ব্রিটেনে রানির মর্যাদাকর সম্মাননা পেলেন যাঁরা
নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী
লন্ডনঃ গ্রেটব্রিটেনে নানা জাতি,পেশার মানুষেরা কমিউনিটিতে এবং জাতীয় আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কল্যাণমূলক কাজের স্বীকৃতিস্বরুপ প্রতিবছর রাণীর জন্মদিনে ওবিই,এমবিই, বিইএম সহ অন্যান্য সম্মাননা প্রদান করা হয়ে থাকে।এবছরও রাণীর জন্মদিনের সম্মাননায় অন্যান্য জাতির মতো ব্রিটিশ বাঙালি যারা এইসব অ্যাওয়ার্ডের জন্য তালিকাভূক্ত হয়েছেন।ব্রিটেনের রানির মর্যাদাকর সম্মাননা পেলেন বাংলাদেশি ব্রিটিশ বাঙালি,কবি দবিরুল ইসলাম চৌধুরী,কাউন্সিলর লুৎফুর রহমান,শিক্ষক -সাংবাদিক সৈয়দ আফসার উদ্দিন,সাজ্জাদ মিয়া,অলি খান ও নীলিমা রহমান।
ব্রিটেনে রাণীর জন্মদিন উপলক্ষে এ বছরে সম্মানিত ব্যক্তিদের তালিকা প্রকাশ করেছে ব্রিটেনের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।তমধ্যে রয়েছেন করোনাভাইরাস মহামারিকালিন সময়ে অবদান রাখা ব্যক্তিবর্গ,স্থানীয় কমিউনিটিতে এবং সরকারের উচ্চ পর্যায়ে অবদান রেখেছেন এমনসব ব্যক্তিবর্গ।এ বছর মোট ১৪৯৫ জনকে বিশেষভাবে সম্মানিত করা হয়েছে। যার মধ্যে ৭২ শতাংশ হচ্ছেন স্থানীয় কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। যারা নিজ নিজ কমিউনিটিতে অবদান রাখার পাশাপাশি ব্রিটিশ সমাজের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন।এ বছর বেশ কয়েকজন ব্রিটিশ বাংলাদেশী এই সম্মান অর্জন করেছেন।
কভিড১৯ এর সময়ে লন্ডনে চ্যারিট্যাবল সার্ভিসের জন্য ওবিই সম্মাননা পেয়েছেন ব্রিটিশ বাঙালি দবিরুল ইসলাম চৌধুরী। যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টার থেকে কাউন্সিলর লুৎফুর রহমান চলতি এবছরে রাণীর জন্মদিনে ওবিই এ্যাওয়ার্ডের জন্য ভূষিত হয়েছেন।
এ প্রতিবেনদটি তৈরীর সময়ে রাণীর জন্মদিনের সম্মাননায় অন্যান্য খেতাবে যারা ভূষিত হয়েছেন এবং যাদের তথ্য পাওয়া গিয়েছে— তারা হলেন: ব্রিটেনের বাংলা গণ্যমাধ্যমে অত্যন্ত পরিচিত প্রিয়মুখ,গণমাধ্যম কর্মী,শিক্ষাবিদ সৈয়দ আফসার উদ্দিন ব্রিটেনের রানির মর্যাদাকর সম্মাননা এমবিই (Member of the Order of the British Empire) পেয়েছেন।তাছাড়া লন্ডন বারা অব টাওয়ার হ্যামলেটসে কমিউনিটি সার্ভিসের জন্য এমবিই ( MBE) এ্যাওয়ার্ডে ভূষিত হলেন কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব সাজ্জাদ মিয়া এবং যুক্তরাজ্যের লুটন এন্ড ভার্ডপরশায়ার থেকে বিশেষ করে কভিড১৯ এর সময়ে চ্যারিটিবল কাজের সম্মাননা হিসেবে এমবিই (MBE) অ্যাওয়ার্ড পেলেন ব্রিটিশ বাঙালি অলি খান।এবং বিইএম ( BEM) অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন যুক্তরাজ্যের সাউথশীন্ড থেকে ব্রিটিশ বাঙালি নারী নীলিমা রহমান।
