ছাতকে রতনা নদী জবর দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মান
শামীম আহমদ তালুকদার
সত্যবাণী
সুনামগঞ্জ থেকেঃ সুনামগঞ্জের ছাতকে গোবিন্দগঞ্জ সৈদেরগাঁও ইউনিয়নের মল্লিকপুর মৌজাস্থিত রতনা নদী (খাল) ভরাট ও ব্যক্তি মালিকাধীন ভূমি জবর দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মানের অভিযোগ উঠেছে।এতে স্থানীয় পুটিয়া বিলে কৃষকদের কৃষি সরঞ্জাম নিয়ে নৌ-পথে যাতায়াত বাঁধাগ্রস্থ ও উত্তরাঞ্চলের কটালপুর,পার্বতীপুর,ঘিলাচড়া ও মৈশাপাহাসহ কয়েকটি মৌজার পানি নিস্কাশন ব্যাবস্থা ব্যহত হওয়ার আশংষ্কা দেখা দিয়েছে।স্থানীয় সুত্রে জানা যায়,রতনা নদী (খাল) এর উভয় তীরে হাইলকেয়ারী গ্রাম অবস্থিত।অন্যদিকে হাইলকিয়ারী গ্রামের দক্ষিন অংশ থেকে শুরু হয়ে পুটিয়া বিল পর্যন্ত একটি রাস্তাও রয়েছে।কটালপুর, সাউদপুর,হাইলকিয়ারীসহ কয়েকটি গ্রামের কৃষকেরা বর্ষা মৌসুমে রতনা নদী (খাল) দিয়ে নৌকা যোগে ও শুকনা মৌসুমে মাটি ভরাট করা রাস্তায় পুটিয়া বিলে যাতাযাত করে থাকেন।
অভিযোগ উঠেছে, মল্লিকপুর গ্রামের মৃত. সিয়াম উদ্দিনের ছেলে আব্দুল গফুর রতনা নদী (খাল) তীরভর্তী মাটি ভরাট করে অবৈধ স্থাপনা নির্মান করেছেন।হাইলকিয়ারী গ্রামের দক্ষিন অংশ থেকে শুরু হয়ে পুটিয়া বিল পর্যন্ত যাতায়াতের রাস্তায় ও ব্যাক্তি মালিকানাধীন ভূমি জোরপূর্বক দখল করে সীমানা প্রাচীর নির্মানের অভিযোগ রয়েছে আব্দুল গফুরের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় খুরমা উত্তর ইউনিয়নের আলমপুর গ্রামের ইন্তাজ আলীর ছেলে আজির উদ্দিন গত ১৬ মে ছাতক থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগের প্রেক্ষিতে পরদিন (১৭ মে) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ছাতক থানার এস আই উছমান গণী।অপরদিকে রতনা নদী (খাল) থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ,সরকারী খাস জমি উদ্ধার,পানি নিস্কাশন ও কৃষকদের যাতায়াত পূর্ন ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়ে ছাতক উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর (১৭ মে) এলাকাবাসীর পক্ষে মো.সমসর উদ্দিন পৃথক একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়।
এ বিষয়ে আব্দুল গফুরের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি রিসিব করেননি। তদন্তকারী কর্মকর্তা ছাতক থানার এসআই উছমান গণী ঘটনাস্থল পরিদর্শনের সত্যতা স্বীকার করেছেন।গোবিন্দগঞ্জ সৈদেরগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান আখলাকুর রহমান আখলাক বলেন,সরকারী খাস খতিয়ান ভোক্ত ভূমিতে অবৈধ স্থাপনা নির্মান না করার জন্য আমি ও আমার পরিষদের সদস্যবৃন্দ কতৃক আব্দুল গফুরকে নিষেধ করা হয়েছে। কিন্ত আব্দুল গফুর নিষেধ অমান্য করে অবৈধ নির্মান করেছেন।তিনি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও ছাতক উপজেলা নিবার্হী কর্মতাসহ সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।ছাতক থানার ওসি মোস্তফা কামাল বলেন,সরকারী খাস খতিয়ান ভোক্ত ভূমিতে অবৈধ স্থাপনা নির্মানের বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার অথবা আদালতের স্বরণাপন্ন হওয়ার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।ছাতক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম কবির অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,স্থাপনা নির্মান না করার জন্য আব্দুল গফুরকে মৌখিক ভাবে বলা হয়েছে।তিনি আরো বলেন,অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।