পর্তুগালে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মুখে বাংলাদেশী ব্যবসায়ীরা
শাহ মো:তানভীর
সত্যবাণী
পর্তুগাল থেকে: করোনার কারণে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়েছেন পর্তূগালে বাংলাদেশী ব্যবসায়ী–উদ্যোক্তারা। এখন তাঁরা চরম সংকটে রয়েছেন। শুধু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নয়, পর্তুগালে প্রায় ছোট–বড় কয়েকশ দোকানে কয়েক হাজার কর্মচারিও রয়েছেন সংকটে। অর্থনৈতিক সংকটে দিশেহারা হয়ে অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাবার পথে । ব্যবসায়ীরা বলছেন, পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে না এলে অনেক লোকসানের সম্মুখীন হতে হবে তাদের। ব্যবস্যা প্রতিষ্টান বন্ধ করে মাসের পর মাস দোকান ভাড়া সহ অনেক কিছু বহন করে যেতে হচ্ছে ব্যাবসায়ীদের। কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে এর ব্যয়বার বহন সম্ভব না হওয়ায় তা ছেড়ে দিয়েছেন দোকান মালিকরা ।
সবচেয়ে বেশি সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন পর্তুগালের রাজধানী লিসবনের রেস্টুরেন্ট মালিকরা। ধস নেমেছে রেস্টুরেন্ট ব্যবসায় ।প্রতিদিনই বাড়ছে লোকসান। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক রেস্টুরেন্ট মালিক বলেন, “আমার ৫ বছরের রেস্টুরেন্ট ব্যবসায় এমন সঙ্কট আমি আগে দেখিনি। অনলাইন এবং টেলিফোনে খাবারের অর্ডার নিয়ে বাসায় খাবার পৌঁছে দিয়ে কোনরকম ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। তিনি বলেন, বিক্রি কমে গেছে কমপক্ষে ৮৫ শতাংশ। ৭ জন কর্মীর মধ্যে ২ জন নিয়ে কাজ করছি। কীভাবে ব্যবসা চালু রাখবো বুঝতে পারছি না’’।
পর্তুগালের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আহমদ রুপনের সাথে আলাপ কালে তিনি জানান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নিয়ে অনেকটা লোকসানের মুখে আছেন ,ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নতুন হওযায় সরকার থেকে কোনো সহায়তাও পাচ্ছেন না ।
পর্তুগাল বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ এসোসিয়েশন সভাপতি রানা তাসলিম উদ্দিনের সাথে আলাপকালে তিনি জানান, সরকারের পক্ষ থেকে নতুন ব্যবসায়ী–উদ্যোক্তাদের জন্য কোনো সহযোগিতা করা হচ্ছেনা, তবে পুরাতন সব ব্যবসায়ীরা সরকার থেকে যথেষ্ট সহযোগিতা পাচ্ছেন। আর যারা পাচ্ছেন না অনেকে সঠিকভাবে আবেদন করতে পারছেন না। আমাদের বাঙালী কমিনিটির অনেক ব্যবসায়ী ভাইয়েরা সঠিক ভাবে এবং ভালো একাউন্টেন্ট দিয়ে আবেদন করলে তারাও সরকারের দেয়া সবধরনের সুযোগ সুবিধা পাবেন বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেন। তিনি আরো বলেন, পর্তুগাল সরকার সবসময় ইমিগ্রান্টদের প্রতি আন্তরিক। করোনা পরিস্থিতি একটু উন্নতির দিকে গেলে ক্রমান্বয়ে সবাই বৈধতা পাবেন বলে তিনি আশাব্যক্ত করেন।
এদিকে, পর্তুগাল থেকে ধীরে ধীরে লকডাউন তুলে নেওয়ার পরিকল্পনা করছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী আন্তনিও কোস্তা। ১১ মার্চ বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় রাত ৮টায় মন্ত্রিসভার বৈঠকে তিনি তাঁর পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন। আশা করা যাচ্ছে ধীরে ধীরে লকডাউন তুলে নিলে আবার প্রান ফিরে পাবেন ব্যবসায়ীরা ।