দবিরুল ইসলাম চৌধুরী ওবিই : স্যার ক্যাপ্টেন টম ম্যুরের দৃষ্টান্ত অনুস্মরণ করে দবিরুল ইসলাম চৌধুরী তার বাগানে হাঁটা শুরু করেছিলেন এবং পেলেন পুরস্কার।ব্রিটেনের রানীর জন্মদিনে ব্রিটিশ বাংলাদেশী শতবর্ষী দবিরুল ইসলাম চৌধুরীর নাম তালিকাভুক্ত হয়েছে ওবিই সম্মাননার জন্য।কভিড কালীন সময়ে রোযা রেখে ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের জন্য অর্থ সংগ্রহের এমন নজির স্থাপনের জন্য দবিরুল ইসলাম চৌধুরীকে অর্ডার অব দ্যা ব্রিটিশ এম্প্যায়ার সম্মাননার জন্য তালিকাভুক্ত করা হয়।করোনাকালীন বৈরী সময়ে বিশ্বের অসহায় মানুষের জন্য মানবকল্যাণে কাজ করায় দ্রুত স্বীকৃতি পেলেন দবিরুল ইসলাম চৌধুরী।গত রমজানে করোনাভাইরাস সঙ্কটে দুর্গত মানুষের জন্য তহবিল সংগ্রহ করায় ব্রিটিশ রানি এলিজাবেথের জন্মদিনে দেওয়া অর্ডার অব দ্য ব্রিটিশ এম্পায়ার (ওবিই) খেতাব প্রাপ্ত শতবর্ষী ব্রিটিশ বাংলাদেশি বাঙালি দবিরুল ইসলাম চৌধুরী পূর্বলন্ডনের বো এলাকায় তার বাড়ির সামনের বাগানে পুরো রমজান মাস ৯৭০ দফা হেঁটে চ্যারিটির জন্য ৪ লাখ ২০ হাজার পাউন্ড (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা) তহবিল সংগ্রহ করেন।
রামাদান ফ্যামিলি কমিটম্যান্ট নামের একটি চ্যারিটির জন্য তোলা এই অর্থ থেকে ব্রিটেনের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসে (এনএইচএস) দান করা হয় ১১৬ হাজার পাউন্ড এবং বাকি অর্থ আরও ২৬টি দাতব্য প্রতিষ্ঠানকে বিতরণ করা হয়।বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে মহামারীতে বিপর্যস্ত গরিব-দুঃখী অসহায় মানুষদের খাবারসহ বিভিন্ন সেবামূলক কাজে এই অর্থ ব্যবহার করা হয়।উল্লেখ্য ১৯২০ সালের ১ জানুয়ারি সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই থানার কুলঞ্জ গ্রামে জন্ম নেওয়া দবিরুল ইসলাম চৌধুরী ব্রিটেনে পাড়ি জমিয়েছিলেন ১৯৫৭ সালে।লেখাপড়ার পর সেখানে চাকরির পাশাপাশি কমিউনিটির কাজেও জড়িয়ে পড়েন তিনি।তার স্ত্রী খালেদা দবীর চৌধুরী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যুক্তরাজ্য শাখার একজন অন্যতম কর্মী।বাঙালি কমিউনিটিতে সুপরিচিত সমাজকর্মী দবিরুল ইসলাম চৌধুরীকে অনেকেই চেনেন কবি দবিরুল হিসাবে। কবিতাপ্রেমী দবিরুল এখনো দেশে বিদেশে কোনো সভা-সমাবেশে গেলে স্বরচিত কবিতা পড়ে শোনান। তার লেখা কবিতাগ্রন্থও প্রকাশিত হয়েছে।
কাউন্সিলর লুৎফুর রহমান ওবিই : কভিড১৯ এর সময়ে ইক্সিকিউটিভ মেম্বার ফর কালচার এন্ড লেজার ম্যানচেস্টার সিটি কাউন্সিল ফর সার্ভিসিজ টু লোকাল গভরনেন্ট থেকে কমিউনিটির জন্য বিশেষ অবদান রাখার জন্য কাউন্সিলর লুৎফুর রহমান চলতি বছরে রাণীর জন্মদিনে ওবিই এ্যাওয়ার্ডের জন্য তালিকাভুক্ত হয়েছেন।ব্রিটেনের রাণীর জন্মদিনে প্রদত্ত সম্মাননায় এবার ওবিই খেতাব পেয়েছেন বাংলাদেশি ব্রিটিশ রাজনীতিক লুৎফুর রহমান।জনপ্রতিনিধি হিসেবে স্থানীয় সরকারের গুরুত্বপূর্ন ভূমিকার জন্য লুৎফুর এ সম্মাননায় ভূষিত হন।লুৎফুর রহমান ম্যানচেষ্টার সিটি কাউন্সিলের নির্বাচিত সুপরিচিত একজন কাউন্সিলর।তিনি ২০০৮ সালে প্রথম কাউন্সিলার নির্বাচিত হন।এরপর তিনি ২০১২, ২০১৬, ২০১৮ তে ম্যানেচষ্টারের লংসাইট ওয়ার্ড থেকে বার বার নির্বাচিত হয়েছেন।লুৎফুর রহমান বর্তমানে ম্যানচেষ্টার সিটি কাউন্সিলের কালচার এন্ড লেজারের নির্বাহি সদস্য হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত।
