তকে চাঁদা না পেয়ে স্থাপনা নির্মানে বাঁধা: ভূমি জবর দখলের পায়তারা

শামীম আহমদ তালুকদার
সত্যবাণী

সুনামগঞ্জ থেকেঃ সুনামগঞ্জের ছাতকে চাঁদা না পেয়ে ব্যক্তিমালিকানা ভূমিতে স্থাপনা নির্মানে বাঁধা ও জবরদখলের করার পাল্টা অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আজ সোমবার সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন উপজেলার মল্লিকপুর গ্রামের মৃত. সিরাজ উদ্দিনের ছেলে আব্দুল গফুর। এতে মল্লিকপুর প্রকাশিত (হাইলকিয়ারি) গ্রামের সমসর আলী (সঞ্চর), হাইলকিয়ারী গ্রামের মো. ওয়াহাব আলী (মংলা)’র ছেলে সেলিম আহমদ ও মল্লিকপুর প্রকাশিত (হাইলকিয়ারি) গ্রামের মৃত. জহুর আলী’র ছেলে রুবেল মিয়াকে আসামী করা হয়। বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য ছাতক উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে তাৎক্ষনিক নির্দেশ প্রদান করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ।

অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, প্রায় ২০ বছর আগে হাইলকিয়ারি গ্রামের মস্তাব আলী’র নিকট থেকে রত্মা নদীর তীরবর্তী ২৪ শতাংশ ভূমি ক্রয় করেন আব্দুল গফুর।তৎসময়ে স্থানীয় মুরব্বিয়ানদের উপস্থিতিতে ক্রয়ক্রিত ভূমি পরিমাপ করে চতুরদিকে সীমানা পিলারও স্থাপন করা হয়। এই ভূমিতে মাটি ভরাট করার সময় শুক্রবার (২৫ মে) বিকেল আনুমানিক ৩ টার দিকে সমসর আলী (সঞ্চর),সেলিম আহমদ, রুবেল মিয়া এসে আব্দুল গফুরের নিকট চাঁদা দাবি করেন অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। চাঁদা না দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে আব্দল গফুরকে হুমকি-ধমকি দেওয়া হয়।পরবর্তীতে সীমানা প্রাচীর ও স্থাপনা নির্মান কাজ শুর করা হলে আবারো চাঁদা দাবি করেন।চাঁদা না দিলে স্থাপনা নির্মান করতে দিবেন না বলে হুমকি প্রদান করেন সমসর আলী (সঞ্চর) ও তার সহযোগীরা।আব্দুল গফুর রত্মা নদী ভরাট করে স্থাপনা নির্মান করেছেন এই অপপ্রচার করে তার বিরুদ্ধে সাধারন মানুষকে ফুসলিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা করা হয়।হাইলকিয়ারী গ্রাম থেকে আব্দুল গফুরের খরিদা ভূমির আশ-পাশ পর্যন্ত হাইলকিয়ারি গ্রামের বিভিন্ন জন রত্মা নদী ভরাট ও দখল করে ঘর-বাড়ি নির্মান করা হয়েছে। তারাই পানি চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে আসছেন। প্রকৃত ঘটনা আডাল করার জন্য ও দাবিকৃত চাঁদা না দেওয়ায় আব্দুল গফুরকে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি ও ক্ষতিগ্রস্থ করে আসছেন সমসর আলী (সঞ্চর) ও তার সহযোগীরা অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।এর আগে রত্না নদী জবর দখল করে স্থাপনা নির্মান ও পানি চলাচলে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টির অভিযোগ তুলে গত ২৬ আগষ্ট সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবর ও ১৭ মে ছাতক উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর বিরুদ্ধে আব্দুল গফুরের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি অভিযোগ দায়ের করা হয়।

You might also like