পক্ষপাতমূলক আচরণের অভিযোগে জিএসসি নির্বাচনের সিইসি’র পদত্যাগ
নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী
লন্ডন: গ্রেটার সিলেট কাউন্সিলের আসন্ন নির্বাচনে পক্ষপাতমূলক আচরণের অভিযোগের কারণে পদত্যাগ করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। সাধারণ প্রার্থীদের প্রচুর অভিযোগের মুখে ২১ ডিসেম্বর ভোরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার পদত্যাগ করেন। সাধারণ প্রার্থীদের অভিযোগ ছিল নমিনেশন ফর্মের নীচে কমিশনারের নাম ও কন্টাক্ট ডিটেলস ছিল না, বরং সেখানে ছিল বর্তমান চেয়ার, সেক্রেটারির নাম যারা কিনা নিজেরাই এবার নির্বাচনে প্রার্থী। এ বিষয়ে অভিযোগ এনে ইলেকশন কমিশনারের নাম ও কন্টাক্ট ডিটেলস সহ নতুন করে ফর্ম তৈরী করার দাবীকে তিনি অগ্রাহ্য করেন।
নিয়ম হচ্ছে নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর প্রার্থীদের কাছে সমস্ত চিঠিপত্র বা ম্যাসেজ আসবে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছ থেকে। ১৮ ডিসেম্বর ছিল প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ। সেদিন কয়েকঘণ্টার নোটিশে হঠাৎ কোনো কারণ ব্যাখ্যা না দিয়েই প্রার্থীতা প্রত্যাহারের তারিখ সাত দিন পিছিয়ে দেবার ম্যাসেজ আসলো। স্বাভাবিকভাবে সবার প্রত্যাশা ছিল, এ ধরনের করেসপন্ডেন্স আসবে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছ থেকে কিন্তু ঐ ম্যাসেজটি এসেছিল বর্তমান চেয়ার ও সেক্রেটারির কাছ থেকে (যারা নিজেরাই প্রার্থী)। স্বাভাবিকভাবে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে প্রশ্ন এসেছিল যারা নির্বাচনে প্রার্থী (বর্তমান চেয়ার ও সেক্রেটারি) তারাই যদি নির্বাচনকে নিয়ন্ত্রণ করেন তাহলে এখানে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের ভূমিকা কি। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে
অভিযোগকারীদের প্রশ্ন ছিল প্রতিটি ধাপেই যদি প্রধান নির্বাচন কমিশনার বর্তমান চেয়ার ও সেক্রেটারি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হন তাহলে তাঁর নিরপেক্ষ অবস্থানে থাকার নৈতিক দ্বায়িত্ব কতটুকু পালন করা হল। এসব নানা অভিযোগের মুখে শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ২১ ডিসেম্বর ভোরে পদত্যাগ করেন।