লু্ৎফুর রহমান ১৯৮০ সালে তাঁর পরিবারের সাথে বাংলাদেশ থেকে ম্যানচেষ্টারে আসেন।
ম্যানচেষ্টারের কলেজে পড়াকালীন সময়েই তিন তাঁর পিতার সাথে রেষ্টুরেন্ট ব্যবসার সাথে জড়িযে পড়েন।প্রায় ২২ বছর ক্যাটারিং ব্যবসার সাথেই জড়িত ছিলেন। একসময় তিনি মর্টগেজ এডভাইজার হিসেবে কাজ শুরু করেন এবং এসময়েই কাউন্সিলার নির্বাচিত হন। একসময় তিনি মর্টগেজ এডভাইজারসহ অন্য সকল কিছু থেকে অবসর নিয়ে ২০১৬ থেকে ম্যানচেষ্টার সিটি কাউন্সিলে একজন সার্বক্ষনিক জনপ্রতিনিধি হিসেবে তাঁর ওয়ার্ডের প্রতিনিধিত্ব করছেন।জনপ্রতিনিধি হিসেবে তিনি ম্যানচেষ্টারের বিভিন্ন সামাজিক-রাজনৈতিক এবং কমিউনিটির বিভিন্ন সেক্টরে সফলতার সাথে কাজ করেন ।
বিশেষ করে যুবসমাজের উন্নয়নে, লাইব্রেরীর উন্নতিসাধনে, ক্রীড়া এবং বিনোদনে তিনি অসাধারন কাজ করেন।লুৎফুর রহমান শিল্প সাহিত্য সংস্কৃতির বিকাশে অনন্য অবদান রেখেছেন।
কাউন্সিলার লু্ৎফুর রহমান ন্যাশনাল ফুটবল মিউজিয়াম, ম্যানচেষ্টার একটিভ, আপরাইজিং গ্রেটার ম্যানচেষ্টার, স্ট্যটেজিক এডুকেশন পার্টনারশীপ, এবং গ্রেটার ম্যানেচষ্টার স্কিলস বোর্ডের সদস্য হিসেবে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করছেন।উল্লেখ্য সুনামগন্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার পাটলী (সাতহাল) গ্রামের কৃতিসন্তান লু্ৎফুর রহমান।বাবা সুবাবুর রহমান বর্তমানে যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টার শহরের বাসিন্দা। যুক্তরাজ্যের অত্যন্ত সুপরিচিত ব্যক্তিত্ব, ম্যানচেষ্টার শাহজাল মসজিদের সাবেক চেয়ারম্যান,গ্রেটাম ম্যানচেষ্টার আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।বাবা ছেলে দুজনই কমিউনিটির জন্য অসামান্য অবদান রেখে চলেছেন।
সৈয়দ আফসার উদ্দিন এমবিই : ব্রিটেনের বাংলা গণ্যমাধ্যমে অত্যন্ত পরিচিত প্রিয়মুখ, গণমাধ্যম কর্মী, শিক্ষাবিদ সৈয়দ আফসার উদ্দিন ব্রিটেনের রানির মর্যাদাকর সম্মাননা এমবিই (Member of the Order of the British Empire) পেয়েছেন।সৈয়দ আফসার উদ্দিন লন্ডন বারা অব টাওয়ার হ্যামলেটসে শিক্ষা ও কমিউনিটিতে বিভিন্ন সেবা ও অনুপ্রেরণামূলক কাজের অবদানের জন্য এই সম্মাননা প্রদান করা হয়।ব্রিটেনের বাঙালি কমিউনিটিতে অত্যন্ত জনপ্রিয় টিভি সংবাদ পাঠক হিসেবে তিনি অধিক পরিচিত।১৯৯৯ সালে ব্রিটেনের প্রথম স্যাটেলাইট বাংলা চ্যানেল- বাংলা টিভিতে সংবাদ পাঠক হিসাবে ব্রিটেনে বাংলা গণমাধ্যমে তিনি নিজেকে সংযুক্ত করেন।বাংলাদেশে থাকাকালীন সৈয়দ আফসার উদ্দিন সংবাদ এবং সাংবাদিকতার সাথে যুক্ত ছিলেন।ইত্তেফাক গ্রুপের স্পোর্টস রিপোর্টার হিসেবে কাজ করেছেন।যুক্তরাজ্যে বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিস রেডিও তে খেলাধুলা এবং ম্যাগাজিন প্রোগ্রামগুলিতে কাজ করেছেন আট বছরএবং চার বছরের জন্য ভয়েস অফ আমেরিকা রেডিও লন্ডন’র সাংবাদিক হিসাবে কাজ করেছেন।শিক্ষকতায় তার রয়েছে ২৫ বছরের অভিজ্ঞতা।
