পত্রিকা পরিবার আয়োজিত স্মরণসভায় বক্তারা: প্রয়াত শাহাব উদ্দিন আহমদ বেলাল বিপন্ন মানুষের বন্ধু ছিলেন

বিশেষ প্রতিবেদক
সত্যবাণী

লন্ডন, ৩০ জানুয়ারি: গত ২৫ জানুয়ারি বিকেলে সাপ্তাহিক পত্রিকা পরিবারের উদ্যোগে প্রয়াত শাহাব উদ্দিন বেলালের স্মরণসভায় তাকে বিপন্ন মানুষের বন্ধু ছিলেন আখ্যায়িত করে বক্তব্য রাখেন উপস্থিত সাংবাদিক ও গণমাধ্যমকর্মীরা।

পূর্ব লন্ডনের জুবিলি স্ট্রিটে পত্রিকা ফিসে আয়োজিত স্মরণ সভায় সভাপতিত্ব করেন পত্রিকার প্রধান সম্পাদক মোহাম্মদ বেলাল আহমদ। কবি হামিদ মোহাম্মদের উপস্থাপনায় শাহাব উদ্দিন বেলালের সাথে নানা স্মৃতির কথা উল্লেখ করে বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক মুহম্মদ আবদুস সাত্তার, পত্রিকা সম্পাদক মোহাম্মদ এমদাদুল হক চৌধুরী, চ্যানেল এসর চীপ রিপোর্টার মুহম্মদ জুবায়ের, সাপ্তাহিক দেশ সম্পাদক তাইসির মাহমুদ, চ্যানেল এসর সাংবাদিক কামাল মেহেদী, সুরমার সাবেক সম্পাদক সৈয়দ মনসুর উদ্দিন, চ্যানেল এসর ক্যামেরাম্যান রেজাউল করিম মৃধা, সাপ্তাহিক বাংলাপোস্টের ডিজাইনার সালেহ আহমদ, পত্রিকার বার্তা সম্পাদক তবারকুল ইসলাম পারভেজ, সাংবাদিক আহাদ চৌধুরী বাবু, কবি শাহনাজ সুলতানা, নতুন দিনের বার্তা সম্পাদক পলি রহমান, কবি আবদুল কায়ূউম, সাংবাদিক মো. আবদুল কাউয়ূম, সাংবাদিক আবদুল হান্নান, বদরুজ্জামান বাবুল, আজিজুল হক কয়েস, দর্পন সম্পাদক রহমত আলী, সাজু আহমদএনাম চৌধুরী, কবি দিলু নাসের ও শাহাব উদ্দিন  বেলালের জ্যেষ্ঠ পুত্র হাসনাত আহমদ।  

বক্তারা আরো বলেন, শাহাব উদ্দিন আহমদ বেলাল একজন একনিষ্ট সমাজকর্মী,পরোপাকারি ব্যক্তিত্ব ছিলেন। সমাজ সেবার অংশ হিসেবে তিনি টাওয়ার হ্যামলেটসের কাউন্সিলর ছিলেন। কাউন্সিলের বিমাতাসূলভ বিভিন্ন আচরণের তিনি ছিলেন প্রতিবাদী এবং কমিউনিটি বান্ধব সদস্য। তাঁর সময়ে অনেক হাউজিং সমস্যায় বিপন্ন অনেক বাঙালি উপকৃত হয়েছেন। উচ্চশিক্ষায় বাংলাদেশ থেকে আসা অনেক শিক্ষার্থীকে তিনি আর্থিক ও বাসস্থান সমস্যা নিরসনসহ অনেকে এদেশে স্থায়ী হতে পেরেছেন।

বক্তারা বলেন, তিনি মুত্যুকে ভয় করতেন না, শেষের দিকে তিনি বেশিরভাগই চিকিৎসার জন্য হাসপাতালেই থাকতেন, কিন্ত তা পরোয়া না করে বলতেন দ্বিতীয় বাড়িতে আছেন। বাংলাদেশ এবং ব্রিটেনে অনেক বড় মানুষ ও রাজনীতিবিদদের সাথে তাঁর বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। এতে নিজের জন্য কোন সুবিধা আদায় করেননি, বিপন্নদের জন্য কাজ করেছেন। সাপ্তাহিক পত্রিকা ও সাপ্তাহিক জনমত অফিসে প্রতি বছর রমজান মাসে ব্যাপক আয়োজনে ইফতারি বাড়ি থেকে রান্না করে দিতেন। তিনি মানুষকে আপ্যায়িত করে আনন্দ পেতেন, মানুষকে ভালবাসতেন।  

স্মরণসভায় তাঁর জ্যেষ্ঠ পুত্র হাসনাত আহমদ স্মৃতিচারণ কওে বলেন, বাবার মৃত্যুর পর বুঝেছি, বাবা কেন আমাদের সময় না দিয়ে এতো বেশি  বাইরে থাকতেন। বাবা প্রয়াত হলে অনেকেই আমাদের বাড়িতে সান্তনা দিতে এসেছে, কান্নায় ভেঙে পড়েছেন। মানুষ কতটুকু মমতা পেলে কান্না করে, তখনই বুঝেছি। আমরা যেন আপনাদের  স্নেহছায়ায় চিরকাল  থাকতে পারি, এই দোয়া করবেন। আমরা ও আমাদের পরিবার মিডিয়া জগতের বন্ধন ছিন্ন করব না।

উল্লেখ্য, গত ২০১৮ সালের ২৬ জানুয়ারি  বিশিষ্ট সাংবাদিক ওসমাজকর্মী শাহাব উদ্দিন আহমদ বেলাল দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে ইন্তেকাল করেন।

স্মরণসভার সভাপতি মোহাম্মদ বেলাল আহমদের বক্তব্যের মধ্যদিয়ে সভার সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

You might also like