মুমেন্ট অব সাইলেন্সে দবির চাচার সঙ্গে ছিলেন বিশ্বের ৩শ শহরের মানুষ
নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী
লন্ডনঃ ১শ ২ বছর বয়সী কবি দবিরুল ইসলাম চৌধুরী ওবিই আরো একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন। শতবর্ষী দবির চাচার আহ্বানে সাড়া দিয়ে এবার ১শ ২ সেকেন্ড নিরবতা পালন করলেন বিশ্বের বিভিন্ন শহরের মানুষ। ব্রিটেন, বাংলাদেশ, কানাডা, ভারত, পাকিস্তান এবং তুরস্কসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অন্তত ৩শ শহরে এক যুগে স্ব স্ব দেশের সময় অনুযায়ী ১৬ এপ্রিল দুপুর ২টায় করোনা এবং বিভিন্ন যুদ্ধে নিহতদের স্মরণে ১০২ সেকেন্ড অর্থাৎ ১ মিনিট ৪২ সেকেন্ড নিরবতা পালন করেন সবাই। দবির চাচার বয়সের সাথে মিল রেখে ১০২ সেকেন্ড নিরবতা পালন করা হয়।লন্ডনে দবির চাচার ঘরের পাশের আঙ্গিনায় জড়ো হয়েছিলেন ইউক্রেন এবং সিরিয়া যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা। ছিলেন মায়ানমারে সামরিক হামলার শিকার হয়ে দেশ থেকে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গান কমিউনিটির মানুষও। তারা শতবর্ষী দবির চাচার সাথে নিরবতা পালন শেষে একে অন্যের সাথে তাদের অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করেন। কর্ম এবং ইউক্রেনের পরিবার জীবন এখন তাদের কাছে কেবলই স্মৃতি বলে জানান তারা। যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত এসব পরিবারের সদস্যরা যুদ্ধ বন্ধে জাতিসংঘকে আরো সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানান।প্রাঞ্জল এবং উৎফুল্ল ১০২ বছর বয়সী দবির চাচা তাঁর কমিউন্যাল গার্ডেনে সবাইকে স্বাগত এবং ধন্যবাদ জানান। মানুষ তরে, মানুষের কল্যানে কাজ করতে তিনি কমিউনিটির সবার প্রতি আহ্বান জানান।
শতবর্ষী কবি দবিরুল ইসলাম চৌধুরী ২০২০ সালে রোজা রেখে কমিউন্যুাল গার্ডেনে প্রতিদিন একশ কদম হেঁটে প্রায় ৪ লাখ ২০ হাজার পাউন্ড সংগ্রহ করেন। এই অর্থ এনএইচএস এবং চ্যানেল এসের রামাদান ফ্যামিলি কমিটমেন্ট সংক্ষেপে আরএফসির অন্তুর্ভুক্ত বিভিন্ন সংগঠনের মাধ্যমে সিরিয়া, ফিলিস্তিনি এবং বাংলাদেশের করোনা আক্রান্তদের বিতরণ করা হয়। এর স্বীকৃতি হিসেবে ওবিই খেতাবে ভুষিত করেন শতবর্ষী দবির চাচাকে। এরপর ২০২১ সালে ওয়াক উইথ দবির চাচা প্রজেক্টের মাধ্যমেও দবিরুল ইসলাম চৌধুরী ওবিই চ্যানেল এসের আরএফসির জন্যে ফান্ড রেইজ করেন।দবির চাচা আহ্বান সাড়া দিয়ে রামাদান ফ্যামিলি কমিটমেন্টের মাধ্যমে ফান্ড রেইজে সহযোগিতার জন্যে কমিউনিটির সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান চ্যানেল এসের প্রতিষ্ঠাতা মাহি ফেরদৌস। তিনি বলেন, দবির চাচা আমাদের গর্বের প্রতীক। দবির চাচার কাছ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে আমরা দেশ-বিদেশে সবাই একসাথে রোজা রেখে হাঁটছি, মোমেন্ট অব সাইলেন্সে যোগ দিচ্ছি। আকি রহমান মাউন্ড এভারেস্টে গিয়েছেন। আর এসব ভালো কাজে অনুপ্রাণিত হয়ে দানশীলরা দান করছেন। যা থেকে উপকৃত হচ্ছে দেশ-বিদেশের অসহায় মানুষ। এসবের মূল প্রেরণা হলেন দবির চাচা। শতবর্ষী দবির চাচার জন্যে সবার কাছে দোয়া চান তিনি।চ্যানেল এসের রামাদান ফ্যামিলি কমিটমেন্টের এই উদ্যোগের প্রধান কো-অর্ডিনেটর হলেন চ্যানেল এসের হেড অব প্রোগ্রামস ফারহান মাসুদ খান। ২০২০ সাল থেকে দবির চাচাকে সমর্থক করে মোমেন্ট অব সাইলেন্স পর্যন্ত যারা বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেছেন তাদের সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানান তিনি।