যুক্তরাজ্যে স্টুডেন্ট ভিসায় নতুন আইন ,আনতে পারবে না পরিবার পরিজন

নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী

লন্ডনঃ যুক্তরাজ্য বিদশী ছাত্রছাত্রীদের প্রতি কড়াকড়ি নিয়ম চালু করতে যাচ্ছে,আর এই নতুন অভিবসান নীতিতে বিদেশী স্নাতক বা স্নাতকোত্তর ছাত্রদের প্রতি পরিবারের সদস্য যাদের ( ডিপেন্ডেন্ট) বলা হয়।নতুন অভিবাসন নিষেধাজ্ঞা আসলে কোন বিদেশি শিক্ষার্থী আর স্ত্রী বা সন্তানদের নিয়ে আসতে পারবেন না।কারণ হিসাব অভিবাসন এর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়াতে সরকার এই কড়াকড়ি আরোপ করতে যাচ্ছে।আনুষ্ঠানিক পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে এই বছর বৈধ অভিবাসন রেকর্ড ৭ লাখ এর রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে।গত বছর ১ লাখ ৩৫ হাজার ৭৮৮ টি ভিসা দেয়া হয়েছে শীক্ষার্থীদের পরিবারের সদস্যদের।যা ২০১৯ সালের সংখ্যায় প্রায় ৯ গুণ।ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক বলেছেন এই পদক্ষেপের কারণে অভিবাসন কমাতে সাহায্য করবে।অভিবাসন নীতি সবসময়ই যুক্তরাজ্যের রাজনীতিতে একটি উল্লেখ্যযোগ্য বিষয়।সরকারী দল প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল নেট মাইগ্রেশন প্রতিবছর ১ লাখের নীচে রাখবে। কিন্ত বারবার ব্যার্থ হওয়াতে ২০১৯ সালে সেই লক্ষমাত্রা তারা বাতিল করে দেয়।

শুধুমাত্র গত বছরই (ডিফেন্ডেন্ট) নির্ভরশীলদের ১ লাখ ৩৫ হাজার ৭৮৮জনকে ভিসা দিয়েছে দেশটি।দেশটির স্বরাষ্ট্র সচিব সুয়েলা ব্র‍্যাভারম্যান বলেছেন,আমরা যে অভিবাসন কমানোর কথা বলছি, শিক্ষার্থীদের নির্ভরশীলদের কঠোর করে সেই সংখ্যা আমরা কমাতে পারি। তাই এই নিয়মে কড়াকড়ি আরোপের সময় এসেছে।তবে গবেষণা পর্যায়ে ( পিএইচডি’র) ক্ষেত্রে আবার এই নিয়ম কার্যকর হবে না।উচ্চ পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা, প্রচলিত নিয়মেই তাদের স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে আসতে পারবেন।অন্যদিক শিক্ষা সচিব গিলিয়ান কিগান সহ কিছু মন্ত্রী যুক্তি দিয়েছিলেন যে তারা দীর্ঘদিন যুক্তরাজ্যে বসবাসের কারণে অর্থনীতিতে অবদান রাখতে পারবেন।আবার ইউনিভার্সিটিজ ইউকে (ইউ ইউ কে ), ব্রিটিশ বিশ্ববিদ্যালয়গুলির জন্য ছাতা গ্রুপ, তারা এই নতুন নিয়মকে স্বাগত জানিয়েছে। তাদের বক্তব্য হচ্ছে, নির্ভরশীলতার সংখ্যা বাড়লে পারিবারিক বাসস্থান এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনা’র ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করে।বলেছে যে এটি। তাই ইউ ইউ কের পরিচালক জেমি অ্যারোস্মিথ এই পদক্ষেপ কে যুক্তিযুক্ত বলছেন।কিন্ত বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজ ইউনিয়ন এর প্রতিবাদ জানিয়েছে। এটিক বৈষম্যমূলক বলে অভিহিত করছে। এর সাধারণ সম্পাদক জো গ্র‍্যাডি বলেন, যে সব বিদেশী শিক্ষার্থী র পরিবার আমাদের দেশে আসে তাঁরা আমাদের সমাজের জন্য বিশাল মূল্য নিয়ে আসে, পড়াশোনার সময় তাদের প্রিয়জনের পাশে থাকার অধিকার তাদের রয়েছে।

You might also like