যুক্তরাষ্ট্রের কাছে প্রমাণ চায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

আন্তজার্তিক ডেস্ক
সত্যবাণী

জেনেভা,সুইজারল্যান্ডঃ বিশ্বব্যাপী মহামারি রূপ নেয়া করোনা ভাইরাসের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তাই, উৎপত্তিস্থল চীনের তথ্য নিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প থেকে শুরু করে ছাড় দেননি তার পররাষ্ট্রমন্ত্রীও।প্রাকৃতিকভাবে নয় চীনের গবেষণাগারে তৈরি করা হয় মানব বিধ্বংসী করোনা ভাইরাস-ট্রাম্পের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এমন অভিযোগের এবার প্রমাণ দাবি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা-ডব্লিউএইচও। পাশাপাশি তার বক্তব্যকে অনুমান নির্ভর বলেও আখ্যা দিয়েছে সংস্থাটি।স্থানীয় সময় সোমবার (৪ মে) জেনেভা থেকে এক অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে জরুরি পরিস্থিতি বিষয়ক বিশেষজ্ঞ ডা. মাইক রায়ান এ দাবি জানান। খবর রয়টার্সের।

ইউরোপের পর করোনার প্রাণকেন্দ্র হয়ে ওঠে যুক্তরাষ্ট্র। যার ছোবলে দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১২ লাখের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। প্রাণ গেছে ৭০ হাজার মানুষের। ভাইরাসটির উৎপত্তি নিয়ে চীনের দেয়া তথ্য নিয়ে বারবার প্রশ্ন তুলেছে দেশটি।ট্রাম্প সরকারের দাবি, ‘প্রকৃতিগতভাবে নয়, চীনের উহান শহরের একটি ভাইরোলোজি গবেষণাগার থেকে ভাইরাসটির সৃষ্টি হয়েছে।গত বৃহস্পতিবার মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স পরিচালকের কার্যালয়ের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, করোনা ভাইরাস মানবসৃষ্ট বা জিনগতভাবে পরিবর্তিত হওয়ার কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

তবে ওইদিনই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেন চীনের ভাইরোলোজি গবেষণাগার থেকে করোনা ভাইরাসের সৃষ্টি হয়েছে বলে তিনি প্রমাণ দেখতে পেয়েছেন। আর রোববার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও একই দাবি করে বলেন, ‘এই সংক্রান্ত তাৎপর্যপূর্ণ প্রমাণ রয়েছে তাদের কাছে।তবে এসব অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছে চীনসহ আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা। এমনকি, ট্রাম্প-পম্পের অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছেন দেশটির ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ অ্যালার্জি অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজ’-এর পরিচালক এবং রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বিশেষজ্ঞ ডা. অ্যান্থনি ফাউচি।তিনি বলেন, ‘করোনা ভাইরাস চীনের ল্যাবরেটরি থেকে ছড়িয়েছে, এমন কোনও বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই।ন্যাশন্যাল জিওগ্রাফিককে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ চিকিৎসক দাবি করে বলেন, ‘ভাইরাসটি বরাঞ্চল থেকে গবেষণাগারে আনা হয়েছে কিংবা গবেষণাগার থেকে উহানে ছড়িয়ে পড়েছে এমন কোনও প্রমাণ মেলেনি।’

You might also like