তাহিরপুরে অবৈধ বালু ও পাথর উত্তোলন অব্যাহত-আটক ৬ নৌকা

শামীমআহমদতালুকদার
সত্যবাণী

সুনামগঞ্জথেকেঃ সুনামগঞ্জের তাহিরপুর সীমান্ত নদী যাদুকাটা, মাহারাম, শান্তিপুর, চাঁনপুর ও কলাগাঁও ছড়া থেকে লক্ষ লক্ষ টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে বালু ও পাথর উত্তোলন করছে স্থানীয় প্রভাবশালী চক্র। সিন্ডিকেডের মাধ্যমে দীর্ঘদিন যাবত অবৈধভাবে বালু ও পাথর বিক্রি করে বনে গেছে আঙুল ফুলে কলাগাছ। আর বিপুল পরিমান রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। প্রশাসন, পুলিশ, বিজিবরি অভিযান অব্যাহত থাকলেও কিছুতেই থামছেনা অবৈধভাবে বালু ও পাথর উত্তোলন।এ দিকে রোবাবর সকাল ১০টায় বিজিবি’র অভিযানে অবৈধ বালু বোঝাই ৬টি ইঞ্জিন চালিত নৌকা আটক করা হয়।

স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের গাগটিয়া জালরটেক হতে অদৈত মহাপ্রভুর বাড়ির পশ্চিমপাড় পর্যন্ত প্রায় ২কিলোমিটার ও শিমুলবাগান হতে মাহারাম নদী হয়ে শান্তিপুর ও চানপুর পর্যন্ত প্রায় ২কিলোমিটার ও উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের কলাগাঁও-চাঁরাগাঁও এলাকায় চলছে অবৈধ ভাবে বালু ও পাথর বিক্রির মহোৎসব।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বাদাঘাট ইউনিয়নের গাগটিয়া গ্রামের আব্দুল আহাদ, রানু মিয়া ও আলী চাঁদ মিয়া গং ে কোন প্রকার রসিদ ছাড়াই প্রতিদিন রাতে যাদুকাটা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের সময় নৌকা প্রতি ৫শ থেকে ২হাজার টাকা পর্যন্ত চাঁদা নেওয়াসহ তারা নিজেরাও অবৈধভাবে বালুু উত্তোলন করে বিক্রি করছে।

এছাড়াও যাদুকাটা নদীর তীরে অবস্থিত জালর টেক বড়ইতলা এলাকায় আব্দুল আহাদ,আব্দুল্লা,আব্দুল হান্নানসহ আদর্শ গ্রামের খাইরুল মিয়া গং অবৈধভাবে গভীর কোয়ারী তৈরি করে লক্ষলক্ষ টাকার বালি ও পাথর বিক্রি করছে। জালরটেক এলাকার শামসুল আলম প্রতি রাতে যাদুকাটা নদীর পাড় কেটে বালি ও পাথর বিক্রি করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অন্যদিকে শিমুল বাগান সংলগ্ন যাদুকাটা নদী ও মাহারাম নদী থেকে অবৈধভাবে বালু ও পাথর উত্তোলন করে বিক্রি করছে উত্তর বড়দল ইউনিয়নের মানিগাঁও গ্রামের শাহালাম ও মাজহারুল গং এ অভিযোগও রয়েছে।সচেতন মহলের অভিমত, প্রশাসন মাঝে মধ্যে অভিযান চালিয়ে নৌকাসহ শ্রমিকদের আটক করলেও বালু ও পাথর খেকো স্থানীয় প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা না নেওয়ার ফলে অবৈধ ভাবে বালু ও পাথর উত্তোলন বন্ধ করা সম্ভব হচ্ছেনা।

এ বিষয়ে বালিয়াঘাট বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার হাবিলদার জাকির জানান,আমার উপরস্থ কর্মকর্তার নির্দেশে অবৈধ বালু বোঝাই ৬টি নৌকা আটক করেছি। তারাই প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নিবেন। তাহিরপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সৈয়দ আমজাদ হোসেন জানান, রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে যারা অবৈধ ভাবে বালু ও পাথর উত্তোলন করছে তাদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

You might also like