ছাতকে সৈদেরগাঁও ইউনিয়নে ডিলার কর্তৃক চাল চুরির ঘটনায় তোলপাড়
শামীমআহমদতালুকদার
সত্যবাণী
সুনামগঞ্জথেকেঃ সুনামগঞ্জের ছাতকের গেবিন্দগঞ্জ সৈদেরগাঁও ইউনিয়নে ফেয়ার প্রাইস এর চাল চুরি করে কালোবাজারে বিক্রি ও মৃত. ব্যক্তির নামে চাল উত্তোলন করে আত্মসাৎতের ঘটনায় উপজেলা জুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।এ ঘটনায় গত ২ সেপ্টেম্ভর ফেয়ার প্রাইস খাদ্যদ্রব্য চালের ডিলার সহ সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগটি দায়ের করেন গোবিন্দগঞ্জ সৈদেরগাঁও ইউনিয়নের গোবিন্দনগর গ্রামের হাজীর আরব আলীর ছেলে আনছার আলী।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গেবিন্দগঞ্জ সৈদেরগাঁও ইউনিয়নের ফেয়ার প্রাইস চাল চুরি করে কালোবাজারে বিক্রি ও মৃত. ব্যক্তির নামে চাল উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন ফেয়ার প্রাইস খাদ্যদ্রব্য চালের ডিলার মো. বেলাল মিয়া, তার সহযোগি একই ইনিয়নের তকিপুর গ্রামের বাসিন্দা ও ইউপি চেয়ারম্যান আখলাকুর রহমান সহ একটি সিন্ডিকেট বাহিনী।
জানা যায়, ২০২০ সালের জানুয়ারী মাস থেকে মার্চ মাসে সৈদেরগাঁও ইউনিয়নে ফেয়ার প্রাইস চাল চুরি করে কালো বাজারে বিক্রি ও মৃত. ব্যক্তির নামে চাল উত্তোলন দেখিয়ে আত্মসাৎ করে কালোবাজারে বিক্রি করেছেন অভিযুক্ত ডিলার ও চেয়ারম্যান। তারা এলাকার গরীব অসহায় মানুষের প্রাপ্য ও ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করে মৃত. ব্যক্তির নামে সরকারী চাল উত্তোলন করে নিজেরাই আত্মসাৎ করে নিয়েছেন। এলাকায় তারা লুটপাঠের একটি সংঘবদ্ধ চক্র তৈরি করে রেখেছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয় ।
এছাড়াও তারা অন্যান্য চাল ব্যবসায়ীদের সাথে গোপনে বুড়াইরগাঁও, গোবিন্দগঞ্জ ও ছাতকবাজার সহ বিভিন্ন জায়গায় সরকারী চাল বন্ঠনে গরিব হকদার মানুষদের ঠকিয়ে বিক্রি ও আত্মসাৎ সহ ভুয়া স্বাক্ষরে ফেয়ার প্রাইস তালিকার ৩৮০ ও ১০৪১ নং ক্রমিক ভুক্ত মৃত. ব্যক্তির নামে বন্ঠন দেখিয়ে কালোবাজারে বিক্রি করে টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এদের অসৎ কর্মের সকল কাগজ-পত্র, স্বাক্ষর, মাষ্টার রোল যাচাই করে জালিয়াতির বিরুদ্ধে প্রশাসন কঠোর পদক্ষেপ গ্রহন করবেন এমনটি দাবী জানান অভিযোগকারী ও এলাকার সাধারণ মানুষজন।এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ফেয়ার প্রাইস ডিলার মো. বেলাল মিয়া’র সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে কোন কিছু আমার জানা নেই। আমি মেডিকেলে ছিলাম।গেবিন্দগঞ্জ সৈদেরগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আখলাকুর রহমান আখলাক বলেন, মৃত. ব্যক্তির পরিবার কতৃক চাল প্রাপ্তির বিষয়টি স্বীকার সহ নাম বাতিলের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত আবেদন করা হয়েছে।