১৯৯৫ সাল থেকে ওকল্যান্ড সেকেন্ডারী স্কুলে ফুলটাইম বাংলা শিক্ষক হিসেবে শিক্ষা দান করেন। পাশাপাশি তিনি বাংলা ভাষার পরীক্ষক হিসেবে প্রায় ১৯ বছর দায়িত্ব পালন করেন।সন্ধ্যাকালীন চাকুরী হিসেবে তিনি ১৯৯৩ থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত সৈয়দ আফসার উদ্দিন ইসল লেকচারার হিসাবে টাওয়ার হ্যামলেটস কলেজের জন্য কাজ করেন।
বর্তমানে চ্যানেল এস এর সিনিয়র সংবাদ প্রেজেন্টার হিসেবে কাজ করছেন।২০০৫ সাল থেকে তিনি লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবের একজন সদস্য।নাট্যকর্মী, আবৃত্তিশিল্পী, ক্রীড়া লেখক ইত্যাদি কাজে যুক্তরাজ্যে তিনি সুপরিচিত একজন কমিউনিটি এক্টিভিস্ট।
তাঁর দেশের বাড়ি চট্রগ্রামের মিরশ্বরাই উপজেলায়। তবে জন্ম এবং বেড়ে ওঠা ঢাকায়।
তার সহধর্মিণীর বাড়ি সুনামগন্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার সৈয়দপুর গ্রামে।
পারিবারিক জীবনে সৈয়দ আফসার উদ্দিন স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে লন্ডনে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। তাঁর স্ত্রী লন্ডনের টাওয়ার হ্যামলেটসের একটি স্কুলে শিক্ষকতা করেন।
সাজ্জাদ মিয়া এমবিই : লন্ডন বারা অব টাওয়ার হ্যামলেটসে কমিউনিটি সার্ভিসের জন্য বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি স্বরুপ এবারে ব্রিটেনের রাণীর জন্ম দিনের সম্মাননা এমবিই ( MBE) এ্যাওয়ার্ডে ভূষিত হলেন কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব সাজ্জাদ মিয়া।ব্রিটেনের রাণী এলিজাবেথ কর্তৃক এমবিই খেতাবে ভূষিত হয়েছেন পূর্বলন্ডনের ব্রিকলেন জামে মসজিদ ট্রাস্টের প্রেসিডেন্ট সাজ্জাদ মিয়া।লন্ডনে দীর্ঘদিন ধরে কমিউনিটি সেবা প্রদানের পুরস্কার হিসেবে রাণীর সম্মান সূচক মেম্বার অফ ব্রিটিশ এম্পায়ার বা এমবিই খেতাব পান কমিউনিটির গুণী এই সমাজকর্মী।
অলি খান এমবিই : তিনি লুটন এন্ড ভার্ডপরশায়ার থেকে বিশেষ করে কভিড১৯ এর সময়ে হসপিটালি ইন্ড্রাস্টি এন্ড চ্যারিটি ইন দ্যা ইউকে এবং ইউকের বাইরে মানবকল্যাণে চ্যারিটিবল কাজের সম্মাননা হিসেবে এমবিই অ্যাওয়ার্ড বা এই উপাধী পেয়েছেন
নীলিমা রহমান (BEM) বিইএম : ফাইনালসিয়াল সার্ভিস এন্ড কমিউনিটি ওয়ার্কের জন্য বিইএম ( BEM) অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন ব্রিটিশ বাঙালি নারী নীলিমা রহমান।কভিড১৯ এর সময়ে গ্রেট ব্রিটেনের সাউথশীন্ড কমিউনিটি থেকে ফাইনালসিয়াল সার্ভিস এন্ড কমিউনিটি ওয়ার্কের জন্য ব্রিটিশ বাঙালি একমাত্র নারী নীলিমা রহমান বিইএম (মেডেলিস্ট অব দ্যা অর্ডার অব দ্যা ব্রিটিশ এ্যামফায়ার ) এ্যাওয়ার্ড ২০২০ইং এর জন্য তালিকাভুক্ত হন।