ঢাকা এন আর বি ক্লাবে – “বাঙালির বিয়েতে বাংলাদেশের পোশাক” ক্যাম্পেইনের নেটওয়ার্কিং মিটিং
নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী
ঢাকাঃ বিগত রবিবার ৮ই জানুয়ারি ঢাকা এন আর বি ক্লাবে “বাঙালীর বিয়েতে বাংলাদেশের পোশাক” ক্যাম্পেইনের উদোক্তা কাউন্সিলার সাঈদা চৌধুরী এক নেটওয়ার্কিং মিটিং-এর আয়োজন করেন।এ মিটিং- এ উপস্হিত ছিলেন বাংলা টিভি-র ডাইরেক্টর ডঃ দিনাক সোহানী পিংকি, চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমদ, ফ্যাশন ডিজাইনার লিপি খন্দকার, এন আর বি ক্লাব ফাউন্ডার সদস্য নজরুল ইসলাম, ফ্যাশন ডিজাইনার সোনিয়া রেজা, ফ্যাশন ডিজাইনার সিলভী মাহমুদ, সাবেক কাউন্সিলার মোহাম্মদ আলী রিংকু, ব্যবসায়ী নাজমুল হাসান চৌধুরী পিন্টু, ফ্যাশন ডিজাইনার আনান আজম, রৌজী নেহার, নিশাত আরা এবং নাজিয়া আহমদ চৌধুরী প্রমুখ।
উদোক্তা সাঈদা চৌধুরী এ ক্যাম্পেইনের ব্যাপারে উপস্হিত সবার কাছে কিছু বাস্তব চিত্র তুলে ধরেন। বৃটেনে বৃটিশ বাংলাদেশীদের প্রতিটি বিয়েতে গড়ে প্রায় ৫০ হাজার পাউন্ড খরচ হয়ে থাকে। বর-কনেসহ তাদের পরিবারের সদস্যদের গায়ে হলুদ, বিয়ে এবং বিয়ে পরবর্তী অভ্যর্থনা অর্থাৎ রিসেপশন অনুষ্ঠানে গড়ে ২০%, যা প্রায় ১০ হাজার পাউন্ডের মত পোশাক খাতে ব্যয় করা হয়। এই ১০ হাজার পাউন্ডের একটি পাউন্ডও বাংলাদেশের পোশাক-শিল্প পায় না। কারণ, বাংলাদেশে তৈরি পোশাক পরে সাধারণত বৃটিশ-বাংলাদেশীদের বিয়ে হয় না। ভিন্ন দেশের তৈরি পোশাক পরিধান করেই বৃটিশ-বাংলাদেশীদের বিয়ে হয়।সাঈদা চৌধুরী উল্লেখ করেন, বৃটিশ-বাংলাদেশীদের ৪র্থ প্রজন্ম এখন বিলেতে বাস করছে। বিয়ের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে। হিসেব করলে দেখা যাবে, বছরে প্রায় ২ হাজার বিয়েতে ২০ মিলিয়ন পাউন্ড বিয়ের পোশাক খাতে ব্যয় হচ্ছে। বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী পোশাক শিল্প বৃটিশ-বাংলাদেশীদের বিয়েতে যথেষ্ট মানসম্মত ও এক্সক্লুসিভ (অনন্য) বিয়ের কাপড়ের যোগান দিতে পারবে।
উপস্হিত সবাইকে এ ক্যাম্পেইনটির সাথে যুক্ত হয়ে সহযোগিতা করার আহবান জানান।
তিনি কিছু ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথাও তুলে ধরেন –
১. বিলেতের মাটিতে বাংলাদেশী এক্সক্লুসিভ (অনন্য) বিয়ের পোশাক-শিল্পের প্রদর্শনী।
২. ফ্যাশন ডিজাইনার, পোশাক-শিল্প প্রদর্শনীর আয়োজক এবং ওয়েডিং সার্ভিস ব্যবসার সমন্বয়কারীদের নিয়ে সেমিনার।
৩. বাংলাদেশের বিয়ের পোশাকে বিনিয়োগের বিষয়ে নিয়মিত সেমিনার ও কনফারেন্সের আয়োজন।
৪. বাংলাদেশের ফ্যাশন ডিজাইনার, বিনিয়োগকারী এবং পোশাক-শিল্পের দক্ষ কারিগরদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ।অনুষ্ঠানে অতিথিরা এ-ক্যাম্পেইনের কাজে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। বিশেষ করে বৃটেনে বসবাসরত বৃটিশ-বাংলাদেশী তৃতীয়-চতুর্থ প্রজন্মের কাছে বাংলাদেশের সুনামধণ্য পোশাক-শিল্পের কাজকে জনপ্রিয় করতে সাহায্য করবেন বলে আশা পোষন করেন।