর করতে সক্ষম হয়েছেন। এছাড়া কলেজের নিজস্ব তহবিল থেকে ২ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি একাডেমিক ভবন নির্মান এমনকি বর্তমান সরকারের অনার্স কোর্স চালু করতে সক্ষম হয়েছেন। পরবর্তীতে ২০২২ ইং সালে কলেজের সুবর্ণজয়ন্তীর মতো অনুষ্ঠান উদযাপন কমিটিসহ সবার অংশ গ্রহনের মধ্য দিয়ে সম্পন্ন করতে সক্ষম হন।
মামলায় আরো উল্লেখ করা হয়, উক্ত অনুষ্ঠান সম্পন্ন হওয়ার এক সপ্তাহ পর হতে একটি স্থানীয় কুচক্রী মহল যারা মোঃ সুজাত আলী রফিক এর নিয়োগ প্রক্রিয়ার সময় থেকে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বিধায় বিরোধীতা করেছিল। তারাই ফেইসবুক সহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মোঃ সুজাত আলী রফিককে অবৈধ প্রিন্সিপাল এবং সুবর্ণ জয়ন্তীতে টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে উল্লেখ করে স্থানীয় বাজারের বিভিন্ন পয়েন্টে পয়েন্টে মাইকিং করে সুজাত আলীর চামড়া তুলে নিব আমরা” ঘোপালের সুজাত আলী ঘোপালে চলে যা” যাহা ফেইসবুক, ম্যাজোর হোয়াইটসঅ্যাপ, ওচঞঠ-তে বিভিন্ন মানহানীকর বক্তব্য প্রদান করে আসছে। যার মূলে রয়েছেন অলিউর রহমান চৌধুরী বকুল এবং হাবিবুর রহমান বাবলু। এবং একে অপরকে ফেইসবুক আইডিতে শেয়ার ও ঞধম করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে অপরাধ করেছেন। বিগত ৩০/০৩/২০২৩ ইং তারিখে তার পূর্ববর্তী ও পরবর্তী ভিন্ন ভিন্ন তারিখে মো, সুজাত আলী রফিকের ফটো দিয়ে ফেইসবুকে ষ্টেটাস দেওয়া হয়। মোঃ সুজাত আলী রফিক টাকা চোর আর তা শেয়ার করে দেশ বিদেশ বিভিন্ন জনের ঋধপবনড়ড়শ ওউ ঞধম করেন অলিউর রহমান চৌধুরী বকুল। তাছাড়া মোঃ সুজাত আলী রফিককে কিভাবে সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করা যায় অলিউর রহমান চৌধুরী বকুল অশালীন আপত্তিকর মানহানীকর বক্তব্য ক্রমান্বয়ে দিয়ে যাচ্ছেন। বিগত ৩০/০৩/২০২৩ ইং তারিখে মো. সুজাত আলী রফিক বসত বাড়ীতে অবস্থানকালে তার ঋধপবনড়ড়শ ওউ তে দেখতে পান যে, অলিউর রহমান চৌধুরী বকুল নামক আইডিতে মো. সুজাত আলী রফিকের ফটো দিয়ে চোর বলে লাল চিহ্ন দেয়া ইহা প্রচার করতে থাকেন। সারা বিশ্বব্যাপী প্রচার করা হয়। এতে মো. সুজাত আলী রফিক ও তার পরিবারের মানহানী এবং সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করা হয়। মামলায় আরো উল্লেখ করা হয় অলিউর রহমান চৌধুরী ব্কুল এর সহযোগীতা ও আর্থিক প্রনোধনায় মো. সুজাত আলী রফিকের বিরুদ্ধে অনলাইনে লাইভ বক্তব্যের মাধ্যমে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা অপপ্রচার করে যাচ্ছেন। এছাড়াও মো. সুজাত আলী রফিক ইতিপূর্বে সিলেট জেলার জালালাবাদ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেছেন বলে মামলায় উেেল্লখ করা হয় ।এ বিষয়ে অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম খাঁন মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে এবং সিআইডিকে তদন্তের জন্য দেওয়া হয়েছে।